ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সভায় ডিইউজে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্যানেলের সিদ্ধান্ত গৃহীত বাংলাদেশি তরুণীদের কাজের কথা বলে চীনে নিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে নৌকা ডুবে কিশোরের মৃত্যু ফ্যাসিস্টদেরকে আমরা আর ফেরত চাই না : মির্জা ফখরুল আ.লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার টাকা মিরপুরে আগুনে ১৬ জনের লাশ উদ্ধার, তল্লাশি চলছে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি এক ক্লিকে আদালতের রায় সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে: আইন উপদেষ্টা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ

জাবিতে মশার ভয়াবহ উপদ্রব, অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

জাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:০৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১২২ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উৎপাত চরম আকার ধারণ করছে। কাজ হচ্ছে না কয়েল কিংবা অ্যারোসল ব্যবহারে। দিনের বেলায়ও হলের কক্ষগুলোতে টানাতে হচ্ছে মশারি। ভয়াবহ এ উপদ্রবে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। ক্যাম্পাসে নগরায়ণ, ঘন ঝোপঝাড়, ড্রেন, নর্দমা, ময়লা-আবর্জনা ও জলাশয়গুলোর নোংরা পানি এবং যত্রতত্র জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মশার উৎপত্তি বেশি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া মশা নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়মিত ওষুধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান থাকার কথা থাকলেও তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্টরা জানান, দিনের বেলায় কম হলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই মশার উৎপাত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সন্ধ্যার পর মুক্তমঞ্চ, সেন্ট্রাল ফিল্ড, টিএসসি এলাকা এমনকি পুরো ক্যাম্পাসেই যেকোনো জায়গায় মশার উপদ্রবে বসা বা দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। এছাড়া আবাসিক হল ও এলাকাগুলোয় রাতে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন তারা। রাতের পাশাপাশি দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীন বলেন, রাত-দিন সব সময়ই মশার উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যার পর জানালা খোলা রাখাই যায় না। নিয়ম করে মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদেরও অবহেলা রয়েছে।

শহীদ রফিক জাব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সিফাত ইসলাম বলেন, “ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রবে থাকা বড়ই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে শুনলাম সামনে মশার পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায় প্রশাসনের উচিৎ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু এখন অব্দি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এমন অবস্থা হচ্ছে যে দিনের বেলাতেও মশারী টানিয়ে রাখতে হবে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলা ও অসচেতনতার কারণেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। হলরুম, লাইব্রেরি কিংবা আড্ডার স্থান কোথাও মশা থেকে রেহাই নেই। যেখানেই যাই চারিদিকে শুধু মশা আর মশা। ড্রেন, লেক, পুকুরগুলোতে নেই নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। প্রশাসন আগে থেকে যদি পদক্ষেপ নিতো তাহলে মশার উপদ্রব এই পর্যায়ে পৌঁছাতো না। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় প্রশাসন মশা নিধনে ব্যর্থ।’

Please Share This Post in Your Social Media

জাবিতে মশার ভয়াবহ উপদ্রব, অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

জাবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:০৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উৎপাত চরম আকার ধারণ করছে। কাজ হচ্ছে না কয়েল কিংবা অ্যারোসল ব্যবহারে। দিনের বেলায়ও হলের কক্ষগুলোতে টানাতে হচ্ছে মশারি। ভয়াবহ এ উপদ্রবে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। ক্যাম্পাসে নগরায়ণ, ঘন ঝোপঝাড়, ড্রেন, নর্দমা, ময়লা-আবর্জনা ও জলাশয়গুলোর নোংরা পানি এবং যত্রতত্র জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মশার উৎপত্তি বেশি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া মশা নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়মিত ওষুধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান থাকার কথা থাকলেও তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্টরা জানান, দিনের বেলায় কম হলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই মশার উৎপাত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সন্ধ্যার পর মুক্তমঞ্চ, সেন্ট্রাল ফিল্ড, টিএসসি এলাকা এমনকি পুরো ক্যাম্পাসেই যেকোনো জায়গায় মশার উপদ্রবে বসা বা দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। এছাড়া আবাসিক হল ও এলাকাগুলোয় রাতে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন তারা। রাতের পাশাপাশি দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীন বলেন, রাত-দিন সব সময়ই মশার উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যার পর জানালা খোলা রাখাই যায় না। নিয়ম করে মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদেরও অবহেলা রয়েছে।

শহীদ রফিক জাব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সিফাত ইসলাম বলেন, “ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রবে থাকা বড়ই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে শুনলাম সামনে মশার পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায় প্রশাসনের উচিৎ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু এখন অব্দি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এমন অবস্থা হচ্ছে যে দিনের বেলাতেও মশারী টানিয়ে রাখতে হবে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলা ও অসচেতনতার কারণেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। হলরুম, লাইব্রেরি কিংবা আড্ডার স্থান কোথাও মশা থেকে রেহাই নেই। যেখানেই যাই চারিদিকে শুধু মশা আর মশা। ড্রেন, লেক, পুকুরগুলোতে নেই নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। প্রশাসন আগে থেকে যদি পদক্ষেপ নিতো তাহলে মশার উপদ্রব এই পর্যায়ে পৌঁছাতো না। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় প্রশাসন মশা নিধনে ব্যর্থ।’