ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো : হাসনাত আব্দুল্লাহ লবণের ট্রাকে ইয়াবা পাচারের মামলায় চালকের যাবজ্জীবন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার সাত দফা প্রস্তাব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা হচ্ছে না বুলবুল-ফাহিমের, করতে হবে নির্বাচন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জামায়াত নেতা বহিষ্কার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্লক করায় ৩০০ কোটির ক্ষতিপূরণ গুনছে ইউটিউব পুরান ঢাকাকে আগের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নিবো – আলহাজ্ব আব্দুর রহমান সাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না : ক্রীড়া উপদেষ্টা বিজিবি জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে : ডিজি লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুর, ভারতের প্রতিক্রিয়া

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বহু বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী অকালে মারা যাওয়ার অভিযোগ

জামাল হোছাইন, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৩২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৩২৮ Time View

কক্সবাজারের চকরিয়ায় অবস্থিত ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির সিংহ, হাতী, নীলগাই, ময়ূরসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণী একের পর এক ক্রমাগতভাবে মারা যাওয়ার ঘটনায় পার্কে নিয়োজিত ভেটেরিনারি ডাক্তারের বিরুদ্ধে সঠিক রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থতা ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, বিগত ২০২১ সালে হাতেম সাজ্জাত মো: জুলকারনাইন যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় গাজীপুর সাফারি পার্কের ১১টি জেব্রা মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনার পর তাকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বদলি করা হয়। এর পর থেকে এখানেও দায়িত্বে অবহেলা ও সঠিক রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থতার কারণে বহু সংখ্যক বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে।

এসব বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ার কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করে চকরিয়ার একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বন অধিদপ্তরের প্রধান বনসংরক্ষক এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বনসংরক্ষক বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিগত ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রাপ্তবয়স্ক ২৪টি ময়ূর মারা যায়, যা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন জবাবদিহিতা নেই। চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে পার্কের মাতৃহীন হাতি শাবক নিবিড় পরিচর্যার অভাবে মারা যায়। তারই ২৪ দিনের ব্যবধানে বিরল প্রজাতির নীলগাই মারা যায়।

জানা যায়, গত ১১মে স্ত্রী প্রজাতির নীলগাই পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করে ১৫মে ডুলাহাজারা সাফারী পার্কে আনা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত এই বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীটির সঠিক রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থতা ও সুচিকিৎসা না হওয়ায় নীলগাইটিও মারা যায়।

একই কারণে এর আগে দুটি উটপাখি, ২টি সিংহ, (ডাক নাম- টুম্পা ও সোহেল), ২ টি হাতি (ডাক নাম- রংমালা বয়স-৮৬, সৈকত বাহাদুর, বয়স ৩৫) থেকে শুরু করে আরো বিভিন্ন প্রজাতির রক্ষিত ও উদ্ধারকৃত অসংখ্য বন্যপ্রাণী মারা যায়।

এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি ডাঃ হাতেম সাজ্জাদ জুলকারনাইন দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মানুষ-প্রাণীর নিশ্চিত মৃত্যুর বিষয়টি ডাক্তার ঠেকাতে পারেনা। তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে কষ্ট কমানো যায় মাত্র।

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ডিএফও আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ ভেটেরিনারি ডাক্তার জুলকারনাইন এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বহু বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী অকালে মারা যাওয়ার অভিযোগ

জামাল হোছাইন, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৩২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

কক্সবাজারের চকরিয়ায় অবস্থিত ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির সিংহ, হাতী, নীলগাই, ময়ূরসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণী একের পর এক ক্রমাগতভাবে মারা যাওয়ার ঘটনায় পার্কে নিয়োজিত ভেটেরিনারি ডাক্তারের বিরুদ্ধে সঠিক রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থতা ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, বিগত ২০২১ সালে হাতেম সাজ্জাত মো: জুলকারনাইন যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় গাজীপুর সাফারি পার্কের ১১টি জেব্রা মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনার পর তাকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বদলি করা হয়। এর পর থেকে এখানেও দায়িত্বে অবহেলা ও সঠিক রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থতার কারণে বহু সংখ্যক বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে।

এসব বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ার কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করে চকরিয়ার একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বন অধিদপ্তরের প্রধান বনসংরক্ষক এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বনসংরক্ষক বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিগত ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রাপ্তবয়স্ক ২৪টি ময়ূর মারা যায়, যা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন জবাবদিহিতা নেই। চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে পার্কের মাতৃহীন হাতি শাবক নিবিড় পরিচর্যার অভাবে মারা যায়। তারই ২৪ দিনের ব্যবধানে বিরল প্রজাতির নীলগাই মারা যায়।

জানা যায়, গত ১১মে স্ত্রী প্রজাতির নীলগাই পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করে ১৫মে ডুলাহাজারা সাফারী পার্কে আনা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত এই বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীটির সঠিক রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থতা ও সুচিকিৎসা না হওয়ায় নীলগাইটিও মারা যায়।

একই কারণে এর আগে দুটি উটপাখি, ২টি সিংহ, (ডাক নাম- টুম্পা ও সোহেল), ২ টি হাতি (ডাক নাম- রংমালা বয়স-৮৬, সৈকত বাহাদুর, বয়স ৩৫) থেকে শুরু করে আরো বিভিন্ন প্রজাতির রক্ষিত ও উদ্ধারকৃত অসংখ্য বন্যপ্রাণী মারা যায়।

এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি ডাঃ হাতেম সাজ্জাদ জুলকারনাইন দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মানুষ-প্রাণীর নিশ্চিত মৃত্যুর বিষয়টি ডাক্তার ঠেকাতে পারেনা। তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে কষ্ট কমানো যায় মাত্র।

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ডিএফও আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ ভেটেরিনারি ডাক্তার জুলকারনাইন এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।