উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪
চেয়ারম্যান পদে লায়লা কানিজেই আস্থা রাখতে চান ভোটাররা

- Update Time : ০৭:১০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪২৫ Time View
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মহিলা উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে উপজেলা জুড়ে সুনাম কুড়িয়েছেন শিক্ষাবিদ লায়লা কানিজ লাকী। দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মধ্যে মানবিক চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলাবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।
এবার আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক পর্যায় থেকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে না মর্মে ঘোষণা দেওয়ায় একাধিক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত করতে সহজ হবে এমনটাই ভাবছেন ভোটাররা।
তপসিল অনুযায়ী ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন। তপসিল ঘোষনার পরপরই মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে হাট-বাজার, চা স্টলে, পাড়া-মহল্লায় মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে লায়লা কানিজ লাকীর নাম।
সরজমিনে উপজেলার মরজাল, পলাশতলী, অলিপুরা, রাধানগর, উত্তরবাখনরগর, মির্জাপুর, রায়পুরা, মির্জানগর, চরসুবুদ্ধিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, আসছে নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে লায়লা কানিজ লাকীকে চাচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা।
আরো জানা যায়, সরকারী তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক লায়লা কানিজ লাকী। গেলো বছরের মার্চ মাসে উপ-নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। মাত্র ১২ মাসের ব্যবধানে তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে মানবিক চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হন। তাই আসছে নির্বাচনেও মানবিক চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকীতেই আস্থা রাখতে চান সাধারণ ভোটাররা।
এছাড়াও তিনি টানা সাতবারের নির্বাচিত সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর আস্থাভাজন হওয়ায় নেতাকর্মীরাও তার সাথে দিনরাত নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
লায়লা কানিজ লাকীর বাড়ি উপজেলা সদরের কাছাকাছি হওয়ায় এবং বেশিরভাগ সময় এলাকায় অবস্থান করায় সেবা গ্রহীতারা তাকে কাছে পান সব সময়। এই পেক্ষাপটে চেয়ারম্যান পদে তার বিকল্প কাউকে চিন্তা করছে না ভোটাররা।
রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম তপন, শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান রাসেল, মরজাল ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন সরকার রিপন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি একজন সাদা মনের মানুষ। উনার মতো নির্লোভ মানুষ জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসা উচিৎ। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়ন, নিজের প্রাপ্ত সরকারী বেতন-ভাতা পর্যন্ত সমাজের অসহায় গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছেন। লায়লা কানিজ লাকির মতো একজন মানুষ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমাদেরও কাজ করতে সহজ হবে। রায়পুরা উপজেলাকে মডেল উপজেলায় রুপান্তর করতে লায়লা কানিজ লাকির বিকল্প নেই।
কথা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসছে নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শিক্ষাবিদ লায়লা কানিজ লাকীর সাথে। তিনি বলেন, আলহাম্দুল্লিাহ। আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন। কিন্তু আমি একা ভালো থাকলে তো হবে না। তাই রায়পুরা উপজেলাবাসীকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই। ফলে বিগত দিনের উপজেলার সাধারণ মানুষের সুখে-দুখে পাশে ছিলাম, এখনো আছি, আগামীদিনেও থাকতে চাই।
এদিকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আরো যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন: পাড়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফেরদৌস কামাল জুয়েল, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সকলের পরিচিতি শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান পনির, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ দুলু।