ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নোয়াখালীতে বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অপর পক্ষের বাধা, সংঘর্ষে আহত ৫ তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বাসদের স্মারকলিপি পেশ কুবি ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময় বৃদ্ধি বাসা থেকে প্রবেশপত্র আনতে ও পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে পৌঁছে দি‌য়ে সহায়তা ক‌র‌লেন মান‌বিক পুলিশ ফেসবুকে ইসরাইলী পণ্য বিক্রির গুজব, নিরাপত্তাহীনতায় মালিক-কর্মচারীরা টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকতসহ ছয় সহযোগী গ্রেফতার জবিতে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি, মার্কিন ও সৌদি দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান অতিরিক্ত শুল্কে মার্কিন নাগরিকদের ক্ষতি বেশি রংপুরে বিএনপিকর্মী নিহত, সাবেক এমপিসহ ৮ নেতার নামে মামলা গাজায় সাংবাদিকসহ গণহত্যা বন্ধের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ

জাতিসংঘকে পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলেন ঢাবি উপাচার্য

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২২৪ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

জাতিসংঘ কে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। শুধু তাই নয় জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় পুনর্মিলনী ও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় এ জনপদের মানুষের নেতৃত্ব দেয়, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমিও আপনাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলবো ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং যে ভূখণ্ডটি সেখানে ছিল সেটি সেখানের জনগণের কাছে পুরোপুরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমি এখানে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘকে ধিক্কার জানাই। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল- এ দুটি রাষ্ট্র আবির্ভূত হওয়ার পরপরই আমরা দেখলাম জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃত দেয়নি। ইসরায়েলকে মেম্বার স্টেইট অব ইউনাইটেড ন্যাশসনস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৪ সালে এসে ফিলিস্তিনকে বিশ্ব জনমতের চাপে নন-মেম্বার অবজারভার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দেয়।জাতিসংঘ নির্যাতিত মানুষের প্রতি অনেক বড় অন্যায় করেছে। এর মধ্যদিয়ে জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না, সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।’

ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দেশে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন, সেখানে চার হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তারা জানে না যুদ্ধ কী? চার হাজার শিশুকে হত্যা করার পরও এখনো সেখানে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে যুদ্ধকে আরও শাণিত করতে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র যেন পুরোপুরি ইসরায়েলের দখলে চলে যায় সেজন্য সেখানে রণতরী পাঠিয়েছে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করেছে তারা মানবতার পক্ষে নয়, সভ্যতার পক্ষে নয়, তারা দখলদার যারা তাদের পক্ষে।এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর এই একপেশে ও দখলদারিত্ব নীতির প্রতিও ধিক্কার জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

জাতিসংঘকে পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলেন ঢাবি উপাচার্য

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
Update Time : ১০:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

জাতিসংঘ কে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। শুধু তাই নয় জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় পুনর্মিলনী ও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় এ জনপদের মানুষের নেতৃত্ব দেয়, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমিও আপনাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলবো ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং যে ভূখণ্ডটি সেখানে ছিল সেটি সেখানের জনগণের কাছে পুরোপুরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমি এখানে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘকে ধিক্কার জানাই। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল- এ দুটি রাষ্ট্র আবির্ভূত হওয়ার পরপরই আমরা দেখলাম জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃত দেয়নি। ইসরায়েলকে মেম্বার স্টেইট অব ইউনাইটেড ন্যাশসনস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৪ সালে এসে ফিলিস্তিনকে বিশ্ব জনমতের চাপে নন-মেম্বার অবজারভার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দেয়।জাতিসংঘ নির্যাতিত মানুষের প্রতি অনেক বড় অন্যায় করেছে। এর মধ্যদিয়ে জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না, সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।’

ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দেশে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন, সেখানে চার হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তারা জানে না যুদ্ধ কী? চার হাজার শিশুকে হত্যা করার পরও এখনো সেখানে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে যুদ্ধকে আরও শাণিত করতে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র যেন পুরোপুরি ইসরায়েলের দখলে চলে যায় সেজন্য সেখানে রণতরী পাঠিয়েছে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করেছে তারা মানবতার পক্ষে নয়, সভ্যতার পক্ষে নয়, তারা দখলদার যারা তাদের পক্ষে।এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর এই একপেশে ও দখলদারিত্ব নীতির প্রতিও ধিক্কার জানান তিনি।