ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন ইবি শাখার উদ্যোগে কর্মশালা

মোঃ হাছান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৬৯ Time View

আন্তর্জাতিক জলবায়ু কর্মদিবস উপলক্ষে ‍ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন ইবি শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১২টায় ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার দু:খী মাহমুদ কলেজে জলবায়ুর পরিবর্তন ও সর্পদংশন শিরোনামে কর্মশালা, সচেতনতা প্রোগ্রাম এবং কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, শিক্ষার্থীদের করণীয়, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে স্নেকবাইটের বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক, স্নেকবাইট থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়, স্নেকবাইটের পর করণীয়-বর্জনীয় এবং পরিবেশে সাপের গুরত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য রাশেদুল ইসলাম, শাহরিয়ার সাগর এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সংগঠনটির সদস্য মেঘদাদুল হক বলেন, ঝিনাইদহ অঞ্চল অত্যন্ত সর্পদংশন প্রবন এলাকা। এই এলাকায় প্রতি বছর শুধুমাত্র ওঝার কাছে যাওয়ার ফলে এবং সচেতনতার অভবে অনেক মানুষ প্রাণ হারান। তাই শিক্ষার্থীদের এরকম পরিস্থিতিতে ওঝার কাছে না গিয়ে হাসপাতালে যেতে অনুরোধ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক ছাফওয়ানুর রহমান বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন স্নেকবাইট বা সর্পদংশন বেড়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাপের সংখ্যা এবং সর্পদংশন দুইটাই বেড়ে গেছে। আমাদের দেশে প্রতি বছর ৭ হাজারের বেশি মানুষ স্নেকবাইটে মারা গেলেও সরকার এদিকে ঠিক মতো নজর দিচ্ছে না। সরকারী হাসপাতাল ফ্রি-তে এন্টিভেনম দেয়ার কথা থাকলেও অনেক সময় তা মজুদ থাকে না। ফলে হাসপাতালে আসার পরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যারা ২০১৮ সাল থেকে সাপ সংরক্ষণ, সর্পদংশন সচেতনতা, এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে কাজ করে আসছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন ইবি শাখার উদ্যোগে কর্মশালা

মোঃ হাছান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
Update Time : ০২:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক জলবায়ু কর্মদিবস উপলক্ষে ‍ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন ইবি শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১২টায় ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার দু:খী মাহমুদ কলেজে জলবায়ুর পরিবর্তন ও সর্পদংশন শিরোনামে কর্মশালা, সচেতনতা প্রোগ্রাম এবং কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, শিক্ষার্থীদের করণীয়, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে স্নেকবাইটের বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক, স্নেকবাইট থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়, স্নেকবাইটের পর করণীয়-বর্জনীয় এবং পরিবেশে সাপের গুরত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য রাশেদুল ইসলাম, শাহরিয়ার সাগর এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সংগঠনটির সদস্য মেঘদাদুল হক বলেন, ঝিনাইদহ অঞ্চল অত্যন্ত সর্পদংশন প্রবন এলাকা। এই এলাকায় প্রতি বছর শুধুমাত্র ওঝার কাছে যাওয়ার ফলে এবং সচেতনতার অভবে অনেক মানুষ প্রাণ হারান। তাই শিক্ষার্থীদের এরকম পরিস্থিতিতে ওঝার কাছে না গিয়ে হাসপাতালে যেতে অনুরোধ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক ছাফওয়ানুর রহমান বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন স্নেকবাইট বা সর্পদংশন বেড়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাপের সংখ্যা এবং সর্পদংশন দুইটাই বেড়ে গেছে। আমাদের দেশে প্রতি বছর ৭ হাজারের বেশি মানুষ স্নেকবাইটে মারা গেলেও সরকার এদিকে ঠিক মতো নজর দিচ্ছে না। সরকারী হাসপাতাল ফ্রি-তে এন্টিভেনম দেয়ার কথা থাকলেও অনেক সময় তা মজুদ থাকে না। ফলে হাসপাতালে আসার পরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যারা ২০১৮ সাল থেকে সাপ সংরক্ষণ, সর্পদংশন সচেতনতা, এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে কাজ করে আসছে।