ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ বিচারকের বিদায় সংবর্ধনা কিসের পাওয়ারে ট্রিপল মার্ডারের আসামি জহিরুল বাহিরে টঙ্গীর জাভান হোটেলে পুলিশের অভিযানে বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেফতার ৭ ছাত্র-জনতার উপর হামলা মামলার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ইরানি দম্পতির ওপর হামলা, কারাগারে ৪ আসামি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাসিক নিষ্পত্তি সভা অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা! ঢাকায় যুক্ত হচ্ছে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস! ছিনতাইকারীর কবল থেকে ইরানী দম্পতিকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা!

কিশোরগঞ্জে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৭১ Time View

নীলফমারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মেলাবর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রিয়নাথ রায় ও তার স্ত্রীর (সাবেক সভাপতি) বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেয়ার নামে ১১ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ করেছেন সহজ সরল এক বেকার যুবক। চাকরি ও টাকা কোনটাই না পেযে পথে বসার উপক্রম হয়েছে ওই যুবকের। এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী ।

অভিযোগ ও সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মধ্যপড়া গ্রামের মরহুম সুজাল উদ্দিনের বেকার পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক যখন দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত একটি চাকরির প্রত্যাশয় ঘুরছিলেন। এমন এক মুর্হুতে মেলাবর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপি চোখে পড়ে সিদ্দিকের।তিনি নিরাপত্তা প্রহরি পদে আবেদন করেন। এ সুবাদে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রতারক সাবেক প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীর (সাবেক সভাপতি) সাথে বেকার যুবক সিদ্দিকের। প্রতারক চক্রদ্বয় তাকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে ১১ লাখ টাকা দাবী করেন। সিদ্দিক তার সহায় সম্বলটুকু বিক্রি করে তাদের দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করেন।

ভূক্তভোগি আবু বক্কর জানান- প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহন করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় চারজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আমি প্রথম স্থান অধিকার করি। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসুরন করে আমাকে নিয়োগ ও যোগদান পত্র প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ওই প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি আমার কাছে আরো ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি উপরি টাকার চাহিদা পূরণ করতে না পারায় প্রতারকদ্বয় গোপনে পরিমল চন্দ্র নামে একজনকে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরে প্রেরণ করে বেতন ভাতা বের করেন । এসব বিষয় জানার পর প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে অন্যপদে চাকরি দিবে বলে আশাস্ত করে। এভাবে চাকরি-টাকা দিচ্ছি ,দিব বলে সময় ক্ষেপন করে আসছে।

এ ব্যাপারে সাবেক প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য চেষ্ঠা করে তার দেখা না পেয়ে তার স্ত্রী ও বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি দিপালী রানী রায়ের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে বিষয়টি আপোস-রফার আলোচনা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি মিটমাট হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক জানান-ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেলে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোরগঞ্জে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

নীলফমারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মেলাবর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রিয়নাথ রায় ও তার স্ত্রীর (সাবেক সভাপতি) বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেয়ার নামে ১১ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ করেছেন সহজ সরল এক বেকার যুবক। চাকরি ও টাকা কোনটাই না পেযে পথে বসার উপক্রম হয়েছে ওই যুবকের। এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী ।

অভিযোগ ও সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মধ্যপড়া গ্রামের মরহুম সুজাল উদ্দিনের বেকার পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক যখন দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত একটি চাকরির প্রত্যাশয় ঘুরছিলেন। এমন এক মুর্হুতে মেলাবর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপি চোখে পড়ে সিদ্দিকের।তিনি নিরাপত্তা প্রহরি পদে আবেদন করেন। এ সুবাদে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রতারক সাবেক প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীর (সাবেক সভাপতি) সাথে বেকার যুবক সিদ্দিকের। প্রতারক চক্রদ্বয় তাকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে ১১ লাখ টাকা দাবী করেন। সিদ্দিক তার সহায় সম্বলটুকু বিক্রি করে তাদের দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করেন।

ভূক্তভোগি আবু বক্কর জানান- প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহন করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় চারজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আমি প্রথম স্থান অধিকার করি। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসুরন করে আমাকে নিয়োগ ও যোগদান পত্র প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ওই প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি আমার কাছে আরো ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি উপরি টাকার চাহিদা পূরণ করতে না পারায় প্রতারকদ্বয় গোপনে পরিমল চন্দ্র নামে একজনকে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরে প্রেরণ করে বেতন ভাতা বের করেন । এসব বিষয় জানার পর প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে অন্যপদে চাকরি দিবে বলে আশাস্ত করে। এভাবে চাকরি-টাকা দিচ্ছি ,দিব বলে সময় ক্ষেপন করে আসছে।

এ ব্যাপারে সাবেক প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য চেষ্ঠা করে তার দেখা না পেয়ে তার স্ত্রী ও বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি দিপালী রানী রায়ের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে বিষয়টি আপোস-রফার আলোচনা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি মিটমাট হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক জানান-ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেলে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।