কেরানীগঞ্জে বাংলা টিভির সাংবাদিককে পুলিশ লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত
- Update Time : ০৪:০৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
- / ২৬৫ Time View
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাংলা টিভির প্রতিনিধি সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে পুলিশ লাঞ্ছিত করার অপরাধে দায়ী পুলিশ ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন সহ চার পুলিশ সদস্যকে শাস্তি দাবিতে সোমবার কদমতলী এলাকায় ঢাকা জেলা প্রেসক্লাব সামনে কেরানীগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের পেশাদার সাংবাদিকরা সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়।
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন কেরানীগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি রায়হান খান। বক্তব্য রাখেন কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ভোরের কাগজের সাংবাদিক শফিক চৌধুরী, ঢাকা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক এইচ এম আমীন, নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, প্রথম আলো পত্রিকার ইকবাল হোসেন রতন, এনটিভির দেলোয়ার হোসেন, কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাংবাদিক মোস্তাফা কামাল, ঢাকা জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শামীম হাওলাদার, নওরোজ পত্রিকার সাব এডিটর মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক , কালের কন্ঠের আলতাব হোসেন মিন্টু সহ প্রেসক্লাব অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন রাষ্ট্রের দায়িত্ব দেশের জনগণ ও সকল পেশাজীবীদের জান ও মালের নিরাপত্তা দেওয়া। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সাংবাদিকদের পেশা পালনকালে নিরাপত্তা না দিয়ে বরং কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলা টিভির কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক আরিফ হোসেনকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার জাজিরা পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন সহ চার পুলিশ গত ১৯ অক্টোবর বেলা ১১ টায় কদমতলী ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে লাঞ্ছিত করে এবং তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে।
অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর আনোয়ার সহ পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবী করেন। ওই ঘটনায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান রিপন সাংবাদিকদের সামনে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপারের আশ্বাসে ঘটনার পর থেকে সাংবাদিকরা কোন ব্যবস্থা নেননি।
কিন্তু ঘটনার পাচ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত আনোয়ার সহ পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে বহাল আছে। তাই অবিলম্বে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ও ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মানববন্ধন ও প্রতিবাদে আসা সাংবাদিকবৃন্দরা।