জনসাধারণ নির্বাচন না ! স্বস্তি চায়

- Update Time : ০৮:০৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৪৭ Time View
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ব্যস্ত নতুন রাজনৈতিক দল গড়া নিয়ে। বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘ডেভিল হান্ট’ করছে। আওয়ামী লীগের পকেটভারি নেতাগণ অতিতে মানি লন্ডারিং করেছেন, কেউ কেউ পালিয়েছে। বাকিরা এখন ম্যান লন্ডারিং পথ খুঁজছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি চায় নতুন নতুন ভাতা। দলমতের চাহিদা মেটাতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার উষ্ঠাগত।
জনসাধারণের চাওয়া পাওয়া নিয়ে ভাবার সময়ই পাচ্ছে না। জনসাধারণের মনোভাব বুঝার উপায় তাদের কাছে নেই। গণমাধ্যমও সে অর্থে জনসাধারণের কথা বলে না। দলাদলিতে বিভক্ত।
গণমাধ্যমে যারা জনসাধারণের কথা বলতে চায়, তারা বরাবরের মতই উপেক্ষিত নির্যাতিত। শেখ হাসিনা তাদের জঙ্গি তকমা দিয়ে দৌড়ানি দিয়েছে। এখন দাবড়ানি দিচ্ছে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার দোসর ট্যাগ মেরে। এই যে নানা মুনির নানা মত এবং গোষ্ঠি সাকুল্যে মোট জনসংখ্যার কত ভাগ হবে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫ ভাগ মানুষও পেশাদার রাজনীতিক হবে না। অথবা উল্লেখিত সব গোষ্ঠি নিয়ে দশ ভাগ হতে পারে। ওই ১০ ভাগের এক ভাগ অগ্রভাগে থেকে গলাবাজি চালায় আর ৯ ভাগ হৈ হৈ পার্টি। জনসংখ্যার ৯০ ভাগ মানুষই রাজনীতির বাইরে। নির্বাচন নিয়ে ৯০ ভাগ মানুষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি, হ্যাঁ নির্বাচন হলে তারা ভোট দিবে। তবে সারাদেশে দখল চাঁদাবাজির উত্তরাধিকার যেভাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের হাত থেকে বিএনপি নেতাদের কাছে এসেছে তাতে জনসাধারণ হতাশ। এটা ঠিক অন্তর্বর্তী সরকার অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
তবে জনসাধারণের জন্য স্বস্তির বিষয় হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝেন । কোন কোন ক্ষেত্রে নিজের ভুল স্বীকারও করেন। তবে ভুলত্রুটি যতই হোক, জনসাধারণ অধ্যাপক ইউনুস সরকারকে ব্যর্থ দেখতে চায় না। এবার কিছু একটা হবে, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ এমন প্রত্যাশা করে।
জনসাধারণের কাছে এই কিছুটা মানে কোনভাবেই নির্বাচন না। আপনি যদি এক’শ জন খেটে খাওয়া মানুষকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি চান? সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়ার কেন্দ্রবিন্দু দ্রব্যমূল্য, স্বাস্থ্যসেবা, আইনশৃঙ্খলা উন্নতি, কর্মসংস্থান। জনসাধারণের চাওয়া পাওয়ার তালিকায় প্রথম দশেও নির্বাচন আসবে না। জনসাধারণ সংস্কার বুঝে না তবে স্বস্তিতে দম নেওয়া বুঝে। অধ্যাপক ইউনুসে মানুষ স্বস্তি চায়। রাজনৈতিক মহল থেকে গেল গেল রব উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতাও কি সঠিক পথে আছে। অংশিজনরা ভাবছে তাদের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচন প্রলম্বিত করা হচ্ছে।
যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছে, শুধু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার আসেনি। অংশিজনদের দৃষ্টিতে তাদের কর্মকান্ড রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করাচ্ছে। এটা হতে পারে রাজনৈতিক অপরিপক্কতার বহি:প্রকাশ। জনসাধারণ নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না, এটাই বাস্তবতা। জনসাধারণ স্বস্তি খোঁজছে। ভোট দিয়েও যেন স্বস্তিতে থাকতে পারে সেই নিশ্চয়তা চায়।