ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর, এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৩২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২৫৫ Time View

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ কে প্রত্যাহার করা হয়েছে ।  

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের মারধর করা হয়। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার করা হয় বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন । তিনি বলেন, এডিসি হারুনকে ডিএমপির দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এই আদেশে সই করেছেন।

মারধরের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী দুইজন হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। 

রাতে এ ঘটনার সময় শাহবাগ থানার সামনে ভিড় করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মধ্যরাতে থানায় গিয়ে ঘটনার মীমাংসা করেন ।

জানা যায়, শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। সেসময় ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।

ঐ নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তখন তাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে ফোর্স দিয়ে শাহবাগ থানায় তুলে আনেন এডিসি হারুন। সেখানে তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে পিওএমে সংযুক্ত করা হবে। তাকে বদলির বিষয়ে দ্রুত আদেশ জারি হবে। পরবর্তীতে একটি তদন্ত কমিটি হবে। সেখানে কে দোষী, কে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর, এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:৩২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ কে প্রত্যাহার করা হয়েছে ।  

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের মারধর করা হয়। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার করা হয় বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন । তিনি বলেন, এডিসি হারুনকে ডিএমপির দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এই আদেশে সই করেছেন।

মারধরের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী দুইজন হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। 

রাতে এ ঘটনার সময় শাহবাগ থানার সামনে ভিড় করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মধ্যরাতে থানায় গিয়ে ঘটনার মীমাংসা করেন ।

জানা যায়, শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। সেসময় ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।

ঐ নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তখন তাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে ফোর্স দিয়ে শাহবাগ থানায় তুলে আনেন এডিসি হারুন। সেখানে তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে পিওএমে সংযুক্ত করা হবে। তাকে বদলির বিষয়ে দ্রুত আদেশ জারি হবে। পরবর্তীতে একটি তদন্ত কমিটি হবে। সেখানে কে দোষী, কে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।