ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ বিচারকের বিদায় সংবর্ধনা কিসের পাওয়ারে ট্রিপল মার্ডারের আসামি জহিরুল বাহিরে টঙ্গীর জাভান হোটেলে পুলিশের অভিযানে বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেফতার ৭ ছাত্র-জনতার উপর হামলা মামলার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ইরানি দম্পতির ওপর হামলা, কারাগারে ৪ আসামি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাসিক নিষ্পত্তি সভা অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা! ঢাকায় যুক্ত হচ্ছে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস! ছিনতাইকারীর কবল থেকে ইরানী দম্পতিকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা!

চাঁদে চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছে ল্যান্ডার বিক্রম

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৮৫ Time View

চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে থাকা ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম আর জেগে উঠবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত ২৩ আগস্ট রোভার প্রজ্ঞান নিয়ে সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম। এরপর ১০ দিন চাঁদে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর ল্যান্ডার বিক্রমকে ঘুম পাড়িয়ে (শাট ডাউন) দেওয়া হয়।

চাঁদের তীব্র ঠান্ডায় (-২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে) যেন ল্যান্ডারটি টিকে থাকতে পারে সেজন্য গত ২ সেপ্টেম্বর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (২২ সেপ্টম্বর পর্যন্ত) এটি শাট ডাউন করা হয়।

তবে ওই সময় পর ল্যান্ডারটিকে আবার সক্রিয় করার চেষ্টা করা হলেও; এতে এখন পর্যন্ত আর সফল হননি বিজ্ঞানীরা।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, তাদের আশা, ল্যান্ডারটির সঙ্গে আবারও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।

তারা আরও জানিয়েছিলেন, ২২ সেপ্টেম্বর আবারও চাঁদে সূর্যের আলো পড়বে; তখন ল্যান্ডারটিতে থাকা ব্যাটারিগুলো সোলার প্যানেলের মাধ্যমে চার্জ হবে এবং এটি সক্রিয় হবে।

কিন্তু এখন তারা জানাচ্ছেন, তাদের এ আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে এবং এখন পর্যন্ত ওই রোবটের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞানীরা অবশ্য তখন জানিয়েছিলেন, এমন কঠিন ঠান্ডায় ল্যান্ডারটির ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ টিকে থাকার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ ছিল।

গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসরো মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে জানিয়েছিল, রোভার প্রজ্ঞান ও ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে এরপর সংস্থাটি আর কোনো তথ্য জানায়নি।

ইসরোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ল্যান্ডারটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কারণ এরপর চাঁদে আবারও সূর্যাস্ত হবে।

অবশ্য ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ল্যান্ডার বিক্রমের সফল অবতরণ এবং রোভার প্রজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর বিষয়টিই তাদের জন্য অনেক বড় সফলতা।

Please Share This Post in Your Social Media

চাঁদে চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছে ল্যান্ডার বিক্রম

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৫:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে থাকা ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম আর জেগে উঠবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত ২৩ আগস্ট রোভার প্রজ্ঞান নিয়ে সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম। এরপর ১০ দিন চাঁদে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর ল্যান্ডার বিক্রমকে ঘুম পাড়িয়ে (শাট ডাউন) দেওয়া হয়।

চাঁদের তীব্র ঠান্ডায় (-২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে) যেন ল্যান্ডারটি টিকে থাকতে পারে সেজন্য গত ২ সেপ্টেম্বর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (২২ সেপ্টম্বর পর্যন্ত) এটি শাট ডাউন করা হয়।

তবে ওই সময় পর ল্যান্ডারটিকে আবার সক্রিয় করার চেষ্টা করা হলেও; এতে এখন পর্যন্ত আর সফল হননি বিজ্ঞানীরা।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, তাদের আশা, ল্যান্ডারটির সঙ্গে আবারও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।

তারা আরও জানিয়েছিলেন, ২২ সেপ্টেম্বর আবারও চাঁদে সূর্যের আলো পড়বে; তখন ল্যান্ডারটিতে থাকা ব্যাটারিগুলো সোলার প্যানেলের মাধ্যমে চার্জ হবে এবং এটি সক্রিয় হবে।

কিন্তু এখন তারা জানাচ্ছেন, তাদের এ আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে এবং এখন পর্যন্ত ওই রোবটের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞানীরা অবশ্য তখন জানিয়েছিলেন, এমন কঠিন ঠান্ডায় ল্যান্ডারটির ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ টিকে থাকার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ ছিল।

গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসরো মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে জানিয়েছিল, রোভার প্রজ্ঞান ও ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে এরপর সংস্থাটি আর কোনো তথ্য জানায়নি।

ইসরোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ল্যান্ডারটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কারণ এরপর চাঁদে আবারও সূর্যাস্ত হবে।

অবশ্য ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ল্যান্ডার বিক্রমের সফল অবতরণ এবং রোভার প্রজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর বিষয়টিই তাদের জন্য অনেক বড় সফলতা।