ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মা আমরা ধর্ম চর্চা করবো, কারো প্রতি বিদ্ধেষ করবোনা: ধর্ম উপদেষ্টা টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা: ড. খলিলুর রহমান ৫ মাসেও সন্ধান মিলেনি উখিয়ায় অপহ্নত ৪ জেলের : পরিবারে চলছে শোকের মাতম আগামীকালের ভর্তি পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় যুবলীগ নেতা ইউছুফ আটক গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাকে হত্যা; ছেলে গ্রেফতার প্রেমিকের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন পুলিশের মদদে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও হয়রানির অভিযোগ

চাঁদে চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছে ল্যান্ডার বিক্রম

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৭৩ Time View

চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে থাকা ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম আর জেগে উঠবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত ২৩ আগস্ট রোভার প্রজ্ঞান নিয়ে সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম। এরপর ১০ দিন চাঁদে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর ল্যান্ডার বিক্রমকে ঘুম পাড়িয়ে (শাট ডাউন) দেওয়া হয়।

চাঁদের তীব্র ঠান্ডায় (-২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে) যেন ল্যান্ডারটি টিকে থাকতে পারে সেজন্য গত ২ সেপ্টেম্বর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (২২ সেপ্টম্বর পর্যন্ত) এটি শাট ডাউন করা হয়।

তবে ওই সময় পর ল্যান্ডারটিকে আবার সক্রিয় করার চেষ্টা করা হলেও; এতে এখন পর্যন্ত আর সফল হননি বিজ্ঞানীরা।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, তাদের আশা, ল্যান্ডারটির সঙ্গে আবারও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।

তারা আরও জানিয়েছিলেন, ২২ সেপ্টেম্বর আবারও চাঁদে সূর্যের আলো পড়বে; তখন ল্যান্ডারটিতে থাকা ব্যাটারিগুলো সোলার প্যানেলের মাধ্যমে চার্জ হবে এবং এটি সক্রিয় হবে।

কিন্তু এখন তারা জানাচ্ছেন, তাদের এ আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে এবং এখন পর্যন্ত ওই রোবটের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞানীরা অবশ্য তখন জানিয়েছিলেন, এমন কঠিন ঠান্ডায় ল্যান্ডারটির ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ টিকে থাকার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ ছিল।

গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসরো মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে জানিয়েছিল, রোভার প্রজ্ঞান ও ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে এরপর সংস্থাটি আর কোনো তথ্য জানায়নি।

ইসরোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ল্যান্ডারটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কারণ এরপর চাঁদে আবারও সূর্যাস্ত হবে।

অবশ্য ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ল্যান্ডার বিক্রমের সফল অবতরণ এবং রোভার প্রজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর বিষয়টিই তাদের জন্য অনেক বড় সফলতা।

Please Share This Post in Your Social Media

চাঁদে চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছে ল্যান্ডার বিক্রম

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৫:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে থাকা ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম আর জেগে উঠবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত ২৩ আগস্ট রোভার প্রজ্ঞান নিয়ে সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম। এরপর ১০ দিন চাঁদে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর ল্যান্ডার বিক্রমকে ঘুম পাড়িয়ে (শাট ডাউন) দেওয়া হয়।

চাঁদের তীব্র ঠান্ডায় (-২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে) যেন ল্যান্ডারটি টিকে থাকতে পারে সেজন্য গত ২ সেপ্টেম্বর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (২২ সেপ্টম্বর পর্যন্ত) এটি শাট ডাউন করা হয়।

তবে ওই সময় পর ল্যান্ডারটিকে আবার সক্রিয় করার চেষ্টা করা হলেও; এতে এখন পর্যন্ত আর সফল হননি বিজ্ঞানীরা।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, তাদের আশা, ল্যান্ডারটির সঙ্গে আবারও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।

তারা আরও জানিয়েছিলেন, ২২ সেপ্টেম্বর আবারও চাঁদে সূর্যের আলো পড়বে; তখন ল্যান্ডারটিতে থাকা ব্যাটারিগুলো সোলার প্যানেলের মাধ্যমে চার্জ হবে এবং এটি সক্রিয় হবে।

কিন্তু এখন তারা জানাচ্ছেন, তাদের এ আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে এবং এখন পর্যন্ত ওই রোবটের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞানীরা অবশ্য তখন জানিয়েছিলেন, এমন কঠিন ঠান্ডায় ল্যান্ডারটির ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ টিকে থাকার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ ছিল।

গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসরো মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে জানিয়েছিল, রোভার প্রজ্ঞান ও ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে এরপর সংস্থাটি আর কোনো তথ্য জানায়নি।

ইসরোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ল্যান্ডারটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কারণ এরপর চাঁদে আবারও সূর্যাস্ত হবে।

অবশ্য ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ল্যান্ডার বিক্রমের সফল অবতরণ এবং রোভার প্রজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর বিষয়টিই তাদের জন্য অনেক বড় সফলতা।