ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

চবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১০ Time View

লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রাম নগরীর একটি বাসা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খুলশীর ৫ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত ওমর ফারুক সুমন আরবি বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

খুলশী থানার ওসি শাহীনুর জামান জানান, সুমন ও তার বড় ভাই মামার বাসায় থাকতেন। মামা-মামি বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন।

ওসি বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বড় ভাই বাইরে গেলে সুমন বাসায় একা ছিলেন। বাসায় ফিরে ডাকার পরও দরজা না খোলায় ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।”

বাসা থেকে একটা চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

পুলিশ ও তার সহপাঠীরা জানান, উদ্ধার করা চিরকুটে লেখা ছিল- “আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগও নেই। সবাই ভালো থাকবেন। আমার সব অভিযোগ নিজের প্রতি। তাই আমার ব্যাপারে জানার চেষ্টা না করাটাই ভালো হবে।”

এর আগে ১ ডিসেম্বর আরেকটি চিরকুটে তিনি লেখেন- “আশাই জীবন, আশাই মরণ; ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।”

সুমনের বড় ভাইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আরেক সহপাঠী বলেন, “বিকাল ৪টার দিকে সুমন বড় ভাইকে ফোন করে বাসায় ফিরতে কতক্ষণ লাগবে জানতে চান। এরপর আর সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

“সুমনের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে ভবনের দারোয়ানকে ফ্ল্যাট পাঠানো হয়। তখনও ডাকাডাকি করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।”

Please Share This Post in Your Social Media

চবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

চবি প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর একটি বাসা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খুলশীর ৫ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত ওমর ফারুক সুমন আরবি বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

খুলশী থানার ওসি শাহীনুর জামান জানান, সুমন ও তার বড় ভাই মামার বাসায় থাকতেন। মামা-মামি বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন।

ওসি বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বড় ভাই বাইরে গেলে সুমন বাসায় একা ছিলেন। বাসায় ফিরে ডাকার পরও দরজা না খোলায় ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।”

বাসা থেকে একটা চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

পুলিশ ও তার সহপাঠীরা জানান, উদ্ধার করা চিরকুটে লেখা ছিল- “আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগও নেই। সবাই ভালো থাকবেন। আমার সব অভিযোগ নিজের প্রতি। তাই আমার ব্যাপারে জানার চেষ্টা না করাটাই ভালো হবে।”

এর আগে ১ ডিসেম্বর আরেকটি চিরকুটে তিনি লেখেন- “আশাই জীবন, আশাই মরণ; ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।”

সুমনের বড় ভাইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আরেক সহপাঠী বলেন, “বিকাল ৪টার দিকে সুমন বড় ভাইকে ফোন করে বাসায় ফিরতে কতক্ষণ লাগবে জানতে চান। এরপর আর সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

“সুমনের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে ভবনের দারোয়ানকে ফ্ল্যাট পাঠানো হয়। তখনও ডাকাডাকি করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।”