চুনারুঘাটে অজিত হত্যার রহস্য উদঘাটন; আসামী গ্রেফতার
- Update Time : ১০:৩১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৯ Time View
পিতাকে যাদুকরে হত্যার সন্দেহে কবিরাজ শনিচরণ সাওতাল ওরফে অজিতকে গলা কেটে হত্যা করেছে পুত্র।
হত্যার ২০ দিনের মাথায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানা পুলিশের তদন্তে ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো দাসহ আলামত জব্দ করে এবং ঘটনায় অভিযুক্ত একমাত্র আসামী গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে রবিবার (৩নভেম্বর) দুপুরে চুনারুঘাট থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চুনারুঘাট মাধবপুর সার্কেল এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আজিজুর রহমান সরকার।
তিনি আসামীর বরাত দিয়ে জনান, গত ১২ অক্টোবর উপজেলার দেউন্দি চা বাগানের ফুলছড়ি টিলায় শনিচরণ শাওতাল ওরফে অজিত সাঁওতাল (৪৫) কে গলাকেটে হত্যা করে ধান্য জমিতে ফেলে পালিয়ে যায় খুনি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই অনিল সাওতাল থানায় মামলা দায়ের করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ্একই এলাকার নকুল ভৌমিজের ছেলে দ্বিপক ভৌমিজ (২৪) কে র্যাবের সহায়তায় শনিবার রাতে মাধবপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে দ্বিপক হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে এএসপি আজিজুর রহমান সরকার আরও বলেন, নিহত অজিত প্রকাশ শনিচরন সাওতাল কবিরাজ (তান্ত্রিক) পেশায় নিয়োজিত থাকায় নিহতের সাথে আসামী অনুকূল ভৌমিজ প্রকাশ দিপকের পিতা নকুল ভৌমিকের পূর্ব বিরোধ ও মনোমালিন্যতা ছিল। বিগত কয়েক বছর পূর্বে দিপকের পিতা নকুল ভৌমিজ মারা গেলে, অনুকূল ভৌমিজ প্রকাশ দিপক তার পিতার মৃত্যুর জন্য নিহত অজিত প্রকাশ শনিচরন সাওতালকে দায়ী করে আসছিল। এ নিয়ে গত ১২ অক্টোবর রাতে অনুকূল ভৌমিজ প্রকাশ দিপক নিহত অজিত প্রকাশ শনিচরন সাওতালকে বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে একা পেয়ে তার সাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি করে। একপর্যায়ে দিপক উত্তেজিত হয়ে দারালো দা দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে দেহ হতে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে এ বিচ্ছিন্ন মাথাসহ মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ধানী জমিতে ফেলে দিপক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দ্বিপক ভৌমিজ(২৪) কে র্যাবের সহায়তায় শনিবার রাতে মাধবপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে দ্বিপক হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে এএসপি আজিজুর রহমান সরকার আরও বলেন, ঘটনার দিন ওই চা- শ্রমিককে বাড়ী পাশের ধানের জমিতে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত দিপ্ক ভৌমিজকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এএসপি।
ব্রিফিংএ আরও উপস্থিত চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লিটন রায়।