গাজায় ‘নামমাত্র যুদ্ধবিরতি’, এক মাসে ইসরায়েলের ২৮২ বার লঙ্ঘন
- Update Time : ০৯:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
- / ৩২ Time View
ফিলিস্তিনের গাজায় ঘোষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও বাস্তবে তা প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল। আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ১০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসে ইসরায়েল অন্তত ২৮২ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এসব হামলায় কমপক্ষে ২৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬২২ জন আহত হয়েছেন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এক মাসে ইসরায়েল ৮৮ বার সাধারণ নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে, ১২ বার আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়েছে এবং ১২৪ বার বিমান ও কামান হামলা পরিচালনা করেছে। এছাড়া ২৩ জন ফিলিস্তিনিকে আটক ও ৫২টি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত ছিল মানবিক সহায়তা নির্বিঘ্নে গাজায় প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করা। কিন্তু জাতিসংঘের তথ্যমতে, এক মাসে গাজায় প্রবেশ করেছে মাত্র ৩,৪৫১টি ত্রাণবাহী ট্রাক, যেখানে চুক্তি অনুযায়ী এই সংখ্যা হওয়া উচিত ছিল ১৫,৬০০টিরও বেশি। খাদ্য ও ওষুধের অনেক চালান ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রবেশ করতে পারেনি।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর বলেই দাবি করছে। কিন্তু তথ্য বলছে, গত এক মাসে ৩১ দিনের মধ্যে ২৫ দিনই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, অর্থাৎ মাত্র ছয় দিন কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মূলত “নামমাত্র যুদ্ধবিরতি” বা “না যুদ্ধ, না শান্তি” অবস্থা। তাদের মতে, এভাবে যুদ্ধবিরতির আড়ালে হামলা চলতে থাকলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হবে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি শিশু। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশ যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানালেও আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। ফলে গাজার মানুষের জীবনে প্রতিদিনই ফিরে আসছে ভয়, ধ্বংস আর অনিশ্চয়তা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়





































































































































































































