ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয়নিঃ আসিফ নজরুল রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ও প্রবাসীদের মারধরের অভিযোগে ১২ হিজড়া গ্রেফতার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যুবকের ৪০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল সচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে সরকারের সিদ্ধান্ত কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যা করা হয়েছে: আসামির স্বীকারোক্তি ব্রাজিল সফরে প্রধান বিচারপতি টঙ্গী ফ্লাইওভারে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বিপাকে ৪ কর্মকর্তা  নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু নিস্পত্তির মাধ্যমে মামলা জট কমিয়ে বিচার কাজ এগিয়ে নিতে হবে

জবির বিতর্কিত কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে অপসরণ

মো রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:২০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
  • / ১৬৪ Time View

টাকার বিনিময়ে পদোন্নতি, বদলী ও নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নানা সময় আলোচনা-সমালোচনায় থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিতর্কিত কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে অপসরণ করা হয়েছে। ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে থাকা এ কর্মকর্তাকে চারুকলা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

রবিবার (৩১ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, আলতাফ হোসেন দুর্নীতির দায়ে সদ্য অব্যাহতি নেয়া রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন। কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সংস্থাপন শাখার (কর্মচারী) দায়িত্বে থেকে টাকার বিনিময়ে কর্মচারীদের বদলি করানো, নিজের আত্মীয় স্বজনকে চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করা ও বিজ্ঞপ্তি ছাড়া নিয়োগকান্ড নানা সময় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

এরমধ্যে বিজ্ঞপ্তি বাদে শূন্য পদে ৬ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়ার সময় তা পুরো ক্যাম্পাসে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ৬ জনের মধ্যে একজন হলেন লাইব্রেরী দপ্তরের ২০ গ্রেডের এমএলএসএস আব্দুল আলিম। তাকে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ১৯ গ্রেডের বাসের হেলপার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। আব্দুল আলিম সম্পর্কে কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের চাচাতো ভাই। এ নিয়োগ স্থগিত করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া ড্রাইভার পদে আলতাফ হোসেনের বোনের স্বামী হারুণ চাকরি করছেন। তার চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আতলাফ ও সাবেক রেজিস্ট্রার ওহিদুজ্জামান।
এছাড়া জবির ডে কেয়ার সেন্টারের দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক এক নারী কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করণের জন্য ৪ লাখ টাকা নিয়ে চাকরি দিতে না পারায় ৩ লাখ ফেরত দেন আলতাফ হোসেন। এনিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে তিব্র সমালোচনা রয়েছে।

সর্বশেষ গত ফেরুয়ারি মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার গার্ড থেকে আব্দুল আলিম নামে আরেক কর্মচারীকে এমএলএসএস হিসেবে বদলির নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে। তার নামে একটি লিখিত অভিযোগও দেন ওই কর্মচারী। পরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিতর্ক দেখা দেয়। এদিকে আলতাফ হোসেনকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে অপসরণ করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

জবির বিতর্কিত কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে অপসরণ

মো রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি
Update Time : ১১:২০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

টাকার বিনিময়ে পদোন্নতি, বদলী ও নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নানা সময় আলোচনা-সমালোচনায় থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিতর্কিত কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে অপসরণ করা হয়েছে। ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে থাকা এ কর্মকর্তাকে চারুকলা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

রবিবার (৩১ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, আলতাফ হোসেন দুর্নীতির দায়ে সদ্য অব্যাহতি নেয়া রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন। কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সংস্থাপন শাখার (কর্মচারী) দায়িত্বে থেকে টাকার বিনিময়ে কর্মচারীদের বদলি করানো, নিজের আত্মীয় স্বজনকে চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করা ও বিজ্ঞপ্তি ছাড়া নিয়োগকান্ড নানা সময় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

এরমধ্যে বিজ্ঞপ্তি বাদে শূন্য পদে ৬ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়ার সময় তা পুরো ক্যাম্পাসে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ৬ জনের মধ্যে একজন হলেন লাইব্রেরী দপ্তরের ২০ গ্রেডের এমএলএসএস আব্দুল আলিম। তাকে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ১৯ গ্রেডের বাসের হেলপার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। আব্দুল আলিম সম্পর্কে কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের চাচাতো ভাই। এ নিয়োগ স্থগিত করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া ড্রাইভার পদে আলতাফ হোসেনের বোনের স্বামী হারুণ চাকরি করছেন। তার চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আতলাফ ও সাবেক রেজিস্ট্রার ওহিদুজ্জামান।
এছাড়া জবির ডে কেয়ার সেন্টারের দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক এক নারী কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করণের জন্য ৪ লাখ টাকা নিয়ে চাকরি দিতে না পারায় ৩ লাখ ফেরত দেন আলতাফ হোসেন। এনিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে তিব্র সমালোচনা রয়েছে।

সর্বশেষ গত ফেরুয়ারি মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার গার্ড থেকে আব্দুল আলিম নামে আরেক কর্মচারীকে এমএলএসএস হিসেবে বদলির নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে। তার নামে একটি লিখিত অভিযোগও দেন ওই কর্মচারী। পরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিতর্ক দেখা দেয়। এদিকে আলতাফ হোসেনকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে অপসরণ করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।