ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিকল্প জীবিকা ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে – পরিবেশ উপদেষ্টা আমরা যদি প্রকৃতিকে ধ্বংস করি, প্রকৃতিও আমাদের রক্ষা করবে না- পরিবেশ উপদেষ্টা নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জবরদখলকৃত ২ একর বনভূমি উদ্ধার মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল রংপুর পুতুলকে ছুটিতে পাঠালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টঙ্গীতে জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে জাককানইবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ “চব্বিশ-এক ফ্যাসিবাদের বিদায় ঘটিয়েছে, বাংলায় আরেক ফ্যাসিবাদ ফিরলে ছাত্রজনতা ঘরে বসে থাকবে না” নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে শেকৃবি শিক্ষার্থীরা

জার্মানিতে গ্রাম ছেড়ে শহরে ছুটছে মানুষ

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:০০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২০৩ Time View

ইউরোপসহ বিশ্বের উন্নত অনেকে দেশে এমন প্রবণতা দেখা গেলেও ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটছে জার্মানিতে। এই দেশে শহর ছেড়ে বরং গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে।

জার্মানির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের পর ৩০ বছল থেকে ৪৯ বছর বয়সী, যাদের সন্তান আছে এবং ২৫ বছর থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ পেশাজীবীদের মধ্যে গ্রামে বসবাসের প্রবণতা বেড়েছে।

বার্লিন ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের গবেষকেরা বলছেন, অতীতের চেয়ে বর্তমানে গ্রামের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে।

সংস্থার সামাজিক মনোবিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক জিক্সটাস বলছেন, ২০২১ সালে দুই-তৃতীয়াংশ গ্রামীণ সমাজে জনসংখ্যা বেড়েছে। এই তথ্য এক দশক আগে প্রতি চারটি গ্রামীণ সমাজের মধ্যে মাত্র একটির জন্য সত্য ছিল।

পরিস্থিতি বুঝতে ভ্যুস্টেনরোট ফাউন্ডেশন ও বার্লিনের ওই ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা জনসংখ্যা বাড়ছে এমন ছয়টি গ্রামীণ সমাজ পরিদর্শন করেছেন।

সেখানে তারা বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। একজন নতুন বাসিন্দা তাদের জানান, ‘আমি অনেক ভেবে গ্রামে আসার কথা ভেবেছি কারণ এখানে মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধন অনেক শক্তিশালী।

আর সত্যি বলতে, কিছু নির্মাণ করতে গেলে খরচ একটা বড় বিষয়। অবশ্যই গ্রামে বিষয়টা অনেক অন্যরকম।’

কম খরচে বসবাস, প্রকৃতির সান্নিধ্য আর কম দূষণ – এসব কারণে মানুষ গ্রামে যাচ্ছেন বলে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন।

সামাজিক মনোবিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক জিক্সটাস বলছেন, করোনার পর ঘরে থেকে চাকরি করা সম্ভব হওয়ার কারণেও অনেকে গ্রামে যাচ্ছেন।

জার্মানিতে গ্রামে যাওয়ার প্রবণতা বাড়লেও ইউরোপের অন্যান্য দেশে পরিস্থিতি উল্টো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের হিসাব বলছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ইইউর ৪০৬টি গ্রামীণ এলাকার মধ্যে ৩৫৫টি থেকে মানুষ শহরে পাড়ি জমিয়েছেন।

এসব এলাকায় তরুণ ও কাজের বয়স আছে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কমেছে। সেই তুলনায় ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা বছরে গড়ে এক দশমিক আট শতাংশ করে বেড়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

জার্মানিতে গ্রাম ছেড়ে শহরে ছুটছে মানুষ

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৪:০০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউরোপসহ বিশ্বের উন্নত অনেকে দেশে এমন প্রবণতা দেখা গেলেও ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটছে জার্মানিতে। এই দেশে শহর ছেড়ে বরং গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে।

জার্মানির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের পর ৩০ বছল থেকে ৪৯ বছর বয়সী, যাদের সন্তান আছে এবং ২৫ বছর থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ পেশাজীবীদের মধ্যে গ্রামে বসবাসের প্রবণতা বেড়েছে।

বার্লিন ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের গবেষকেরা বলছেন, অতীতের চেয়ে বর্তমানে গ্রামের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে।

সংস্থার সামাজিক মনোবিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক জিক্সটাস বলছেন, ২০২১ সালে দুই-তৃতীয়াংশ গ্রামীণ সমাজে জনসংখ্যা বেড়েছে। এই তথ্য এক দশক আগে প্রতি চারটি গ্রামীণ সমাজের মধ্যে মাত্র একটির জন্য সত্য ছিল।

পরিস্থিতি বুঝতে ভ্যুস্টেনরোট ফাউন্ডেশন ও বার্লিনের ওই ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা জনসংখ্যা বাড়ছে এমন ছয়টি গ্রামীণ সমাজ পরিদর্শন করেছেন।

সেখানে তারা বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। একজন নতুন বাসিন্দা তাদের জানান, ‘আমি অনেক ভেবে গ্রামে আসার কথা ভেবেছি কারণ এখানে মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধন অনেক শক্তিশালী।

আর সত্যি বলতে, কিছু নির্মাণ করতে গেলে খরচ একটা বড় বিষয়। অবশ্যই গ্রামে বিষয়টা অনেক অন্যরকম।’

কম খরচে বসবাস, প্রকৃতির সান্নিধ্য আর কম দূষণ – এসব কারণে মানুষ গ্রামে যাচ্ছেন বলে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন।

সামাজিক মনোবিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক জিক্সটাস বলছেন, করোনার পর ঘরে থেকে চাকরি করা সম্ভব হওয়ার কারণেও অনেকে গ্রামে যাচ্ছেন।

জার্মানিতে গ্রামে যাওয়ার প্রবণতা বাড়লেও ইউরোপের অন্যান্য দেশে পরিস্থিতি উল্টো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের হিসাব বলছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ইইউর ৪০৬টি গ্রামীণ এলাকার মধ্যে ৩৫৫টি থেকে মানুষ শহরে পাড়ি জমিয়েছেন।

এসব এলাকায় তরুণ ও কাজের বয়স আছে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কমেছে। সেই তুলনায় ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা বছরে গড়ে এক দশমিক আট শতাংশ করে বেড়েছে।