ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল ও সাজার ব্যবস্থা করব: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল করা সহজ নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা ভারত চায় না বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক: রিজভী পাসপোর্ট নিয়ে প্রবাসীদের সুখবর দিলেন আসিফ নজরুল সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে ১৩ নির্দেশনা আগামী পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে –পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়লো ডিসেম্বরেই আসছে মেট্রোরেলের ‘একক যাত্রা’র ২০ হাজার কার্ড শেখ হাসিনা ও রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব

গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী 

আঃ খালেক মন্ডল, গাইবান্ধা
  • Update Time : ০৮:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ১১৩ Time View

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৪) অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে চান।

ইতোমধ্যেই তাকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি নিরুপায় হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএমএইচ মাসুদ রানা পুলিশের সাব ইন্সপেকটর ছিলেন। গত ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই মেয়ে মাইশা (১৪) ও ছেলে মোহাম্মদ মাহদীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বাস করে আসছেন তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন।

কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার দেবর আল-আমিন হোসেন (২৯) সেই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন। এরই এক পর্যায়ে তিনি গত বুধবার বাহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী যুবকদের সাথে নিয়ে আল-আমিন অসহায় হালিমা খাতুনের বাড়ির সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেন।

এসময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হালিমা বেগমকে বাড়ি ছাড়তে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয় এবং গালিগালাজ করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিমা বেগম জানান, আমার দেবর আল আমিন নানা সময়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমার মেয়ে সহ আমাকে মারধর করেন। এরই এক পর্যায়ে আমার বাড়ির দরজার তালা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ঘরে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেন। এছাড়াও আমার বসত ঘরের দরজার সামনে একটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে। এতে আমার নিজ বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারিনা।

অভিযুক্ত আল-আমিন হোসেনের সাথে দেখা করে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী 

আঃ খালেক মন্ডল, গাইবান্ধা
Update Time : ০৮:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৪) অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে চান।

ইতোমধ্যেই তাকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি নিরুপায় হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএমএইচ মাসুদ রানা পুলিশের সাব ইন্সপেকটর ছিলেন। গত ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই মেয়ে মাইশা (১৪) ও ছেলে মোহাম্মদ মাহদীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বাস করে আসছেন তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন।

কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার দেবর আল-আমিন হোসেন (২৯) সেই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন। এরই এক পর্যায়ে তিনি গত বুধবার বাহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী যুবকদের সাথে নিয়ে আল-আমিন অসহায় হালিমা খাতুনের বাড়ির সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেন।

এসময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হালিমা বেগমকে বাড়ি ছাড়তে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয় এবং গালিগালাজ করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিমা বেগম জানান, আমার দেবর আল আমিন নানা সময়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমার মেয়ে সহ আমাকে মারধর করেন। এরই এক পর্যায়ে আমার বাড়ির দরজার তালা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ঘরে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেন। এছাড়াও আমার বসত ঘরের দরজার সামনে একটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে। এতে আমার নিজ বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারিনা।

অভিযুক্ত আল-আমিন হোসেনের সাথে দেখা করে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।