ব্রেকিং নিউজঃ
জাল সনদে চাকরি শিক্ষককে অব্যাহতি

লাতিফুল আজম,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি
- Update Time : ০৬:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
- / ১৭ Time View
অর্থ আত্মসাৎ ও সনদপত্র জাল প্রমাণিত হওয়ায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডী শামসুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক(শরীর চর্চা) নবিবুর রহমানকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত ০৯ মার্চ-২০২৫ ইং তারিখে মাদরাসার সুপার আব্দুল মতিনের সই করা অফিস আদেশে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অফিস আদেশে জানা যায়, স্বীকৃতি প্রাপ্ত বে-সরকারী মাদ্রাসা শিক্ষকগণের চাকুরীর শর্ত বিধিমালা ১৯৭৯ (নং ১২৭৩০/পি-৯৯ মাদ্রাসা শিক্ষা অধ্যাদেশ ১৯৭৮ ধারার ক্ষমতা বলে) এর বিধি ১১ ও ১৫ অনুযায়ী অত্র মাদ্রাসার জালিয়াতির মাধ্যমে মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। মাদ্রাসার মন্ত্রণালয়ের অডিট অফিসারের চাহিদার প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষক বি,এ-২য়- জাঃ বিঃ ২০০২ এর মূল সনদপত্র প্রদানে টালবাহানা করায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারী-২০২৩ তারিখে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি তার বেতন ভাতা স্থগিত করেন।
মূল সনদ প্রদর্শনের জন্য তাকে ৩টি কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশের জবাব দাখিল না করায় পরবর্তীতে ওই শিক্ষকের সনদ পত্রের ফটোকপি নিরীক্ষার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরে পাঠাইলে যাচাই করলে তা জাল প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পত্র প্রদান করেন।
গত তারিখ ২৭ জানুয়ারী-২০২৫ এর কমিটি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার নিয়োগ প্রাপ্ত বি,এ ২য় পাশ সনদটি জাল প্রমানিত হওয়ায় তার বেতন ভাতা না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্র মোতাবেক তার সাময়িক সনদ বি.এ পাশ পরীক্ষা ২০০২ ফলাফল দ্বিতীয় শ্রেনীর সনদটি জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাকে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরী গ্রহণের দ্বায়ে গত ০৬ মার্চ-২০২৫ তারিখে পরিচালনা পর্ষদগনের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত বিধির ১২ অনুচ্ছেদ মোতাবেক নবীবুর রহমানকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ চাকুরী থেকে অব্যাহিত দেন।
এবিষয়ে নবীবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মাদরাসার এডহক কমিটির আহবায়ক গোলাম রব্বানী বলেন,নবীবুর রহমানের বিএ সনদপত্র জাল এবং মাদরাসার অর্থ আত্নসাত করেছেন। এর আগে তাকে তিনবার কারন দর্শানোর নোটিশ করলেও কোন জবাব দেয়নি। আমরা তার সম্পুর্ণ বিষয় বিশ্লেষণ করে এডহক কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সুপার আব্দুল মতিন বলেন,অর্থ আত্মসাৎ ও সনদপত্র জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহিত করা হয়েছে। এর আগে তাকে তিনবার কারন দর্শানোর নোটিশ করলেও কোন জবাব দেয়নি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়