ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে জাল সনদে চাকরি করা শিক্ষিকার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকি

নীলফামারী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:৪১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৯ Time View

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকির অভিযোগ উঠেছে রাশেদা আখতার নামে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

গত ২১ অক্টোবর “কিশোরগঞ্জে জাল সনদে ১৯ বছর ধরে চাকরি” -এই শিরোনামে দৈনিক নওরোজসহ বেশ কয়েকটি জাতীয়, স্থানীয় ও এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা যায়, কেল্লাবাড়ী কারিগরী ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মহাবিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান স্বপনের বাবা মরহুম মোশারফ হোসেন কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৫ সালে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান রাশেদা আক্তার। ২০১৩ সালে এমপিওভুক্ত হন তিনি। জাল সনদে চাকরি করে গত ১১ বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বেতন বোনাস তুলেছেন তিনি। জাল সনদে চাকরির বিষয়টি এতদিন গোপন থাকলেও প্রকাশ্যে আসে ২০২২ সালে।

নামপ্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দুইজন শিক্ষক জানান, ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে আমাদের প্রতিষ্ঠানে মিনিস্ট্রি অডিট আসে। অডিটে অধ্যক্ষের উপস্থিতে সকল শিক্ষকের সমস্ত তথ্য নিয়ে অধিদপ্তরে ফিরে যান অডিটররা। ২০২২ সালে অডিট রিপোর্ট আসে সেখানে কম্পিউটার শিক্ষক রাশেদা আক্তারের কম্পিউটার সার্টিফিকেটটি ভুয়া বলে উল্লেখ করা হয়। পরে অধ্যক্ষের যোগসাজসে নেকটার (সাবেক নট্রামস) এর অধীনে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাকডেটে অন্য আর একটি কম্পিউটার সার্টিফিকেট কারিগরী অধিদপ্তরের অডিট শাখায় পাঠানো হয় যা এখন পর্যন্ত যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তাঁরা জানান।

সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ২২ অক্টোবর রাত ৯টার সময় দৈনিক বায়ান্নর আলো পত্রিকার কিশোরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা শাকিল ইসলামের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে সকল সাংবাকিকদের উদ্দেশ্যে হুমকিস্বরুপএকটি ক্ষুদে বার্তা পাঠান শিক্ষিকা রাশেদা আখতার। হুমকি বার্তাটি হুবহু তুলে ধরা হলো, কারোর কথায় প্ররোচিত না হয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে সংবাদ প্রচার করার আহবান জানাচ্ছি। মন্ত্রণালয় থেকে রিপোর্ট আসার পর প্রিন্সিপাল এর নামে মানহানি এবং হয়রানি মামলায় সহায়তাকারী হিসেবে আপনাদেরও নাম তালিকাভুক্ত করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেল্লাবাড়ী কারিগরী ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি মৌসুমী হক বলেন, বিষয়টি আমি কেল্লাবাড়ী কারিগরী ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদেরকে বৃহস্পতিবার ডেকেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোরগঞ্জে জাল সনদে চাকরি করা শিক্ষিকার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকি

নীলফামারী প্রতিনিধি
Update Time : ০২:৪১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকির অভিযোগ উঠেছে রাশেদা আখতার নামে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

গত ২১ অক্টোবর “কিশোরগঞ্জে জাল সনদে ১৯ বছর ধরে চাকরি” -এই শিরোনামে দৈনিক নওরোজসহ বেশ কয়েকটি জাতীয়, স্থানীয় ও এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা যায়, কেল্লাবাড়ী কারিগরী ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মহাবিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান স্বপনের বাবা মরহুম মোশারফ হোসেন কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৫ সালে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান রাশেদা আক্তার। ২০১৩ সালে এমপিওভুক্ত হন তিনি। জাল সনদে চাকরি করে গত ১১ বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বেতন বোনাস তুলেছেন তিনি। জাল সনদে চাকরির বিষয়টি এতদিন গোপন থাকলেও প্রকাশ্যে আসে ২০২২ সালে।

নামপ্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দুইজন শিক্ষক জানান, ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে আমাদের প্রতিষ্ঠানে মিনিস্ট্রি অডিট আসে। অডিটে অধ্যক্ষের উপস্থিতে সকল শিক্ষকের সমস্ত তথ্য নিয়ে অধিদপ্তরে ফিরে যান অডিটররা। ২০২২ সালে অডিট রিপোর্ট আসে সেখানে কম্পিউটার শিক্ষক রাশেদা আক্তারের কম্পিউটার সার্টিফিকেটটি ভুয়া বলে উল্লেখ করা হয়। পরে অধ্যক্ষের যোগসাজসে নেকটার (সাবেক নট্রামস) এর অধীনে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাকডেটে অন্য আর একটি কম্পিউটার সার্টিফিকেট কারিগরী অধিদপ্তরের অডিট শাখায় পাঠানো হয় যা এখন পর্যন্ত যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তাঁরা জানান।

সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ২২ অক্টোবর রাত ৯টার সময় দৈনিক বায়ান্নর আলো পত্রিকার কিশোরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা শাকিল ইসলামের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে সকল সাংবাকিকদের উদ্দেশ্যে হুমকিস্বরুপএকটি ক্ষুদে বার্তা পাঠান শিক্ষিকা রাশেদা আখতার। হুমকি বার্তাটি হুবহু তুলে ধরা হলো, কারোর কথায় প্ররোচিত না হয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে সংবাদ প্রচার করার আহবান জানাচ্ছি। মন্ত্রণালয় থেকে রিপোর্ট আসার পর প্রিন্সিপাল এর নামে মানহানি এবং হয়রানি মামলায় সহায়তাকারী হিসেবে আপনাদেরও নাম তালিকাভুক্ত করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেল্লাবাড়ী কারিগরী ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি মৌসুমী হক বলেন, বিষয়টি আমি কেল্লাবাড়ী কারিগরী ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদেরকে বৃহস্পতিবার ডেকেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নওরোজ/এসএইচ