ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আওয়ামী লীগ নেতা এখনও চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন রংপুরে দোকানপাট বন্ধ রেখে আধাবেলা ধর্মঘট পালন গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে টঙ্গীতে তা’মীরুল মিল্লাত শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ মিছিল সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে : প্রধান বিচারপতি দেশব্যাপী আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা এসএসসি পরীক্ষা: মোরেলঞ্জে দায়িত্ব অবহেলার কারনে ৯ শিক্ষককে বহিস্কার চীনের উপহারের হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে রংপুরে তিস্তা এলাকা পরিদর্শন জাতীয় প্রেস ক্লাবে অবিলম্বে নির্বাচন দাবি জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং দক্ষতা শীর্ষক সেমিনার সিরিজ অনুষ্ঠিত কুবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৯ এপ্রিল, পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা 

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রদের মানববন্ধন

মোঃ মাইনুল হাসান কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৮১ Time View

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ প্রশাসনের মিথ্যাচার ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় কলেজের ডিগ্রি ক্যাম্পাসে কলেজ প্রশাসনের মিথ্যাচার প্রচারের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থী মো.নাহিদুল ইসলাম এ বক্তব্য তুলে ধরেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৭ বছর ধরে কলেজ ক্যাম্পাস মসজিদে সাপ্তাহিক হাদিসের তালীম চলে আসছে। হঠাৎ করে সোমবার (২০ জানুয়ারি) তাবলিগ জামাতের সাপ্তাহিক তালিম বন্ধের ঘোষণা দেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা। পরদিন মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অফিসে গিয়ে বিষয় জানতে চাইলে তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে চেয়ার থেকে দাড়িয়ে যান। পরে এ বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। যা মোটেও সত্য নয়।

এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ এর অধ্যক্ষ মহাদয়কে অবরুদ্ধ শিরোনামে যে সংবাদ বা ভিডিও প্রচার করা হয়। যা সম্পূণ মিথ্যাচার।

বিশেষ করে কলেজের সাধারন ছাত্রদেরকে দুষ্কৃতিকারী বলে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে। আমাদেন বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডার তিব্র নিন্দা জানাই।

এসময় গণিত বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের তারেক হোসেন, ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র সোলাইমান, ইসলামি ইতিহাসের ছাত্র আশিকুর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের তৌহিদ বিন সাদিক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের ছাত্র মো. নাঈম খান, মো. উজ্জ্বল মিয়া প্রমুখ।
এর আগে কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বুধবার (২২ জানুয়ারি) কলেজের ডিগ্রি ক্যাম্পাসে দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন।

এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাজী মুহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে অধ্যক্ষের রুমে যা হয়েছে তা শৃঙ্খলাবিরোধী। তারা বহিরাগত ছিল। অধ্যক্ষ মহোদয়কে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। আমরা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, কলেজের মর্যাদা, ধর্মীয় অনুভূতি সব কিছু যেন ঠিক থাকে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) তাবলিগ জামাতের সাপ্তাহিক তালিম বন্ধের ঘোষণা দেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিনের মতবিরোধে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন কলেজের নজরুল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ধর্মপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা।

Please Share This Post in Your Social Media

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রদের মানববন্ধন

মোঃ মাইনুল হাসান কুমিল্লা প্রতিনিধি
Update Time : ১২:০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ প্রশাসনের মিথ্যাচার ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় কলেজের ডিগ্রি ক্যাম্পাসে কলেজ প্রশাসনের মিথ্যাচার প্রচারের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থী মো.নাহিদুল ইসলাম এ বক্তব্য তুলে ধরেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৭ বছর ধরে কলেজ ক্যাম্পাস মসজিদে সাপ্তাহিক হাদিসের তালীম চলে আসছে। হঠাৎ করে সোমবার (২০ জানুয়ারি) তাবলিগ জামাতের সাপ্তাহিক তালিম বন্ধের ঘোষণা দেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা। পরদিন মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অফিসে গিয়ে বিষয় জানতে চাইলে তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে চেয়ার থেকে দাড়িয়ে যান। পরে এ বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। যা মোটেও সত্য নয়।

এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ এর অধ্যক্ষ মহাদয়কে অবরুদ্ধ শিরোনামে যে সংবাদ বা ভিডিও প্রচার করা হয়। যা সম্পূণ মিথ্যাচার।

বিশেষ করে কলেজের সাধারন ছাত্রদেরকে দুষ্কৃতিকারী বলে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে। আমাদেন বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডার তিব্র নিন্দা জানাই।

এসময় গণিত বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের তারেক হোসেন, ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র সোলাইমান, ইসলামি ইতিহাসের ছাত্র আশিকুর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের তৌহিদ বিন সাদিক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের ছাত্র মো. নাঈম খান, মো. উজ্জ্বল মিয়া প্রমুখ।
এর আগে কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বুধবার (২২ জানুয়ারি) কলেজের ডিগ্রি ক্যাম্পাসে দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন।

এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাজী মুহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে অধ্যক্ষের রুমে যা হয়েছে তা শৃঙ্খলাবিরোধী। তারা বহিরাগত ছিল। অধ্যক্ষ মহোদয়কে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। আমরা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, কলেজের মর্যাদা, ধর্মীয় অনুভূতি সব কিছু যেন ঠিক থাকে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) তাবলিগ জামাতের সাপ্তাহিক তালিম বন্ধের ঘোষণা দেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিনের মতবিরোধে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন কলেজের নজরুল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ধর্মপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা।