ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড থমথমে রংপুর: কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের দখলে রাজপথ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা সিলেট শাবি’র হলে হলে আন্দোলকারীদের তল্লাশী, অস্ত্র উদ্ধার,ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ কোটাবিরোধী আন্দোলন: নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেপ্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়তে নারাজ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা ও আগুন লাগার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে – আর‌পিএম‌পি ক‌মিশনার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন আমার ভাই মরলো কেন! প্রশাসন জবাব চাই’ শ্লোগানে উত্তাল গাইবান্ধা

গাউসুল আজম মার্কেটে আগুনে অর্ধলাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি ব্যবসায়ীদের

ডেস্ক রিপোর্ট
  • Update Time : ০৯:২০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
  • / ৮৮ Time View

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নিউমার্কেট থানা সংলগ্ন গাউসুল আজম মার্কেটে আগুনের ঘটনায় অর্ধলাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা থাকায় প্রাথমিকভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। যার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় এসব কথা বলেন গাউসুল আজম মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বাবুল। তিনি বলেন, দ্বিতীয় তলার লেজার প্রিন্টিংয়ের একটি মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। আমাদের মার্কেটে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক। অনেকগুলো ফায়ার এক্সটিংগুইশার রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এখানকার ব্যবসায়ীরা সেসব ব্যবহার করে আগুন বাড়তে দেননি। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে সম্পূর্ণভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন ধীরে ধীরে মার্কেটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। আগুনে ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। একটি মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। ক্ষতি বলতে ততটুকুই হয়েছে। তবে নিরাপত্তার জন্য এখনো মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

আগুন লাগার কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ দোকান চিহ্নিত করেছি। সবার নিরাপত্তার স্বার্থে সেগুলোকে পর্যায়ক্রমে এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

তবে আগুন ছড়িয়ে পড়লে এখানে আরো ভয়ানক অবস্থা হতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন আজিজুর রহমান নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকই ছিল, কিন্তু হুট করেই দেখি ধোঁয়া। এরপরই দেখি আগুন জ্বলছে। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। প্রতি মুহূর্তেই মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হচ্ছে। আগুন যদি ছড়িয়ে পড়তো তাহলে এখানেও বেইলি রোডের চেয়ে ভয়ংকর অবস্থা হতো।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পলাশী ব্যারাকের স্টেশন অফিসার জিসান রহমান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এখানে আসার পর আমরা দেখেছি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এরপর যে আগুনটুকু ছিল সেটুকু সতর্কতার সঙ্গে আমরা বাড়তে দেইনি। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমরা আগুন-নির্বাপণ করতে সক্ষম হয়েছি। পলাশী ব্যারাক থেকে দুটি ইউনিট এসেছিলাম।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ধরেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার পর পরই নিরাপত্তাজনিত কারণে মার্কেটের সামনে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। তবে এখন সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে আবার প্রত্যাহার করে দেওয়া হয়েছে। মার্কেট খোলা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দেখছেন যেন আবার এ ধরনের ঘটনার সূত্রপাত না হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

গাউসুল আজম মার্কেটে আগুনে অর্ধলাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি ব্যবসায়ীদের

ডেস্ক রিপোর্ট
Update Time : ০৯:২০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর নিউমার্কেট থানা সংলগ্ন গাউসুল আজম মার্কেটে আগুনের ঘটনায় অর্ধলাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা থাকায় প্রাথমিকভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। যার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় এসব কথা বলেন গাউসুল আজম মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বাবুল। তিনি বলেন, দ্বিতীয় তলার লেজার প্রিন্টিংয়ের একটি মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। আমাদের মার্কেটে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক। অনেকগুলো ফায়ার এক্সটিংগুইশার রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এখানকার ব্যবসায়ীরা সেসব ব্যবহার করে আগুন বাড়তে দেননি। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে সম্পূর্ণভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন ধীরে ধীরে মার্কেটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। আগুনে ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। একটি মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। ক্ষতি বলতে ততটুকুই হয়েছে। তবে নিরাপত্তার জন্য এখনো মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

আগুন লাগার কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ দোকান চিহ্নিত করেছি। সবার নিরাপত্তার স্বার্থে সেগুলোকে পর্যায়ক্রমে এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

তবে আগুন ছড়িয়ে পড়লে এখানে আরো ভয়ানক অবস্থা হতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন আজিজুর রহমান নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকই ছিল, কিন্তু হুট করেই দেখি ধোঁয়া। এরপরই দেখি আগুন জ্বলছে। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। প্রতি মুহূর্তেই মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হচ্ছে। আগুন যদি ছড়িয়ে পড়তো তাহলে এখানেও বেইলি রোডের চেয়ে ভয়ংকর অবস্থা হতো।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পলাশী ব্যারাকের স্টেশন অফিসার জিসান রহমান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এখানে আসার পর আমরা দেখেছি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এরপর যে আগুনটুকু ছিল সেটুকু সতর্কতার সঙ্গে আমরা বাড়তে দেইনি। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমরা আগুন-নির্বাপণ করতে সক্ষম হয়েছি। পলাশী ব্যারাক থেকে দুটি ইউনিট এসেছিলাম।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ধরেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার পর পরই নিরাপত্তাজনিত কারণে মার্কেটের সামনে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। তবে এখন সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে আবার প্রত্যাহার করে দেওয়া হয়েছে। মার্কেট খোলা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দেখছেন যেন আবার এ ধরনের ঘটনার সূত্রপাত না হয়।