ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে – পরিবেশ উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা ভারত-পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে : ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারিবারিক অনুষ্ঠানে গেলেন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় ৫২ মিলিয়ন মানুষ বাংলাদেশে বন্যার ঝুঁকির মধ্যে থাকবে : পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ সব সমস্যার সমাধান নয়: গয়েশ্বর বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না : মির্জা ফখরুল লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধর, যুবক আটক শাহবাগ ছেড়ে এবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আন্দোলনকারীরা

জুতার সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৭:৪৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • / ১৭৪ Time View

রাজধানীর উত্তরখানে হাজেরা খাতুন (৮০) নামে এক বৃদ্ধা হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে। সিগারেট ও জুতার সূত্র ধরে মামলাটির রহস্য উদঘাটন করা হয়। এ ঘটনায় আরব আলী (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ জুন) আরব আলীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিসি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

এর আগে উত্তরখানের মাস্টারপাড়ার ওজাপাড়া ৮২/৩ নম্বর বাড়ির উত্তর পাশের রুমে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পায় পুলিশ। পরে রাত ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধার মেয়ে নাজমুন নাহার বীনা বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে হত্যা মামলা করেন।

উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার সিগারেটের অংশ বিশেষ, আসামির ব্যবহৃত জুতা ও ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিটিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করা হয়। এসব আলামতের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল আসামি মো. আরব আলীকে (৫৮) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং এলাকা থেকে বুধবার (৫ জুলাই) গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, নিহত হাজেরা বেগম বাড়ির সর্ব উত্তরে রুমে একা বসবাস করতেন। দক্ষিণ পাশের চারটি রুমে ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন। কিছুদিন আগে ভাড়াটিয়া নাসিমা বেগম ও আরব আলীর সঙ্গে বাসা ভাড়া সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৩ জুলাই) নিহত বৃদ্ধাকে তার মেয়ে একাধিকবার ফোন করে পাননি। পরের দিন মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে মামাতো ভাই রবিন মামলার বাদীকে ফোন করে জানান- হাজেরা বেগমের রুম ছিল বাইরের দিক থেকে তালাবদ্ধ। জানালা দিয়ে ফ্লোরে শোয়া অবস্থায় তাকে দেখা যায়। পরে বাদীর মামা আবুল হোসেন ও তার মামাতো ভাই রবিনসহ আশেপাশের লোকজন এসে রুমের তালা ভেঙ্গে ফ্লোর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে বাসার বিছানার উপর মালামাল এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।

মামলার অভিযোগে বীনা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তার মায়ের মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলিয়ে হত্যা করে রুমের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় খুনিরা।

Please Share This Post in Your Social Media

জুতার সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৭:৪৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

রাজধানীর উত্তরখানে হাজেরা খাতুন (৮০) নামে এক বৃদ্ধা হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে। সিগারেট ও জুতার সূত্র ধরে মামলাটির রহস্য উদঘাটন করা হয়। এ ঘটনায় আরব আলী (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ জুন) আরব আলীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিসি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

এর আগে উত্তরখানের মাস্টারপাড়ার ওজাপাড়া ৮২/৩ নম্বর বাড়ির উত্তর পাশের রুমে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পায় পুলিশ। পরে রাত ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধার মেয়ে নাজমুন নাহার বীনা বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে হত্যা মামলা করেন।

উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার সিগারেটের অংশ বিশেষ, আসামির ব্যবহৃত জুতা ও ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিটিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করা হয়। এসব আলামতের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল আসামি মো. আরব আলীকে (৫৮) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং এলাকা থেকে বুধবার (৫ জুলাই) গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, নিহত হাজেরা বেগম বাড়ির সর্ব উত্তরে রুমে একা বসবাস করতেন। দক্ষিণ পাশের চারটি রুমে ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন। কিছুদিন আগে ভাড়াটিয়া নাসিমা বেগম ও আরব আলীর সঙ্গে বাসা ভাড়া সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৩ জুলাই) নিহত বৃদ্ধাকে তার মেয়ে একাধিকবার ফোন করে পাননি। পরের দিন মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে মামাতো ভাই রবিন মামলার বাদীকে ফোন করে জানান- হাজেরা বেগমের রুম ছিল বাইরের দিক থেকে তালাবদ্ধ। জানালা দিয়ে ফ্লোরে শোয়া অবস্থায় তাকে দেখা যায়। পরে বাদীর মামা আবুল হোসেন ও তার মামাতো ভাই রবিনসহ আশেপাশের লোকজন এসে রুমের তালা ভেঙ্গে ফ্লোর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে বাসার বিছানার উপর মালামাল এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।

মামলার অভিযোগে বীনা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তার মায়ের মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলিয়ে হত্যা করে রুমের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় খুনিরা।