ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুয়া খেলা নিয়ে সংঘর্ষে দু’জন নিহতের ঘটনায় ওসি ক্লোজড

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:১৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
  • / ১৮১ Time View

কুষ্টিয়ায় ক্যারাম বোর্ডে জুয়া খেলা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় ওসি শাহাদৎ হোসেনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২০ মে) পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নির্দেশে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিকে হত্যার ঘটনায় দু’পক্ষ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। নিহত ওমর আলীর মেয়ে জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি ও মিরাজ হত্যা মামলায় রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে পৃথক মামলা করেন।

তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিসহ বোয়ালদহ-কান্তিনগর গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলে এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শীঘ্রই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য,গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ গ্রামের কান্তিনগর মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন কান্তিনগর এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে ওমর আলী (৬৫) ও শুকলাল সর্দারের ছেলে মিরাজ হোসেন (৫০)। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত আটটার দিকে কান্তিনগর মোড়ে আরিফের দোকানের ক্যারামবোর্ডে টাকা দিয়ে জুয়া খেলা শুরু করেন কয়েকজন। খেলা চলাকালে ওমর আলী ও মিরাজ আলীর মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। একপর্যায়ে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে স্থানীয় একজন পুলিশকে খবর দেয়। কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ এসে জুয়াড়িদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

তারা আরও জানান, পুলিশ চলে যাবার পর রাত আটটার দিকে মিরাজ দেশীয় অস্ত্রসহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে নিয়ে ওমর আলীর ওপর হামলা করে। এসময় ওমর আলীর পক্ষের লোকজনও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের কোপে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন জখম হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে প্রথমে ওমর আলী ও পরে মিরাজ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

Please Share This Post in Your Social Media

জুয়া খেলা নিয়ে সংঘর্ষে দু’জন নিহতের ঘটনায় ওসি ক্লোজড

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
Update Time : ১০:১৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

কুষ্টিয়ায় ক্যারাম বোর্ডে জুয়া খেলা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় ওসি শাহাদৎ হোসেনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২০ মে) পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নির্দেশে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিকে হত্যার ঘটনায় দু’পক্ষ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। নিহত ওমর আলীর মেয়ে জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি ও মিরাজ হত্যা মামলায় রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে পৃথক মামলা করেন।

তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিসহ বোয়ালদহ-কান্তিনগর গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলে এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শীঘ্রই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য,গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ গ্রামের কান্তিনগর মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন কান্তিনগর এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে ওমর আলী (৬৫) ও শুকলাল সর্দারের ছেলে মিরাজ হোসেন (৫০)। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত আটটার দিকে কান্তিনগর মোড়ে আরিফের দোকানের ক্যারামবোর্ডে টাকা দিয়ে জুয়া খেলা শুরু করেন কয়েকজন। খেলা চলাকালে ওমর আলী ও মিরাজ আলীর মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। একপর্যায়ে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে স্থানীয় একজন পুলিশকে খবর দেয়। কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ এসে জুয়াড়িদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

তারা আরও জানান, পুলিশ চলে যাবার পর রাত আটটার দিকে মিরাজ দেশীয় অস্ত্রসহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে নিয়ে ওমর আলীর ওপর হামলা করে। এসময় ওমর আলীর পক্ষের লোকজনও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের কোপে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন জখম হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে প্রথমে ওমর আলী ও পরে মিরাজ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।