চাকসু নির্বাচনে সিলবিহীন ব্যালটসহ অনিয়মের অভিযোগ

- Update Time : ০১:২১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩৬২ Time View
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে কয়েকটি কেন্দ্রে সিলবিহীন ব্যালট পাওয়ার ঘটনাও জানা গেছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের কয়েকটি ভোটকক্ষে এ অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
সরেজমিনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৪০১ ও ৪০২ নম্বর কক্ষ এবং কলা ভবনের ৩১২৪ নম্বর কক্ষে দেখা যায়, ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি ঘষে ফেলতেই উঠে যাচ্ছে।
ছাত্রদল প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শাফায়াত হোসেন বলেনভোটারের আঙুলে অমোচনীয় যে কালি দেওয়া হচ্ছে তা এক ঘষাতেই উঠে যাচ্ছে।
দ্রোহ পর্ষদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রিজু লক্ষী অবরোধ ও জিএস প্রার্থী ইফাজ উদ্দিন আহমেদ ইমুও একই অভিযোগ করেন। তারা বলেন, যে কয়টি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি কোনো কেন্দ্রে অমোছনীয় কালী ব্যবহার করতে দেখেনি। ভোট দেয়ার সাথে সাথে আঙ্গুল থেকে কালি উঠে যাচ্ছে। যেখানে জাল ভোট দেয়ার সুযোগ থেকে যাচ্ছে।
কালি নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, কালি উঠে গেলেও ভোটারদের নাম তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হচ্ছে, তাই পুনরায় ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে জার্মানির অমোচনীয় কালি সময়মতো আনা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে চবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু যুগান্তরকে অভিযোগ করে বলেন, কয়েকটি কেন্দ্রে সিল ছাড়া ব্যালট পাওয়া গেছে।
ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, আমি নিজে ভোট দিয়েছি, কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কালি উঠে গেছে। এতে একাধিকবার ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা চাইছিলাম চাকসু নির্বাচন হোক আদর্শ উদাহরণ, কিন্তু নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আইটি ভবনের ২১৪ নম্বর কক্ষে স্বাক্ষরবিহীন প্রায় ২০টি ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাবো যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তবে ছাত্রদল প্রার্থীরা জানিয়েছেন, তারা নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটছেন না। শাফায়াত হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে চাই। জয়-পরাজয় যাই হোক, শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব।
ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী শাফায়েত হোসেন আরও বলেন, চেকিং করার সময় দায়িত্বপ্রাপ্তরা ছবি দেখে ব্যালট দিচ্ছে না। আমরা চেয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের অংশ হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়