ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
কারমাইকেল কলেজ

ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস, লাপাত্তা শিক্ষক

Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৩৮ Time View

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো: রংপুরের কারমাইকেল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আহসান উল ফেরদৌসের সঙ্গে তারই বিভাগের এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা এবারই প্রথম হওয়ায় বিষয়টি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় গত রোববার (৭ মে) কৈফিয়ত তলব করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমজাদ হোসেন ওই শিক্ষককে একটি পত্র দিলেও তাতে কোন সাড়া দেননি অভিযুক্ত শিক্ষক। বরং ওই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান বরাবর ১৫ দিনের মেডিকেল ছুটি নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের এমন লজ্জাজনক ও মানহানিকর ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে কলেজের অর্থনীতি বিভাগ বুধবার (১০ মে) দুপুরে বিভাগের সেমিনার কক্ষে এক জরুরি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে প্রভাষক আহসান উল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩৭তম শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা আহসান উল ফেরদৌস কারমাইকেল কলেজের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তার আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। দিনে দিনে ছাত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

নাম প্রকাশ না করে কারমাইকেল কলেজের ১৯৮২ সালে অধ্যায়ন এবং পরবর্তীতে এখন এই প্রতিষ্ঠানের একটি বিভাগের প্রধান এক শিক্ষক জানান, এই কলেজের সঙ্গে জানাশোনা আমার ৫০ বছরের বেশি, শিক্ষক-ছাত্রীর সঙ্গে এমন লজ্জাজনক ঘটনা এবারই প্রথম। আমাদের মাথা নিচু হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে যেন আসতেই লজ্জা লাগছে। আমি মনে করি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কঠোর হবেন।

কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, বিষয়টি ওই ছাত্রীর পক্ষ থেকে এবং শিক্ষকের পক্ষ থেকেও আমাকে জানানো হয়নি। ভিডিওর বিষয়টি শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আমার নজরে আসলে আমি ওই শিক্ষককে তলব করে কৈফিয়ত নোটিশ দিয়েছি। এখনো কোন জবাব দেয়নি। জবাব দেয় কিনা সেটা আমরা দেখবো। এরপর আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবো।

Please Share This Post in Your Social Media

কারমাইকেল কলেজ

ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস, লাপাত্তা শিক্ষক

Update Time : ০৮:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো: রংপুরের কারমাইকেল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আহসান উল ফেরদৌসের সঙ্গে তারই বিভাগের এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা এবারই প্রথম হওয়ায় বিষয়টি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় গত রোববার (৭ মে) কৈফিয়ত তলব করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমজাদ হোসেন ওই শিক্ষককে একটি পত্র দিলেও তাতে কোন সাড়া দেননি অভিযুক্ত শিক্ষক। বরং ওই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান বরাবর ১৫ দিনের মেডিকেল ছুটি নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের এমন লজ্জাজনক ও মানহানিকর ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে কলেজের অর্থনীতি বিভাগ বুধবার (১০ মে) দুপুরে বিভাগের সেমিনার কক্ষে এক জরুরি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে প্রভাষক আহসান উল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩৭তম শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা আহসান উল ফেরদৌস কারমাইকেল কলেজের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তার আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। দিনে দিনে ছাত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

নাম প্রকাশ না করে কারমাইকেল কলেজের ১৯৮২ সালে অধ্যায়ন এবং পরবর্তীতে এখন এই প্রতিষ্ঠানের একটি বিভাগের প্রধান এক শিক্ষক জানান, এই কলেজের সঙ্গে জানাশোনা আমার ৫০ বছরের বেশি, শিক্ষক-ছাত্রীর সঙ্গে এমন লজ্জাজনক ঘটনা এবারই প্রথম। আমাদের মাথা নিচু হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে যেন আসতেই লজ্জা লাগছে। আমি মনে করি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কঠোর হবেন।

কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, বিষয়টি ওই ছাত্রীর পক্ষ থেকে এবং শিক্ষকের পক্ষ থেকেও আমাকে জানানো হয়নি। ভিডিওর বিষয়টি শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আমার নজরে আসলে আমি ওই শিক্ষককে তলব করে কৈফিয়ত নোটিশ দিয়েছি। এখনো কোন জবাব দেয়নি। জবাব দেয় কিনা সেটা আমরা দেখবো। এরপর আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবো।