‘জবাই তো দিবেন, একটু সময় দেন’ : সোলাইমান সেলিম

- Update Time : ০৫:৩০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
- / ৩৪ Time View
হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর লালবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৬ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে তোলা হয় সোলাইমান সেলিমসহ সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, শাহজাহান খান, কামাল মজুমদার, আতিকুল ইসলাম ও অন্যান্য আসামিদের।
এরপর সবাইকে কাঠগড়ায় রাখা হয়। অন্যান্য দিনের মতো কাঠগড়ার পাশে পুলিশ সারি করে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে দাঁড়ান। প্রত্যেক আসামির আইনজীবীরাও কাছে চলে আসেন। এ সময় আসামিরা ওকালত নামায় স্বাক্ষরসহ তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।
সোলাইমান সেলিম এক আইনজীবীকে ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। কথা বলার সময় আইনজীবী সোলাইমান সেলিমের কাছে কারাগারে কেমন জীবন কাটাচ্ছেন জানতে চান।
এ সময় সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘রোজা আছি। বই পড়ি। পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলা যায়। সেহরি ও ইফতারে খাবার নরমাল দেয়। দেখছেন না সবার মুখ কেমন শুকনো।’
কিছুক্ষণ পরই এজলাসে বিচারক আসেন। তবুও কর্ণপাত করেন না সোলাইমান সেলিম।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করে। তারা লিখেছে শাজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছে। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছে।’
এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জবাই তো দিবেন। একটু সময় দেন।’
এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম আইনজীবীকে বলেন, ‘যে কোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। এতে আমি অবাক হবো না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যেভাবে ভাঙা হয়েছে। বুঝা শেষ।’
পরবর্তীতে শুনানি শেষে সোলাইমান সেলিমকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় সে তার আরেক আইনজীবীকে ডেকে বাবার খোঁজ নেন। তার বাবার শরীর খারাপ। কি অবস্থা খোঁজখবর নিতে বলেন।
এরপর হাজতখানায় নিয়ে যাবার সময় সোলাইমান সেলিমকে তার বক্তব্য ‘যে কোনো সময় ফাঁসির আদেশ’-এর বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিচার হয় না।’ এরপর তাকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়