টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ একদল পর্যটক
- Update Time : ০৭:৫৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
- / ১৫০ Time View
আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটকসহ একটি ডুবোযান হারিয়ে গেছে।
সোমবার বোস্টন কোস্টগার্ড বিবিসিকে জানিয়েছে, কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে ওই ডুবোযানটির খোঁজে এখন উদ্ধার অভিযান চলছে।
তবে নিখোঁজ হওয়ার সময় যানটিতে কতজন পর্যটক ছিলেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মিটার গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর জন্য মাঝে মাঝে পর্যটক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে যায় কতগুলো ছোট ছোট ডুবোজাহাজ।
ওশানগেট এক্সপিডিশন্স নামে একটি বেসরকারি কোম্পানি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নতুন একটি অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিল। সমুদ্রের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখিয়ে আনতে পর্যটকদের খরচ বাবদ আড়াই লাখ ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল ওই প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার রাতেই ওশানগেট এক্সপিডিশন্স নিশ্চিত করেছে, নিখোঁজ হওয়া ডুবোযানটি তাদেরই। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা সম্ভাব্য সব উপায়ে যানটিকে খুঁজছি। এতে থাকা যাত্রী এবং তাদের পরিবারের ওপর এখন আমাদের প্রধান ফোকাস।’
যানটিকে খুঁজে বের করার মিশনে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, পর্যটকবাহী ওই ডুবোযানগুলোতে পাঁচজন লোক বসতে পারেন। এর মধ্যে একজন পাইলট ও তিনজন অর্থ প্রদানকারী পর্যটক ছাড়াও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এক গাইডও থাকেন। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষটি ঘুরে দেখতে অন্ত আট ঘণ্টা সময় লাগে।
বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার স্থানটি কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সচল অবস্থায় টাইটানিক ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ। ১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বন্দর থেকে ২ হাজার ২০০ যাত্রী ও ক্রু নিয়ে জাহাজটি নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। পরে একটি বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এটি তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় জাহাজে থাকা দেড় হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
১৯৮৫ সালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়। এর পর থেকেই এখানে বিভিন্ন সময়ে অভিযাত্রী ও বিশেষজ্ঞরা অভিযান চালিয়ে আসছেন।