ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

চকবাজারে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারী গ্রেফতার

S.H. Pavel
  • Update Time : ০৭:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১১৭ Time View

রাজধানীর চকবাজারের পোস্তা এলাকায় চাঞ্চল্যকর প্লাস্টিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৪৬) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের চকবাজার মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতের নাম সাবিনা আক্তার (২৫)। এ সময় তার হেফাজত থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

আজ রবিবার সকালে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর চকবাজারের পোস্তা এলাকার ৬৬/১, আরএনডি রোডের এশিয়া টাওয়ারের ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা এবং পুরুষাঙ্গ কাটা অবস্থায় নজরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে চকবাজার মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ন আলামত ফুলদানির ভাঙ্গা অংশ, ধারালো চাকু ও অন্যান্য আলামত জব্দ করে। এরপর ভিকিটিম নজরুল ইসলামের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ তহিদুল ইসলাম ওরফে তাপস বাদী হয়ে চকবাজার মডেল থানায় গত ৪ ডিসেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রুজুকৃত মামলাটি তদন্তকালে আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ও সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্য  বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত হিসেবে মোছাঃ সাবিনা আক্তারকে শনাক্ত করা হয়।

গত শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫:৩০ ঘটিকায় যশোরের বাঘার পাড়া থানার মির্জাপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ভিকটিম নজরুল ইসলামের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত মোছাঃ সাবিনা আক্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যার ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে সাবিনা আক্তার জানায়, মামলার ঘটনার প্রায় এক মাস পূর্বে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে চাকুরীর জন্য ভিকটিম নজরুল ইসলামের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী সন্তান বাসায় না থাকায় ভিকটিম নজরুল ইসলাম সাবিনা আক্তারকে গত ২ ডিসেম্বর ২০২৪ রাতে বাসায় ডেকে নেন। সাবিনা আক্তার নজরুল ইসলামের বাসায় রাতে অবস্থান করেন। এসময়ে চাকুরী ও বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সাবিনা আক্তার প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ভোর ৫ টায় নজরুল ইসলামকে শিল পাটার শিল দিয়ে মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত করেন ও মুখে বালিশ চাপা দেন। এর ফলে নজরুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এরপর নজরুল ইসলামের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ধারালো চাকু দিয়ে নজরুলের পুরুষাঙ্গ কেটে আলাদা করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

গ্রেফতারকৃত সাবিনা আক্তারের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত শিল পাটার রক্তমাখা শিল এবং ঘটনার দিন তার পরিহিত বোরকা উদ্ধার করেছে।

গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে চকবাজার মডেল থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

চকবাজারে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারী গ্রেফতার

S.H. Pavel
Update Time : ০৭:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর চকবাজারের পোস্তা এলাকায় চাঞ্চল্যকর প্লাস্টিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৪৬) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের চকবাজার মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতের নাম সাবিনা আক্তার (২৫)। এ সময় তার হেফাজত থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

আজ রবিবার সকালে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর চকবাজারের পোস্তা এলাকার ৬৬/১, আরএনডি রোডের এশিয়া টাওয়ারের ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা এবং পুরুষাঙ্গ কাটা অবস্থায় নজরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে চকবাজার মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ন আলামত ফুলদানির ভাঙ্গা অংশ, ধারালো চাকু ও অন্যান্য আলামত জব্দ করে। এরপর ভিকিটিম নজরুল ইসলামের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ তহিদুল ইসলাম ওরফে তাপস বাদী হয়ে চকবাজার মডেল থানায় গত ৪ ডিসেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রুজুকৃত মামলাটি তদন্তকালে আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ও সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্য  বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত হিসেবে মোছাঃ সাবিনা আক্তারকে শনাক্ত করা হয়।

গত শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫:৩০ ঘটিকায় যশোরের বাঘার পাড়া থানার মির্জাপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ভিকটিম নজরুল ইসলামের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত মোছাঃ সাবিনা আক্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যার ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে সাবিনা আক্তার জানায়, মামলার ঘটনার প্রায় এক মাস পূর্বে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে চাকুরীর জন্য ভিকটিম নজরুল ইসলামের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী সন্তান বাসায় না থাকায় ভিকটিম নজরুল ইসলাম সাবিনা আক্তারকে গত ২ ডিসেম্বর ২০২৪ রাতে বাসায় ডেকে নেন। সাবিনা আক্তার নজরুল ইসলামের বাসায় রাতে অবস্থান করেন। এসময়ে চাকুরী ও বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সাবিনা আক্তার প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ভোর ৫ টায় নজরুল ইসলামকে শিল পাটার শিল দিয়ে মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত করেন ও মুখে বালিশ চাপা দেন। এর ফলে নজরুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এরপর নজরুল ইসলামের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ধারালো চাকু দিয়ে নজরুলের পুরুষাঙ্গ কেটে আলাদা করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

গ্রেফতারকৃত সাবিনা আক্তারের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত শিল পাটার রক্তমাখা শিল এবং ঘটনার দিন তার পরিহিত বোরকা উদ্ধার করেছে।

গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে চকবাজার মডেল থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।