টঙ্গীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ, গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে

- Update Time : ০৩:৪০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
- / ১৩৯ Time View
গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শাখায় হঠাৎ করেই লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ এবং উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে নগদ উত্তোলন ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। এটিএম-এ টাকা নেই, কাউন্টারে কোনো উত্তর নেই।
স্থানীয় এক গ্রাহক আবদুল কাদের জানান, আমি হাসপাতালে রোগীর বিল দিতে গিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারিনি। এটিএম-এ টাকা নেই, কাউন্টারে বলছে ‘লেনদেন স্থগিত’। অথচ কোনো লিখিত নোটিশও নেই।
অনেকেই অভিযোগ করেন, সকাল থেকে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও কেউ সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বিকল্প ব্যাংকে একাউন্ট খোলার চেষ্টা করছেন। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক টঙ্গী শাখার ব্যবস্থাপক আলী ইসলাম বলেন, এটা হচ্ছে জমা স্বল্পতার কারণে আমাদের শাখায় পর্যাপ্ত ডিপোজিট না থাকায় অনেক সময় গ্রাহকের অনুরোধ অনুযায়ী টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান, মূল শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প উপায়ে টাকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তবে এটি এখনো পুরোপুরি সচল হয়নি।
সূত্রমতে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক সম্প্রতি একাধিক আর্থিক চাপে পড়েছে। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত খেলাপি ঋণ ও অর্থ ব্যবস্থাপনার অনিয়ম নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়া নজরদারি চলছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু সময়ের জন্য এই ব্যাংকের আন্তঃব্যাংক লেনদেন সীমিত করেছে।
ব্যাংকিং বিশ্লেষক মো. হাসান মাহমুদ বলেন, “যে কোনো ব্যাংকের উপর এভাবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কার্যকর হলে সাধারণ গ্রাহকরাই বেশি বিপাকে পড়েন। কর্তৃপক্ষের উচিৎ এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে তথ্য জানিয়ে গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনা।”
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ব্যাংকটির টঙ্গী শাখা থেকে দ্রুত লেনদেন চালু করতে হবে। পাশাপাশি, ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা ও লিখিত বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া অনভিপ্রেত। অনেকেই তাদের জমানো টাকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। টঙ্গীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকায় নানা পেশার মানুষ যেমন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও চাকরিজীবীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জমা স্বল্পতার কারণে ব্যাংক ম্যানেজার নিজেই অসহায় হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে ব্যাংকের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার দ্রুত হস্তক্ষেপ জরুরি।