ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্কের

আন্তজাতিক  ডেস্ক 
  • Update Time : ০৯:৫৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৮১৭ Time View

চুক্তিতে সই করে পাতাটি সাংবাদিকদের দেখান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য একটি যৌথ ঘোষণায় সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্ক।

সোমবার মিশরের পর্যটনবান্ধব শহর শার্ম এল-শেখে ‘গাজা শান্তি সম্মেলনে’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি  এবং কাতার ও তুরস্কের নেতারা এই যৌথ ঘোষণায় সই করেন।

চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস গাজায় দুই বছর ধরে আটক থাকা শেষ ২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে ইতোমধ্যে মুক্তি দিয়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েল ১ হাজার ৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, জিম্মিদশায় নিহত ২৭ মরদেহ এবং ২০১৪ সালের যুদ্ধে নিহত এক সৈন্যের দেহাবশেষও ফেরত দেবে হামাস।

চুক্তিতে কী আছে?

আলোচনা কক্ষে থাকা এক আলোকচিত্রীর তোলা একটি ছবিতে চুক্তির অংশবিশেষ দেখে সিএনএন চুক্তির বিষয়ে জানিয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প সই করে চুক্তির পাতাটি সাংবাদিকদের দিকে তুলে ধরার সময় ছবিটি তোলা হয়েছে। এতে বেশ কিছু লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতির উল্লেখ আছে।

এতে বলা হয়, আমরা চাই সহনশীলতা ও মর্যাদা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ, যেন এই অঞ্চলটিতে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই শান্তি, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে।

পাতার নীচের অর্ধেক অংশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্কের নেতা এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের সই ও পদবি উল্লেখ করা আছে।

এর আগে, ট্রাম্প ইসরায়েল পৌঁছে দেশটির সংসদে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘আজ মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি মহান দিন। এই দলিল যুদ্ধবিরতির নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল যুদ্ধের ভার বহন করেছে, কিন্তু আজ সেই দীর্ঘ দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটল—এটা শুধু ইসরায়েলিদের জন্য নয়, ফিলিস্তিনিদের জন্যও।’

ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। আমার বিশ্বাস এটা স্থায়ী হবে।’ সিসির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘গাজা শান্তি প্রক্রিয়ায় মিশর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

এদিকে হামাস মুখপাত্র হাযেম কাসেম আহ্বান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারীরা যেন ইসরায়েলের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে যায়, যেন তারা যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ না করে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৮৬৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।

 

Please Share This Post in Your Social Media

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্কের

আন্তজাতিক  ডেস্ক 
Update Time : ০৯:৫৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য একটি যৌথ ঘোষণায় সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্ক।

সোমবার মিশরের পর্যটনবান্ধব শহর শার্ম এল-শেখে ‘গাজা শান্তি সম্মেলনে’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি  এবং কাতার ও তুরস্কের নেতারা এই যৌথ ঘোষণায় সই করেন।

চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস গাজায় দুই বছর ধরে আটক থাকা শেষ ২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে ইতোমধ্যে মুক্তি দিয়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েল ১ হাজার ৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, জিম্মিদশায় নিহত ২৭ মরদেহ এবং ২০১৪ সালের যুদ্ধে নিহত এক সৈন্যের দেহাবশেষও ফেরত দেবে হামাস।

চুক্তিতে কী আছে?

আলোচনা কক্ষে থাকা এক আলোকচিত্রীর তোলা একটি ছবিতে চুক্তির অংশবিশেষ দেখে সিএনএন চুক্তির বিষয়ে জানিয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প সই করে চুক্তির পাতাটি সাংবাদিকদের দিকে তুলে ধরার সময় ছবিটি তোলা হয়েছে। এতে বেশ কিছু লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতির উল্লেখ আছে।

এতে বলা হয়, আমরা চাই সহনশীলতা ও মর্যাদা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ, যেন এই অঞ্চলটিতে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই শান্তি, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে।

পাতার নীচের অর্ধেক অংশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্কের নেতা এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের সই ও পদবি উল্লেখ করা আছে।

এর আগে, ট্রাম্প ইসরায়েল পৌঁছে দেশটির সংসদে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘আজ মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি মহান দিন। এই দলিল যুদ্ধবিরতির নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল যুদ্ধের ভার বহন করেছে, কিন্তু আজ সেই দীর্ঘ দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটল—এটা শুধু ইসরায়েলিদের জন্য নয়, ফিলিস্তিনিদের জন্যও।’

ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। আমার বিশ্বাস এটা স্থায়ী হবে।’ সিসির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘গাজা শান্তি প্রক্রিয়ায় মিশর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

এদিকে হামাস মুখপাত্র হাযেম কাসেম আহ্বান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারীরা যেন ইসরায়েলের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে যায়, যেন তারা যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ না করে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৮৬৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।