ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছুরিকাঘাতের রেশ না কাটতেই আবারও বিপদে সাইফ

বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৯ Time View

দুঃসময় যেন পিছুই ছাড়ছে না সাইফ আলী খানের। ছুরিকাঘাতের হামলার শিকার হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সদ্যই বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। ছুরিকাঘাতের সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন সাইফ।

শিগগিরই মধ্যপ্রদেশ সরকার ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’র অধীনে সাইফের পারিবারিক সম্পত্তির দখল নিতে পারে। বর্তমানে যার বাজার মূল্য ১৫ হাজার কোটি টাকা।

ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে এই সম্পত্তির উপর দখল নেওয়ার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল ভোপাল হাই কোর্ট। পরে ২০২৪ সালে সাইফের আবেদন খারিজ করে দিয়ে স্থগিতাদেশ তুলে নেয় হাইকোর্ট। ফলে মধ্যপ্রদেশ সরকারের আর কোনো বাধা থাকছে না।

জানা গেছে, ভোপালের কোহেফিজা থেকে চিকলোড় পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি রয়েছে সাইফের। ভোপালের শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লাহ খান। তারই প্রপৌত্র সাইফ। ১৯৫০ সাল থেকে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন হামিদুল্লাহর কন্যা আবিদা সুলতান।

এরপর থেকে ভোপালের ওই সম্পত্তি ছিল পতৌদিদের। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর অনেক মানুষ পাকিস্তান ও চীনে চলে গেলেও তাদের জমি, বাড়ি এবং শেয়ারের মতো সম্পত্তি এখনও এ দেশে রয়ে গেছে।

সেই সম্পত্তিগুলোকেই ‘শত্রুর সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, স্থায়ীভাবে পাকিস্তান ও চীনে চলে যাওয়া ভারতীয়দের সম্পত্তিতে তাদের বংশধরদের আর কোনো অধিকার থাকবে না। তাই সরকার এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রিও করতে পারবে। ফলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেও মধ্যপ্রদেশ সরকারে এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়ছেন সাইফ ও তার পরিবার।

 

Please Share This Post in Your Social Media

ছুরিকাঘাতের রেশ না কাটতেই আবারও বিপদে সাইফ

বিনোদন ডেস্ক
Update Time : ০৩:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

দুঃসময় যেন পিছুই ছাড়ছে না সাইফ আলী খানের। ছুরিকাঘাতের হামলার শিকার হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সদ্যই বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। ছুরিকাঘাতের সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন সাইফ।

শিগগিরই মধ্যপ্রদেশ সরকার ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’র অধীনে সাইফের পারিবারিক সম্পত্তির দখল নিতে পারে। বর্তমানে যার বাজার মূল্য ১৫ হাজার কোটি টাকা।

ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে এই সম্পত্তির উপর দখল নেওয়ার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল ভোপাল হাই কোর্ট। পরে ২০২৪ সালে সাইফের আবেদন খারিজ করে দিয়ে স্থগিতাদেশ তুলে নেয় হাইকোর্ট। ফলে মধ্যপ্রদেশ সরকারের আর কোনো বাধা থাকছে না।

জানা গেছে, ভোপালের কোহেফিজা থেকে চিকলোড় পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি রয়েছে সাইফের। ভোপালের শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লাহ খান। তারই প্রপৌত্র সাইফ। ১৯৫০ সাল থেকে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন হামিদুল্লাহর কন্যা আবিদা সুলতান।

এরপর থেকে ভোপালের ওই সম্পত্তি ছিল পতৌদিদের। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর অনেক মানুষ পাকিস্তান ও চীনে চলে গেলেও তাদের জমি, বাড়ি এবং শেয়ারের মতো সম্পত্তি এখনও এ দেশে রয়ে গেছে।

সেই সম্পত্তিগুলোকেই ‘শত্রুর সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, স্থায়ীভাবে পাকিস্তান ও চীনে চলে যাওয়া ভারতীয়দের সম্পত্তিতে তাদের বংশধরদের আর কোনো অধিকার থাকবে না। তাই সরকার এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রিও করতে পারবে। ফলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেও মধ্যপ্রদেশ সরকারে এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়ছেন সাইফ ও তার পরিবার।