কিশোরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের উন্নয়ন খাতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- Update Time : ০৮:০০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
- / ১৮৯ Time View
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা ডাংগাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান এর বিরুদ্ধে।
রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক চলতি বছরের ৫ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যেসকল ভোট কেন্দ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেরামতের প্রয়োজন সেই সকল প্রতিষ্ঠানে সরকার মেরামত কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়। সেই আলোকে উত্তর বড়ভিটা ডাংগাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত কাজের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রধান শিক্ষক সেই টাকা উত্তোলন করে নামমাত্র একটি ল্যাট্রিন করে ও বৈদ্যুতিক ওয়ারিং করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করে।
অপর দিকে প্রতিবছর স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের (প্রাক-প্রাথমিক) শিখন কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন খেলনা, শিক্ষার্থীদের বসার জন্য কার্পেট,মাদুরসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের জন্য ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়। সেই টাকা থেকে কোন ধরণের মালামাল ক্রয় না করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক।
গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ওই বিদ্যালয়ে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) ৫০ হাজার টাকা ও প্রাক প্রাথমিকের জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রধান শিক্ষক সেই টাকা থেকে নামমাত্র কিছু কাজ করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করে। একই ভাবে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য বরাদ্দ আসলেও তিনি কোন কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
আর এসব কাজের জন্য জবাবদিহীতার কোন প্রয়োজন নেই বললেই চলে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিনের। তিনি প্রতিমাসে একবার করে ওই স্কুল পরিদর্শন করলেও তিনি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
সরকারী বরাদ্দের টাকার ভাগ অফিসে বসে নেয়ার কারণে উপজেলা শিক্ষা অফিসারেরও নেই কোন মাথা ব্যাথা।
একটি সূত্র জানিয়েছে উপজেলায় যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরে দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় তার থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ মন্ডলকে দেয়া হয় মোটা অংকের উৎকোচ। যার ফলে সকল অনিয়ম নিয়মেই পরিণত হয়।
উত্তর বড়ভিটা ডাংগাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোবাশ্বেরা জানান,প্রাক প্রাথমিকের কেনাকাটা সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবো না।
প্রাক প্রাথমিকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক সুস্মিতা দে বলেন,আমি ২০২৩ সালে প্রাক প্রাথমিকে যোগদান করার পর কোন নতুন মালামাল পাইনি।
প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমানের কাছে বরাদ্দকৃত অর্থে কি কি ক্রয় করেছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার সকল বরাদ্দের কাগজ ও ভাউচার বাড়িতে আছে। আপনারা পরবর্তীতে আসলে আমাকে জানাবেন আপনাদেরকে কাগজ দেখাবো। কাগজ বাড়িতে কেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, বাড়িতে কাগজ থাকলে সমস্যা কোথায়।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন,আমি তাকে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে মালামল ক্রয় করতে বলেছি। তিনি আমার কাছে সময় চেয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি ওই প্রধান শিক্ষককে ফোন করতে বললেও প্রধান শিক্ষক শিক্ষা অফিসারের কথাকে আমলে নেয়নি। উল্টো প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রয়োজন হলে শিক্ষা অফিসার আমাকে কল করবে।