ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুলাই থেকে ‘টিচিং ইভ্যালুয়েশন’ সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ১২৩৫ Time View

আগামী জুলাই থেকে শিক্ষক মূল্যায়ন কার্যক্রম বা ‘টিচিং ইভ্যালুয়েশন’ সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে অনলাইনে নির্ধারিত ফরমে পাঁচটি সূচক ও সংশ্লিষ্ট উপসূচকের আলোকে সম্মানিত শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিশেষ সেমিনার ও ওয়ার্কশপের মাধ্যমে টিচিং ইভ্যালুয়েশনের প্যারামিটার সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধারণা দেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ নভেম্বর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এই কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শিক্ষার সামগ্রিক গুণগতমান উন্নয়ন ও শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে টিচিং ইভ্যালুয়েশন কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত দিয়েছেন বিশিষ্ট জনরা।

সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের অভিমত, ‘টিচিং ইভ্যালুয়েশন’ সিস্টেমের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়বে এবং শিক্ষকদের রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি বাড়বে।

পাশাপাশি এ ব্যবস্থা চালু হলে কোন শিক্ষক কেমন পড়ান, তাঁর কোর্সের বিষয়বস্তু কেমন, তিনি সময়মতো ক্লাসে যাচ্ছেন কি-না, কোর্স ম্যাটারিয়ালস সরবরাহ করছে কিনা, মিডটার্ম, এসাইনমেন্ট ঠিকমতো নিচ্ছেন কিনা এবং সেগুলো ঠিকমতো মূল্যায়ন হচ্ছে কিনা- এ সকল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সামগ্রিক গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে টিচিং ইভ্যালুয়েশন সিস্টেম কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে ।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘টিচিং ইভ্যালুয়েশন’ প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরী, যোগ্যতা বৃদ্ধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষকের দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

এ বছরের জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

জুলাই থেকে ‘টিচিং ইভ্যালুয়েশন’ সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

আগামী জুলাই থেকে শিক্ষক মূল্যায়ন কার্যক্রম বা ‘টিচিং ইভ্যালুয়েশন’ সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে অনলাইনে নির্ধারিত ফরমে পাঁচটি সূচক ও সংশ্লিষ্ট উপসূচকের আলোকে সম্মানিত শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিশেষ সেমিনার ও ওয়ার্কশপের মাধ্যমে টিচিং ইভ্যালুয়েশনের প্যারামিটার সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধারণা দেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ নভেম্বর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এই কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শিক্ষার সামগ্রিক গুণগতমান উন্নয়ন ও শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে টিচিং ইভ্যালুয়েশন কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত দিয়েছেন বিশিষ্ট জনরা।

সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের অভিমত, ‘টিচিং ইভ্যালুয়েশন’ সিস্টেমের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়বে এবং শিক্ষকদের রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি বাড়বে।

পাশাপাশি এ ব্যবস্থা চালু হলে কোন শিক্ষক কেমন পড়ান, তাঁর কোর্সের বিষয়বস্তু কেমন, তিনি সময়মতো ক্লাসে যাচ্ছেন কি-না, কোর্স ম্যাটারিয়ালস সরবরাহ করছে কিনা, মিডটার্ম, এসাইনমেন্ট ঠিকমতো নিচ্ছেন কিনা এবং সেগুলো ঠিকমতো মূল্যায়ন হচ্ছে কিনা- এ সকল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সামগ্রিক গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে টিচিং ইভ্যালুয়েশন সিস্টেম কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে ।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘টিচিং ইভ্যালুয়েশন’ প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরী, যোগ্যতা বৃদ্ধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষকের দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

এ বছরের জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।