ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুনারুঘাটে দেড় দশকেও চালু হয়নি বাল্লা স্থলবন্দর

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা
  • Update Time : ০৩:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৭ Time View

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দেড় দশকেও অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও চালু হয়নি বাল্লা স্থলবন্দর।

জানা গেছে, ১৯৫১ সালে নির্মাণ করা হয় হবিগঞ্জের বাল্লা শুল্ক স্টেশন। এরপর নৌকায় নদী পাড় হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে পণ্য আমদানি-রফতানি। অতিরিক্ত যাতায়াত খরচ ও নানা দুর্ভোগের কারণে ধীরে ধীরে এ পথে আমদানি রফতানিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।

এভাবে দীর্ঘদিন চলার পর ২০১৬ সালে এ স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর করার ঘোষণা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা খরচ করে চুনারুঘাটের কেদারাকোর্ট এলাকায় বাল্লা স্থলবন্দর অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু জানা যায়, সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়মুড়া এলাকায় এখনও শুরু হয়নি স্থল বন্দরের কাজ। সেখানকার পুরো এলাকা খালি পড়ে আছে, নেই কোনো রাস্তাঘাটও।

ভারতের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়মিত যোগাযোগ না করায় তারা এখনও কাজই শুরু করেনি। এতে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ বন্দর চালুর কাজ। পাশাপাশি কোনো কাজেই আসছে না সরকারের এ বিশাল অর্থব্যয়। এ অবস্থায় এখন আর করার কিছুই নেই বাংলাদেশের। শুধু অপেক্ষা করতে হবে কখন ভারত ওপারে শুল্ক স্টেশন স্থাপন করবে।

তবে বাল্লা স্থলবন্দরে ইয়ার্ড, ওজন মাপার যন্ত্র, অফিস ভবন, ডরমিটরি, সীমানা প্রাচীর, সড়ক ও বিভিন্ন পরিষেবাসহ সব সুবিধাই প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ বাল্লা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর করার ঘোষণা করা হয় আর ২০১৭ সালের ১ জুলাই একনেক সভায় ৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার প্রকল্পটি পাস হয়।

বাল্লা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন খান জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আশায় বুক বেঁধে আছেন কখন বন্দরটি চালু হবে। কিন্তু ভারতের অংশে এখনও কাজই শুরু করেনি। ভারত যাতে দ্রুত কাজটি সমাপ্ত করে সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বন্দরটি চালু হলে এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার জানান, বাল্লা স্থলবন্দরের বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ হয়েছে আরও আগে। এখন ভারতের অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় বন্দরটি চালু হচ্ছে না। আমরা ঊর্ধ্বতন মহলে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। আশাকরি আন্তঃমন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

চুনারুঘাটে দেড় দশকেও চালু হয়নি বাল্লা স্থলবন্দর

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা
Update Time : ০৩:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দেড় দশকেও অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও চালু হয়নি বাল্লা স্থলবন্দর।

জানা গেছে, ১৯৫১ সালে নির্মাণ করা হয় হবিগঞ্জের বাল্লা শুল্ক স্টেশন। এরপর নৌকায় নদী পাড় হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে পণ্য আমদানি-রফতানি। অতিরিক্ত যাতায়াত খরচ ও নানা দুর্ভোগের কারণে ধীরে ধীরে এ পথে আমদানি রফতানিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।

এভাবে দীর্ঘদিন চলার পর ২০১৬ সালে এ স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর করার ঘোষণা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা খরচ করে চুনারুঘাটের কেদারাকোর্ট এলাকায় বাল্লা স্থলবন্দর অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু জানা যায়, সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়মুড়া এলাকায় এখনও শুরু হয়নি স্থল বন্দরের কাজ। সেখানকার পুরো এলাকা খালি পড়ে আছে, নেই কোনো রাস্তাঘাটও।

ভারতের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়মিত যোগাযোগ না করায় তারা এখনও কাজই শুরু করেনি। এতে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ বন্দর চালুর কাজ। পাশাপাশি কোনো কাজেই আসছে না সরকারের এ বিশাল অর্থব্যয়। এ অবস্থায় এখন আর করার কিছুই নেই বাংলাদেশের। শুধু অপেক্ষা করতে হবে কখন ভারত ওপারে শুল্ক স্টেশন স্থাপন করবে।

তবে বাল্লা স্থলবন্দরে ইয়ার্ড, ওজন মাপার যন্ত্র, অফিস ভবন, ডরমিটরি, সীমানা প্রাচীর, সড়ক ও বিভিন্ন পরিষেবাসহ সব সুবিধাই প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ বাল্লা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর করার ঘোষণা করা হয় আর ২০১৭ সালের ১ জুলাই একনেক সভায় ৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার প্রকল্পটি পাস হয়।

বাল্লা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন খান জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আশায় বুক বেঁধে আছেন কখন বন্দরটি চালু হবে। কিন্তু ভারতের অংশে এখনও কাজই শুরু করেনি। ভারত যাতে দ্রুত কাজটি সমাপ্ত করে সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বন্দরটি চালু হলে এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার জানান, বাল্লা স্থলবন্দরের বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ হয়েছে আরও আগে। এখন ভারতের অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় বন্দরটি চালু হচ্ছে না। আমরা ঊর্ধ্বতন মহলে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। আশাকরি আন্তঃমন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে।

নওরোজ/এসএইচ