ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৩ উদযাপিত
- Update Time : ০৬:৩০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩
- / ১১৯ Time View
প্রবল উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস – ২০২৩।
এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৩তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর এই দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, পায়রা ওড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন, কেক কাটা, থিম সং পরিবেশন, শোভাযাত্রা এবং আলোচনা সভা।
সকাল ১০টায় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন, পায়রা ওড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন, থিম সং পরিবেশন এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসকল কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালীও বের করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে এ র্যালী শুরু হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাইকে প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে তিনি প্রতিকূল ও বৈরী পরিবেশে কাজ করার মতো দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ ও স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরির ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে পঠন-পাঠন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ‘DuBd Vac’ নামে একটি বায়োসিমিলার কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং এসংক্রান্ত উন্নত গবেষণার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অত্যাধুনিক ভ্যাকসিন গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
মূল প্রবন্ধে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরি করতে পারলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
এক্ষেত্রে সামাজিক ট্রান্সফরমেশন দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষাকে আরও মজবুত ও প্রসারিত করার উপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া এ আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সুভাষ সিংহ রায় সহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
