ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড থমথমে রংপুর: কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের দখলে রাজপথ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা সিলেট শাবি’র হলে হলে আন্দোলকারীদের তল্লাশী, অস্ত্র উদ্ধার,ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ কোটাবিরোধী আন্দোলন: নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেপ্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়তে নারাজ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা ও আগুন লাগার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে – আর‌পিএম‌পি ক‌মিশনার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন আমার ভাই মরলো কেন! প্রশাসন জবাব চাই’ শ্লোগানে উত্তাল গাইবান্ধা

গাজীপুরে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

জাহাঙ্গীর আকন্দ
  • Update Time : ০৯:৫১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৯২ Time View

গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর ৭নং ব্লক এলাকায় প্রসাশনকে তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবশ করে ঘরের দরজা ভেঙে আয়েশা আক্তার (৫৬) নামে এক বৃদ্ধাকে নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মানববন্ধন করেছে এরশাদনগর এলাকাবাসী।

৪ই এপ্রিল বেলা ৩টা ২০ মিনিটে টঙ্গী পূর্ব থানা সংলগ্ন শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালের সামনে মহাসড়কে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন এরশাদনগর এলাকার বিভিন্ন ব্লকের প্রায় শতাধিক বাসিন্দা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাবেক পুলিশ কনেশটেবল গিয়াস উদ্দিনের বড় স্ত্রী আয়েশা বেগম দীর্ঘ প্রায় ৩২ বছর যাবত এরশাদনগর এলাকার ৭নং ব্লকে বসবাস করছেন। আয়েশা বেগমের সাথে গিয়াস উদ্দিনের সুখেই দিন কাটছিলো। চাকরির সুবাধে গিয়াস উদ্দিন বিভিন্ন জায়গায় থেকে একাধীক বিবাহ করে। আয়েশা বেগম যখন গিয়াস উদ্দিনের অন্যান্য স্ত্রীদের সমন্ধে জানতে পারে তখন থেকেই নির্যাতন শুরু করে গিয়াস উদ্দিন। কিছুদিন না যেতেই গিয়াস তার ৩য় স্ত্রী মিনা ও তার সন্তানদের এরশাদনগ এলাকায় নিয়ে আসে। গিয়াস উদ্দিন যেন আয়েশা বেগমের কাছে না যেতে পারে তার জন্য বিভিন্ন ভাবে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে মিনা। দিন দিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। এনিয়ে আয়েশা বেগম একাধীকবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করলেও স্থানীয় প্রতিনিধি ও এলাকার গন্য মান্য ব্যাক্তিগণ মিনা বেগম ও তার মেয়ে অন্তরা ও চাদনীর অস্বাভাবিক আচরণের কারণে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। অতিষ্ঠ হয়ে আয়েশা বেগম তার স্বামী গিয়াস উদ্দিন কে তালাক দেয়। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হয়না গিয়াস ও তার ৩য় পক্ষের স্ত্রী সন্তানেরা। আয়েশা বেগমের বেচে থাকার শেষ ঠিকানা তার বসত ভিটা দখল করার পায়তারা শুরু করে। দফায় দফায় আয়েশার উপর করা এই অত্যাচার আমরা আর মেনে নিতে পারছিনা। আমরা চাই আয়েশা বেগম তার বস্ত ভিটায় শান্তিতে থাকুক। এবিষয়ে প্রসাশন যেন ন্যায় বিচারের ব্যাবস্থা করে দেয়। কোন শক্তিতে সৎ মেয়ের জামাই সোহেল, সতিন মোছাঃ মিনা বেগম ও তার মেয়ে অন্তরা ও চাদনী আয়েশা বেগমকে দফায় দফায় মারধর করে আমরা এলাকাবাসী ন্যায় বিচার চাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই পরিবারের আচরণে ও কাজে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। আমরা এবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামণা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

গাজীপুরে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

জাহাঙ্গীর আকন্দ
Update Time : ০৯:৫১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর ৭নং ব্লক এলাকায় প্রসাশনকে তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবশ করে ঘরের দরজা ভেঙে আয়েশা আক্তার (৫৬) নামে এক বৃদ্ধাকে নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মানববন্ধন করেছে এরশাদনগর এলাকাবাসী।

৪ই এপ্রিল বেলা ৩টা ২০ মিনিটে টঙ্গী পূর্ব থানা সংলগ্ন শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালের সামনে মহাসড়কে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন এরশাদনগর এলাকার বিভিন্ন ব্লকের প্রায় শতাধিক বাসিন্দা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাবেক পুলিশ কনেশটেবল গিয়াস উদ্দিনের বড় স্ত্রী আয়েশা বেগম দীর্ঘ প্রায় ৩২ বছর যাবত এরশাদনগর এলাকার ৭নং ব্লকে বসবাস করছেন। আয়েশা বেগমের সাথে গিয়াস উদ্দিনের সুখেই দিন কাটছিলো। চাকরির সুবাধে গিয়াস উদ্দিন বিভিন্ন জায়গায় থেকে একাধীক বিবাহ করে। আয়েশা বেগম যখন গিয়াস উদ্দিনের অন্যান্য স্ত্রীদের সমন্ধে জানতে পারে তখন থেকেই নির্যাতন শুরু করে গিয়াস উদ্দিন। কিছুদিন না যেতেই গিয়াস তার ৩য় স্ত্রী মিনা ও তার সন্তানদের এরশাদনগ এলাকায় নিয়ে আসে। গিয়াস উদ্দিন যেন আয়েশা বেগমের কাছে না যেতে পারে তার জন্য বিভিন্ন ভাবে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে মিনা। দিন দিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। এনিয়ে আয়েশা বেগম একাধীকবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করলেও স্থানীয় প্রতিনিধি ও এলাকার গন্য মান্য ব্যাক্তিগণ মিনা বেগম ও তার মেয়ে অন্তরা ও চাদনীর অস্বাভাবিক আচরণের কারণে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। অতিষ্ঠ হয়ে আয়েশা বেগম তার স্বামী গিয়াস উদ্দিন কে তালাক দেয়। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হয়না গিয়াস ও তার ৩য় পক্ষের স্ত্রী সন্তানেরা। আয়েশা বেগমের বেচে থাকার শেষ ঠিকানা তার বসত ভিটা দখল করার পায়তারা শুরু করে। দফায় দফায় আয়েশার উপর করা এই অত্যাচার আমরা আর মেনে নিতে পারছিনা। আমরা চাই আয়েশা বেগম তার বস্ত ভিটায় শান্তিতে থাকুক। এবিষয়ে প্রসাশন যেন ন্যায় বিচারের ব্যাবস্থা করে দেয়। কোন শক্তিতে সৎ মেয়ের জামাই সোহেল, সতিন মোছাঃ মিনা বেগম ও তার মেয়ে অন্তরা ও চাদনী আয়েশা বেগমকে দফায় দফায় মারধর করে আমরা এলাকাবাসী ন্যায় বিচার চাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই পরিবারের আচরণে ও কাজে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। আমরা এবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামণা করছি।