ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, রক্তক্ষরণে মৃত্যু ডিবি পরিচয়ে বাসর ঘরে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার লুট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ পাকিস্তান সেনা-তালেবানের মধ্যে গোলাগুলি, সীমান্তে উত্তেজনা তিন সপ্তাহ পর নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

জামায়াতের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব‌্যুরো
  • Update Time : ০৭:০৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • / ২৬৮ Time View

রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক জামায়াত নেতা আবুল হাসনাত রতন (৪৮) কে ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার চেয়ারম্যান মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়নের জামায়াতের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি।

সোমবার (১৯ মে) বিকেলে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান। আজ সকালে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঢাকার শাহাজানপুর থেকে র‌্যাবের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কাজে ইউনিয়নের বাইরে গেলে ওই নারী সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিতেন। এভাবে ওই নারী সদস্যের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। গত ২৮ মার্চ সরকারি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনার কথা বলে রংপুর নগরীর আদর্শপাড়ার ভাড়া বাসায় ওই মহিলা সদস্যকে ডেকে নেন তিনি। ওই বাড়িতে আলোচনার একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাঁকে শারীরিক মেলামেশার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে ওই ইউপি সদস্য রাজি না হলে তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান।

ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, ‘রমজান মাস এবং ঈদের কয়েক দিন আগে চেয়ারম্যান আমাকে রংপুর শহরে আদর্শপাড়ার বাসায় সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মডার্ন মোড় থেকে চেয়ারম্যানের পিএস আল আমিন আমাকে ওই বাসায় নিয়ে যান। চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনার একপর্যায়ে আল আমিন চলে যাওয়ায়, চেয়ারম্যান রতন একা পেয়ে আমাকে ধর্ষণ করেন। এরপর চেয়ারম্যান বাথরুমে গেলে আমি তাৎক্ষনিকভাবে কয়েকজন ইউপি সদস্যকে ঘটনাটা জানাই। পরে চেয়ারম্যান আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দিয়ে আমাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর দীর্ঘদিনেও আমি বিচার না পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।’

এদিকে ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দেন চেয়ারম্যান। যার কারনে বিরম্বনায় পরেছেন সেবাপ্রার্থীরা। চেয়ারম্যান না থাকায় কোন সেবাই পাচ্ছেন না তারা।

রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তার পরিষদের নারী সদস্য। সেই মামলা প্রেক্ষিতে আজ সকালে ঢাকার শাহাজানপুর থেকে র‌্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

জামায়াতের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব‌্যুরো
Update Time : ০৭:০৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক জামায়াত নেতা আবুল হাসনাত রতন (৪৮) কে ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার চেয়ারম্যান মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়নের জামায়াতের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি।

সোমবার (১৯ মে) বিকেলে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান। আজ সকালে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঢাকার শাহাজানপুর থেকে র‌্যাবের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কাজে ইউনিয়নের বাইরে গেলে ওই নারী সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিতেন। এভাবে ওই নারী সদস্যের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। গত ২৮ মার্চ সরকারি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনার কথা বলে রংপুর নগরীর আদর্শপাড়ার ভাড়া বাসায় ওই মহিলা সদস্যকে ডেকে নেন তিনি। ওই বাড়িতে আলোচনার একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাঁকে শারীরিক মেলামেশার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে ওই ইউপি সদস্য রাজি না হলে তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান।

ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, ‘রমজান মাস এবং ঈদের কয়েক দিন আগে চেয়ারম্যান আমাকে রংপুর শহরে আদর্শপাড়ার বাসায় সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মডার্ন মোড় থেকে চেয়ারম্যানের পিএস আল আমিন আমাকে ওই বাসায় নিয়ে যান। চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনার একপর্যায়ে আল আমিন চলে যাওয়ায়, চেয়ারম্যান রতন একা পেয়ে আমাকে ধর্ষণ করেন। এরপর চেয়ারম্যান বাথরুমে গেলে আমি তাৎক্ষনিকভাবে কয়েকজন ইউপি সদস্যকে ঘটনাটা জানাই। পরে চেয়ারম্যান আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দিয়ে আমাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর দীর্ঘদিনেও আমি বিচার না পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।’

এদিকে ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দেন চেয়ারম্যান। যার কারনে বিরম্বনায় পরেছেন সেবাপ্রার্থীরা। চেয়ারম্যান না থাকায় কোন সেবাই পাচ্ছেন না তারা।

রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তার পরিষদের নারী সদস্য। সেই মামলা প্রেক্ষিতে আজ সকালে ঢাকার শাহাজানপুর থেকে র‌্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।