টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে সাবের হত্যা মামলার ৬ আসামী গ্রেফতার
- Update Time : ০৩:০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪
- / ১২৬ Time View
টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সাবের হত্যা মামলার পলাতক আসামি মোঃ ইয়াছিন (৩৫), মোঃ সালমান (২৭), আব্দুল্লাহ (৪৩), সোহাগ (৩২), বাবলু (২৮), আব্দুল জব্বারকে (৩১) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩ এবং র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল।
গত ২৯ এপ্রিল রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে এই ৬ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শামীম হোসেন স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ভিকটিম সাবের টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে জুতার ব্যবসা করতো। তার দোকানের সামনে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী ইয়াছিনের একটি বন্ধ দোকান রয়েছে। ইয়াছিন পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেরের ব্যবসা শুরুর পর থেকেই তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অহেতুক হয়রানি করে বেচা-বিক্রিতে ক্ষতিসাধন করতো। এ বিষয়ে ভিকটিম সাবের মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের জানালে গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন ও অন্যান্য আসামীরা সাবেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
গত ২ এপ্রিল ভিকটিম সাবের নিজ দোকানের জায়গা সংকটের কারণে গ্রেফতারকৃত ইয়াছিনের বন্ধ থাকা দোকানটির সামনে একটি জুতার বস্তাসহ কয়েক জোড়া জুতা ঝুলিয়ে রাখে। এ নিয়ে ইয়াছিন ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকলে ভিকটিম প্রতিবাদ করায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন, সালমান, আব্দুল্লাহ, সোহাগ, বাবলু, জব্বার এবং পলাতক আসামি নুর হোছন, এমরান ও কেফায়েতসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন মিলে ধারালো টিপ ছুরি, রামদা, হাতুড়ি ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম সাবেরকে দোকান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে তার উপর নৃশংস হামলা চালায়।
গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন তার হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে ভিকটিম সাবেরের মাথায় আঘাত করলে সাবের মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপরও আসামিরা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে উপুর্যপরি আঘাত করতে থাকলে ভিকটিম সাবের অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মার্কেটের লোকজন এবং ভিকটিমের ভাই ঘটনাস্থলে এসে হাজির হলে সকল আসামীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবের এর মৃত্যু হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই সাদেক বাদী হয়ে ১৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা করার পরপরই আসামীরা নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করলে গত ২৯ এপ্রিল র্যাব-৩ এবং র্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর পল্টন এলাকা হতে হত্যা মামলার ৬ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়