ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের বিস্তর অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:৫৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
  • / ১৬৩ Time View

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের বিণয় ভূষণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতির কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও বাদ যায় নি।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আমরা রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য প্রতিষ্ঠানে কাগজপত্র দিলেও প্রবেশপত্রে অনেকের বয়স বেশি দেয়া,ম্যানেজিং কমিটিতে অনিয়ম ও মেধা তালিকায় শিক্ষার্থীদের জন্য  প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণ না করাসহ অনেক অভিযোগ উঠেছে।

২০২১ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে বয়স সংশোধনের নামে কয়েক দফায় টাকা নিলেও সংশোধনের নামে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হোসেন মন্ডল।

চলতি সপ্তাহের সোমবারে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাদের বয়স সংশোধন সম্পর্কিত বিষয়ে জানার জন্য আসলে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন এবং সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শিথিল হয়।

পরে প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। এই কমিটির মাধ্যমে বয়স সংশোধন করা হবে মর্মে জানা যায়।

শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম জানায়, আমার জন্ম সনদে ১০ ই ফেব্রুয়ারী ২০০৫ ইং সাল কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে এসে দেখি ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ দেয়া আছে। এটার মানে কি? তার পরেও স্যারেরা সংশোধনের কথা বলেছেন এবং টাকাও নিয়েছেন। কয়েকটি দফায় আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৩ সালের জুন মাস চলছে কিন্তু প্রতিষ্ঠান কোন কিছু করেননি। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করার অধিকার তাঁর নেই। আমরা মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অন্য এক শিক্ষার্থী  আয়শা সিদ্দিকা বৃষ্টি বলেন,৯-০৫-১২-২০০৬ আমার সঠিক বয়স কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার মনগড়া ০৫-১২-১৯৯৭ বয়স দিয়ে আমাদের কেন হয়রানি করতেছেন। যেখানে ৩০০ টাকার মধ্যে হয় সেখানে কয়েকটি দফায় আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।

আমরা এর জবাব চাই। কেন আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হলো! এর বিচার চাই?

এ বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হোসেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের কৌশলে এড়িয়ে জনৈক এক ব্যক্তির মোটর সাইকেলে চড়ে দ্রুত বিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং মুঠোফোন টা বন্ধ করে রাখেন।

সচেতন মহল বলছেন এই প্রধান শিক্ষক অনেক দুর্নীতি করেছেন। আমরা তার অপসারণ চাই। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে অবহেলা করলেন কেন? তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে কেন ফেলে দিলেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের বিস্তর অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:৫৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের বিণয় ভূষণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতির কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও বাদ যায় নি।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আমরা রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য প্রতিষ্ঠানে কাগজপত্র দিলেও প্রবেশপত্রে অনেকের বয়স বেশি দেয়া,ম্যানেজিং কমিটিতে অনিয়ম ও মেধা তালিকায় শিক্ষার্থীদের জন্য  প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণ না করাসহ অনেক অভিযোগ উঠেছে।

২০২১ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে বয়স সংশোধনের নামে কয়েক দফায় টাকা নিলেও সংশোধনের নামে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হোসেন মন্ডল।

চলতি সপ্তাহের সোমবারে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাদের বয়স সংশোধন সম্পর্কিত বিষয়ে জানার জন্য আসলে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন এবং সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শিথিল হয়।

পরে প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। এই কমিটির মাধ্যমে বয়স সংশোধন করা হবে মর্মে জানা যায়।

শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম জানায়, আমার জন্ম সনদে ১০ ই ফেব্রুয়ারী ২০০৫ ইং সাল কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে এসে দেখি ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ দেয়া আছে। এটার মানে কি? তার পরেও স্যারেরা সংশোধনের কথা বলেছেন এবং টাকাও নিয়েছেন। কয়েকটি দফায় আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৩ সালের জুন মাস চলছে কিন্তু প্রতিষ্ঠান কোন কিছু করেননি। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করার অধিকার তাঁর নেই। আমরা মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অন্য এক শিক্ষার্থী  আয়শা সিদ্দিকা বৃষ্টি বলেন,৯-০৫-১২-২০০৬ আমার সঠিক বয়স কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার মনগড়া ০৫-১২-১৯৯৭ বয়স দিয়ে আমাদের কেন হয়রানি করতেছেন। যেখানে ৩০০ টাকার মধ্যে হয় সেখানে কয়েকটি দফায় আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।

আমরা এর জবাব চাই। কেন আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হলো! এর বিচার চাই?

এ বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হোসেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের কৌশলে এড়িয়ে জনৈক এক ব্যক্তির মোটর সাইকেলে চড়ে দ্রুত বিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং মুঠোফোন টা বন্ধ করে রাখেন।

সচেতন মহল বলছেন এই প্রধান শিক্ষক অনেক দুর্নীতি করেছেন। আমরা তার অপসারণ চাই। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে অবহেলা করলেন কেন? তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে কেন ফেলে দিলেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।