ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় ঐক্যের ঐকতান ছড়িয়ে যাক প্রাণে

মোহাম্মদ আলম
  • Update Time : ০৬:০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২৮ Time View

একতাই বল। সবে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে যেভাবে সব শ্রেনী পেশার প্রতিনিধি সরকার প্রধানের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তা অভুতপূর্ব। জাতীয় ঐক্যের উদ্দেশ্য যেন একটি সাজানো গোছানো কক্ষে সভা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। দেশের জনসাধারণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। জুলাই-আগষ্টে ছাত্র জনতার ডাকে যেভাবে সব শ্রেনী পেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।

দেশের অগ্রযাত্রায় সেভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। চার দেয়ালের মধ্যে ঐক্যের যে বীজ রোপিত হয়েছে। তা দেশের প্রতিটি নাগরিকের হৃদয়ে উত্থিত হোক। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দদেরই সেই কাজটি করতে হবে। দেশের জনসাধারণের মাঝে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পৌছে দিতে হবে। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সরাসরি সম্পর্ক আছে। জাতীয় ঐক্যের ঐকতানে জাতিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

ঐক্যের ডাকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের ডাক না পাওয়া নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিই মূলত দায়ি। এটা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা না। যদি এই পরিস্থিতিতে এসব দলের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যের কাফেলায় সামিল করা হয় তবে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাছাড়া তারা (আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি) কিন্তু কৃতকর্মের জন্য একবারের জন্যও অনুতপ্ত না। বরং আওয়ামী লীগ সভাপতি ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে হেনস্থা করার জন্য হেন কোন কাজ বাকি রাখেননি। এখন দেশের জনগণের বিরুদ্ধে তিনি(শেখ হাসিনা) অবস্থান নিয়েছেন।

ভারতে অবস্থিত দুইটি সহকারি হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ভারতের গোদি মিডিয়া লাগাতার বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার প্রপাগান্ডায় লিপ্ত। এ নিয়েও এদের কোন মাথা ব্যথা দেখছি না। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই মুহুর্তে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দকে ঐক্যের সভায় ডাকা খাল কেটে কুমির আনা হবে।

জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। দেশ-বিদেশের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নাই। শুধুমাত্র জাতির ক্রান্তিলগ্নে ঐক্যবদ্ধ হবে বিষয়টা তা নয়। সাফল্য ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সরকারকে ঐক্যবদ্ধ অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিষ্ট শাসনে সরকার বা রাজনীতির শীর্ষ ব্যক্তিরা সুফল পেয়েছে। ধনিক শ্রেনি, আমলা বা রাজনৈতিক চাটুকাররাই সুবিধা নিয়েছে।

আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের তৃণমূল নেতা কর্মীরা কিন্তু বঞ্চিতই ছিল। যে কারণে শেখ হাসিনা ও তার দোসরগণ বিতাড়িত হলেও কেউ এগিয়ে যায়নি। অদূর ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার জন্য জনসাধারণ মাঠে নামবে এমন আশা করা অলিক স্বপ্ন। অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য সার্বজনিন হবে এটাই প্রত্যাশা। বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ভারত বা বিদেশি কোন শক্তিই নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার দুঃসাহস দেখাবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

জাতীয় ঐক্যের ঐকতান ছড়িয়ে যাক প্রাণে

মোহাম্মদ আলম
Update Time : ০৬:০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

একতাই বল। সবে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে যেভাবে সব শ্রেনী পেশার প্রতিনিধি সরকার প্রধানের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তা অভুতপূর্ব। জাতীয় ঐক্যের উদ্দেশ্য যেন একটি সাজানো গোছানো কক্ষে সভা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। দেশের জনসাধারণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। জুলাই-আগষ্টে ছাত্র জনতার ডাকে যেভাবে সব শ্রেনী পেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।

দেশের অগ্রযাত্রায় সেভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। চার দেয়ালের মধ্যে ঐক্যের যে বীজ রোপিত হয়েছে। তা দেশের প্রতিটি নাগরিকের হৃদয়ে উত্থিত হোক। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দদেরই সেই কাজটি করতে হবে। দেশের জনসাধারণের মাঝে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পৌছে দিতে হবে। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সরাসরি সম্পর্ক আছে। জাতীয় ঐক্যের ঐকতানে জাতিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

ঐক্যের ডাকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের ডাক না পাওয়া নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিই মূলত দায়ি। এটা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা না। যদি এই পরিস্থিতিতে এসব দলের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যের কাফেলায় সামিল করা হয় তবে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাছাড়া তারা (আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি) কিন্তু কৃতকর্মের জন্য একবারের জন্যও অনুতপ্ত না। বরং আওয়ামী লীগ সভাপতি ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে হেনস্থা করার জন্য হেন কোন কাজ বাকি রাখেননি। এখন দেশের জনগণের বিরুদ্ধে তিনি(শেখ হাসিনা) অবস্থান নিয়েছেন।

ভারতে অবস্থিত দুইটি সহকারি হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ভারতের গোদি মিডিয়া লাগাতার বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার প্রপাগান্ডায় লিপ্ত। এ নিয়েও এদের কোন মাথা ব্যথা দেখছি না। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই মুহুর্তে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দকে ঐক্যের সভায় ডাকা খাল কেটে কুমির আনা হবে।

জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। দেশ-বিদেশের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নাই। শুধুমাত্র জাতির ক্রান্তিলগ্নে ঐক্যবদ্ধ হবে বিষয়টা তা নয়। সাফল্য ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সরকারকে ঐক্যবদ্ধ অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিষ্ট শাসনে সরকার বা রাজনীতির শীর্ষ ব্যক্তিরা সুফল পেয়েছে। ধনিক শ্রেনি, আমলা বা রাজনৈতিক চাটুকাররাই সুবিধা নিয়েছে।

আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের তৃণমূল নেতা কর্মীরা কিন্তু বঞ্চিতই ছিল। যে কারণে শেখ হাসিনা ও তার দোসরগণ বিতাড়িত হলেও কেউ এগিয়ে যায়নি। অদূর ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার জন্য জনসাধারণ মাঠে নামবে এমন আশা করা অলিক স্বপ্ন। অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য সার্বজনিন হবে এটাই প্রত্যাশা। বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ভারত বা বিদেশি কোন শক্তিই নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার দুঃসাহস দেখাবে না।