ঢাকা ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষীদাতা সিরু বাঙালির ফাঁসির দাবি উন্নয়ন বৈষম্যের গ্যাঁড়াকলে রংপুর: একনেক থেকে বাদ পড়লো উন্নয়ন প্রকল্প আ’লীগ নেতা তুষার কান্তির ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর সিলেট ওসমানী মেডিকেলের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক মানহানি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান বসুন্ধরা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহালে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চায় শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিভি হাসপাতালের নার্স ও মিডওয়াইফারিরা মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করতে বললেন নাহিদ
তলিয়ে গেছে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর

জেলা প্রশাসকের যোগসাজশে কাদের মির্জার বালু উত্তোলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৬ Time View

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের যোগসাজশে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ডাকাতিয়া নদী এলাকা থেকে ৫০ কোটি টাকার বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে উজানের পানির চাপে তলিয়ে গেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মছাপুর রেগুলেটর।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

স্থানীয়রা জানায়, ২০০৪ সালে ডাকাতিয়া নদীর মুখে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে মুছাপুর রেগুলেটেরর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এর কাজ শেষ হয় ২০০৯ সালের দিকে। এতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর, চরপাবর্তী, চরহাজারী ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গা এবং অতিরিক্ত জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পায়। সোমবার সকালের দিকে প্রথমে রেগুলেটরে একটু ফাটল দেখা দেয়। এরপর সকাল ১০টার দিকে রেগুলেটরের মাঝ খানের অংশ ভেঙ্গে যায়। একপর্যায়ে পুরো রেগুলেটর ভেঙ্গে ডাকাতিয়া নদীতে তলিয়ে যায়।

এর আগে, গত ২৪ আগস্ট নোয়াখালীর বন্যার পানি নামাতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটরের তিন মিটার বাই তিন মিটার আয়তনের ২৩টি গেটের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়। ফলে কোম্পানীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎকন্ঠা দেখা গেছে।

মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন বলেন, গত ৪বছর ধরে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর ও তার ছোট ভাই জলদস্যু জালাল মুছাপুর রেগুলেটর এলাকার ডাকাতিয়া নদী থেকে অন্তত ৫০ কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে। ওই বালু উত্তোলনের ফলে আজ মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙ্গে তলিয়ে যায়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, বালু উত্তোলনের টাকার ভাগ পেত জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, কাদের মির্জার স্ত্রী আক্তার জাহান বকুল ও তার ছেলে তাশিক মির্জা কাদের। সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন এ ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপূর্ব আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

অভিযোগে বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের ফোনে কল করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তাদরে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিকবার সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন তার যোগসাজশে বালু উত্তোলনের বিষয়টি সত্য নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

তলিয়ে গেছে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর

জেলা প্রশাসকের যোগসাজশে কাদের মির্জার বালু উত্তোলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের যোগসাজশে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ডাকাতিয়া নদী এলাকা থেকে ৫০ কোটি টাকার বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে উজানের পানির চাপে তলিয়ে গেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মছাপুর রেগুলেটর।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

স্থানীয়রা জানায়, ২০০৪ সালে ডাকাতিয়া নদীর মুখে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে মুছাপুর রেগুলেটেরর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এর কাজ শেষ হয় ২০০৯ সালের দিকে। এতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর, চরপাবর্তী, চরহাজারী ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গা এবং অতিরিক্ত জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পায়। সোমবার সকালের দিকে প্রথমে রেগুলেটরে একটু ফাটল দেখা দেয়। এরপর সকাল ১০টার দিকে রেগুলেটরের মাঝ খানের অংশ ভেঙ্গে যায়। একপর্যায়ে পুরো রেগুলেটর ভেঙ্গে ডাকাতিয়া নদীতে তলিয়ে যায়।

এর আগে, গত ২৪ আগস্ট নোয়াখালীর বন্যার পানি নামাতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটরের তিন মিটার বাই তিন মিটার আয়তনের ২৩টি গেটের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়। ফলে কোম্পানীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎকন্ঠা দেখা গেছে।

মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন বলেন, গত ৪বছর ধরে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর ও তার ছোট ভাই জলদস্যু জালাল মুছাপুর রেগুলেটর এলাকার ডাকাতিয়া নদী থেকে অন্তত ৫০ কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে। ওই বালু উত্তোলনের ফলে আজ মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙ্গে তলিয়ে যায়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, বালু উত্তোলনের টাকার ভাগ পেত জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, কাদের মির্জার স্ত্রী আক্তার জাহান বকুল ও তার ছেলে তাশিক মির্জা কাদের। সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন এ ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপূর্ব আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

অভিযোগে বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের ফোনে কল করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তাদরে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিকবার সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন তার যোগসাজশে বালু উত্তোলনের বিষয়টি সত্য নয়।