ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে তাই আন্দোলনে নেমেছি : গোলাম পরওয়ার আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয়নিঃ আসিফ নজরুল রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ও প্রবাসীদের মারধরের অভিযোগে ১২ হিজড়া গ্রেফতার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যুবকের ৪০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল সচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে সরকারের সিদ্ধান্ত কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যা করা হয়েছে: আসামির স্বীকারোক্তি ব্রাজিল সফরে প্রধান বিচারপতি টঙ্গী ফ্লাইওভারে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বিপাকে ৪ কর্মকর্তা  নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী 

আঃ খালেক মন্ডল, গাইবান্ধা
  • Update Time : ০৮:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ২০০ Time View

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৪) অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে চান।

ইতোমধ্যেই তাকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি নিরুপায় হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএমএইচ মাসুদ রানা পুলিশের সাব ইন্সপেকটর ছিলেন। গত ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই মেয়ে মাইশা (১৪) ও ছেলে মোহাম্মদ মাহদীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বাস করে আসছেন তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন।

কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার দেবর আল-আমিন হোসেন (২৯) সেই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন। এরই এক পর্যায়ে তিনি গত বুধবার বাহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী যুবকদের সাথে নিয়ে আল-আমিন অসহায় হালিমা খাতুনের বাড়ির সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেন।

এসময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হালিমা বেগমকে বাড়ি ছাড়তে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয় এবং গালিগালাজ করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিমা বেগম জানান, আমার দেবর আল আমিন নানা সময়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমার মেয়ে সহ আমাকে মারধর করেন। এরই এক পর্যায়ে আমার বাড়ির দরজার তালা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ঘরে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেন। এছাড়াও আমার বসত ঘরের দরজার সামনে একটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে। এতে আমার নিজ বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারিনা।

অভিযুক্ত আল-আমিন হোসেনের সাথে দেখা করে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী 

আঃ খালেক মন্ডল, গাইবান্ধা
Update Time : ০৮:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৪) অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে চান।

ইতোমধ্যেই তাকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি নিরুপায় হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএমএইচ মাসুদ রানা পুলিশের সাব ইন্সপেকটর ছিলেন। গত ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই মেয়ে মাইশা (১৪) ও ছেলে মোহাম্মদ মাহদীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বাস করে আসছেন তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন।

কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার দেবর আল-আমিন হোসেন (২৯) সেই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন। এরই এক পর্যায়ে তিনি গত বুধবার বাহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী যুবকদের সাথে নিয়ে আল-আমিন অসহায় হালিমা খাতুনের বাড়ির সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেন।

এসময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হালিমা বেগমকে বাড়ি ছাড়তে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয় এবং গালিগালাজ করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিমা বেগম জানান, আমার দেবর আল আমিন নানা সময়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমার মেয়ে সহ আমাকে মারধর করেন। এরই এক পর্যায়ে আমার বাড়ির দরজার তালা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ঘরে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেন। এছাড়াও আমার বসত ঘরের দরজার সামনে একটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে। এতে আমার নিজ বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারিনা।

অভিযুক্ত আল-আমিন হোসেনের সাথে দেখা করে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।