ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম ইপিজেড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১২০৯ Time View

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) সাততলা কারখানার আগুন প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশনস) মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগুন সকাল ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে এখনও পুরোপুরি নিভে যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের শিখা আর দেখা না গেলেও ভবন থেকে ধোঁয়া উঠছিল।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও তারা ভবনের তাপমাত্রা কমাতে পানি দিচ্ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, এটি নির্মাণে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়নি ও পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।
তিনি আরও জানান, পাশের দুটি ভবন পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা না রেখেই নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ওই দিক থেকে পানি ছিটানো সম্ভব হয়নি। এতে ফায়ার সার্ভিস তিন দিক থেকে আগুনে পানি ছিটাতে পেরেছে।

তবে ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়ে জানতে চাইলে সিইপিজেড নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সোবহান বলেন, সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল এবং সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ফায়ার ড্রিল বা অগ্নিনির্বাপণ মহড়া পরিচালনা করে থাকে।

এর আগে, গতকাল দুপুর ২টার কিছু পরেই সিইপিজেডের ৫ নম্বর রোডের একটি সাততলা ভবনের ওপরের তলায় আগুন লাগে।

ভবনটির মালিক অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইলস লিমিটেড। ওপরের দুই তলায় ছিল প্রতিষ্ঠানের দুটি গুদামঘর। একটি অ্যাডাম ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইলস, যারা তোয়ালে তৈরি করে; অপরটি জিহং মেডিকেল প্রোডাক্টস (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড।

ভবনের বাকি তলাগুলোতেও এই দুই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ ছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

চট্টগ্রাম ইপিজেড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে

নিজেস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১১:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) সাততলা কারখানার আগুন প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশনস) মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগুন সকাল ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে এখনও পুরোপুরি নিভে যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের শিখা আর দেখা না গেলেও ভবন থেকে ধোঁয়া উঠছিল।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও তারা ভবনের তাপমাত্রা কমাতে পানি দিচ্ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, এটি নির্মাণে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়নি ও পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।
তিনি আরও জানান, পাশের দুটি ভবন পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা না রেখেই নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ওই দিক থেকে পানি ছিটানো সম্ভব হয়নি। এতে ফায়ার সার্ভিস তিন দিক থেকে আগুনে পানি ছিটাতে পেরেছে।

তবে ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়ে জানতে চাইলে সিইপিজেড নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সোবহান বলেন, সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল এবং সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ফায়ার ড্রিল বা অগ্নিনির্বাপণ মহড়া পরিচালনা করে থাকে।

এর আগে, গতকাল দুপুর ২টার কিছু পরেই সিইপিজেডের ৫ নম্বর রোডের একটি সাততলা ভবনের ওপরের তলায় আগুন লাগে।

ভবনটির মালিক অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইলস লিমিটেড। ওপরের দুই তলায় ছিল প্রতিষ্ঠানের দুটি গুদামঘর। একটি অ্যাডাম ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইলস, যারা তোয়ালে তৈরি করে; অপরটি জিহং মেডিকেল প্রোডাক্টস (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড।

ভবনের বাকি তলাগুলোতেও এই দুই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ ছিল।