ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিকে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ১১:১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৬ Time View

ঢাকার সাভারে শুক্রবার মধ্যরাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির সাভার থানা শাখার এক প্রতিনিধিকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং অপর এক প্রতিনিধিকে হয়রানির ঘটনায় বিক্ষোভ করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি সাভার থানা শাখা।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ কর্মসূচি পালন করে তারা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শহীদ ইয়ামিন চত্বরে জড়ো হন জাতীয় নাগরিক কমিটি সাভার ও আশুলিয়া থানা শাখার প্রতিনিধিরা। এ সময় তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। পরে তারা সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে সেখান থেকে মশালমিছিল বের করেন। মিছিলটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচামুখী লেন দিয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় নিজ বাসা থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির সাভার থানা প্রতিনিধি জুলকারনাইনকে তুলে নিয়ে যায় যৌথ বাহিনী। শনিবার সকালে তাকে সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বেলা ১১টার দিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাভার বাজার রোডে অপর এক প্রতিনিধি সেজুতি হোসাইনের বাসায় গিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কয়েক দফায় পরিচয় না দিয়ে দরজা খোলার নির্দেশ দিয়ে হয়রানি করেছেন।

সেজুতি হোসাইন বলেন, ‘সকালে দুজন অপরিচিত লোক বাসার সামনে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। তাদের চিনতে না পারায় দরজা খুলিনি। বারবার লোক পরিবর্তন হচ্ছিল। কখনও দুজন, কখনও একজন, এভাবে তিনবার আসেন তারা। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তারা আসতে থাকেন। তারা শুধু দরজা খোলার নির্দেশ দেন; কিন্তু পরিচয় জানতে চাইলে দেননি। তারা সিভিল পোশাকে ছিলেন। তারা কারা আমি জানি না।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাঁরা জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের ট্রাইব্যুনালে বিচারের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করা হোক। আমরা দেখছি, পুরোনো ফ্যাসিস্ট কায়দায় এখন ছাত্র–জনতা স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কোনো আন্দোলন–সংগ্রামে অংশ নিলে আন্দোলনকারীদের রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, যৌথ বাহিনী জুলকারনাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমাদের কাছে দিয়েছিল। পরে তাঁকে বেলা ১১টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিকে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ১১:১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকার সাভারে শুক্রবার মধ্যরাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির সাভার থানা শাখার এক প্রতিনিধিকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং অপর এক প্রতিনিধিকে হয়রানির ঘটনায় বিক্ষোভ করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি সাভার থানা শাখা।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ কর্মসূচি পালন করে তারা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শহীদ ইয়ামিন চত্বরে জড়ো হন জাতীয় নাগরিক কমিটি সাভার ও আশুলিয়া থানা শাখার প্রতিনিধিরা। এ সময় তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। পরে তারা সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে সেখান থেকে মশালমিছিল বের করেন। মিছিলটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচামুখী লেন দিয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় নিজ বাসা থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির সাভার থানা প্রতিনিধি জুলকারনাইনকে তুলে নিয়ে যায় যৌথ বাহিনী। শনিবার সকালে তাকে সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বেলা ১১টার দিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাভার বাজার রোডে অপর এক প্রতিনিধি সেজুতি হোসাইনের বাসায় গিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কয়েক দফায় পরিচয় না দিয়ে দরজা খোলার নির্দেশ দিয়ে হয়রানি করেছেন।

সেজুতি হোসাইন বলেন, ‘সকালে দুজন অপরিচিত লোক বাসার সামনে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। তাদের চিনতে না পারায় দরজা খুলিনি। বারবার লোক পরিবর্তন হচ্ছিল। কখনও দুজন, কখনও একজন, এভাবে তিনবার আসেন তারা। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তারা আসতে থাকেন। তারা শুধু দরজা খোলার নির্দেশ দেন; কিন্তু পরিচয় জানতে চাইলে দেননি। তারা সিভিল পোশাকে ছিলেন। তারা কারা আমি জানি না।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাঁরা জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের ট্রাইব্যুনালে বিচারের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করা হোক। আমরা দেখছি, পুরোনো ফ্যাসিস্ট কায়দায় এখন ছাত্র–জনতা স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কোনো আন্দোলন–সংগ্রামে অংশ নিলে আন্দোলনকারীদের রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, যৌথ বাহিনী জুলকারনাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমাদের কাছে দিয়েছিল। পরে তাঁকে বেলা ১১টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নওরোজ/এসএইচ