ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
তাবাসসুমের নেতৃত্বে আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলি সব পণ্য বয়কট করছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ সুপারমার্কেট ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয়ায় ইংলিশ কিংবদন্তি লিনেকারকে ছাঁটাই করল বিবিসি কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করছে সরকারের উপদেষ্টা : ইশরাক সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না : রিজভী

কামরাঙ্গিরচরে উচ্চমূল্যে খেয়া ঘাট ইজারা দেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৪৫ Time View

রাজধানী কামরাঙ্গিরচর থানাধীন ডিএসসিসির ৫৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী মাতবর বাজার ঘাট এবং মুসলিমবাগ ঘাট (ঠোডার ঘাট) ২টি গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় মাদবর বাজার ঘাট এক কোটি, বারো হাজার টাকা ইজারায় ডাক হয় এর সাথে যুক্ত ১০% ভ্যাট ট্যাক্স এবং মূসক ১৫% সংযুক্ত হয়। মেয়াদ ১৪/০৯/২৪ ইং হইতে ৩০/০৬/২৫ ইং। ৯ মাস ১৫ দিনের জন্য এত উচ্চমূল্যে ডাক হওয়ায় ইজারাদারেরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এত উচ্চমূল্যে আগামীতে ইজারা ডাক দেয়া হলে  ইজারাদারেরা ঘাটের ইজারা নাও নিতে পারে। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাতে পারে।

সারজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাদবর বাজার ঘাট ও মুসলিমবাগ ঘাট হতে যাত্রী পাড়াপাড়ের জন্য কোন প্রকার টোল প্রদান করা হয় না। এমন কি এই দুইটি ঘাটে কোন টোলঘরও স্থাপন করা হয়নি।

খোলামোড়া ও ঝাউচর ঘাটে টোলঘর বানিয়ে নৌযাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত টোল আদায় করা হলেও মাদবর বাজার ঘাট ও মুসলীমবাগ ঘাটে সেই ধরনের টোল আদায়ের কোন কার্যক্রম চোখে পরে নি।

এই বিষয়ে মাদবর বাজার ঘাটের ইজারাদার় হাসলাই বিল্ডার্সের মালিক জানান, নৌযাত্রীদের কাছ থেকে এক টাকাও টোল আদায় করেন না। শুধুমাত্র ঘাটে চলাচলকারী ট্রলার এবং নৌকা হতে সরকার নির্ধারিত ফি গ্রহন করা হয়।

ইজারাদার আরও জানান, আমি বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। টোলঘর স্থাপন করে সরকারের নির্ধারিত হারে টোল আদায় করতে না পারায় লাভ তো দূরে থাক মূল টাকা উঠানোই এখন দূঃসাধ্য ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে।

মাদবর বাজার ঘাটের সাবেক ইজারাদার ইমতিয়াজ আলমের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর তিনি কিছু দিন এই ঘাটের ইজারাদার ছিলেন কিন্তু ইজারা কালীন সময় সে আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগস্ত হন যে কারনে বর্তমানে সে এই ঘাটের ইজারার টেন্ডার নিতে কোন আগ্রহ নেই। কারন হিসেবে তিনি জানান, সাধারন মানুষ মনে করে দেশ এখন স্বাধীন তাই তারা ঘাটে কোন টোল দিতে চান না।

সরকার নির্ধারিত টোল আদায়কে যাত্রীগন চাঁদাবাজী মনে করেন। প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে ঝগড়া-ঝাটি, কথা কাটাকাটি এমন কি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়।

এছাড়াও ফেইসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন আজেবাজে কথা লিখে মানহানিকর পোস্ট করে বিদ্বায় ভবিষ্যতেও টেন্ডার কার্যক্রমে অংশগ্রহন করবেন না বলে তিনি জানান।

আমার উপর নানা মহলের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। মহল বিশেষ আমার উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে। নৌযাত্রীরা নিজেদের স্বাধীন মনে করে টোল দিচ্ছে না।

বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করছি।

খবর নিয়ে আরও জানা যায়, বিগত আওয়ামীলীগের ১৬ বছরের আমলে আওয়ামীলীগের দুইটি গ্রুপের বিরোধের কারনে প্রতিযোগীতা করে ঘাটের ইজারা মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করা হয় যার ফলে বিগত স্বৈরাচারি আমলে ট্রলার, নৌকা এবং যাত্রীদের কাছ থেকে জোড় পূবর্ক অতিরিক্ত টোল আদায় করে বিগত আমলে ইজারার টাকা বন্দোবস্ত করা হতো কিন্তু বর্তমানে সেই সুযোগ নেই বিধায় সাধারন যাত্রীরা সরকার নির্ধারিত টোল দিতেও রাজী নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

কামরাঙ্গিরচরে উচ্চমূল্যে খেয়া ঘাট ইজারা দেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০১:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানী কামরাঙ্গিরচর থানাধীন ডিএসসিসির ৫৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী মাতবর বাজার ঘাট এবং মুসলিমবাগ ঘাট (ঠোডার ঘাট) ২টি গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় মাদবর বাজার ঘাট এক কোটি, বারো হাজার টাকা ইজারায় ডাক হয় এর সাথে যুক্ত ১০% ভ্যাট ট্যাক্স এবং মূসক ১৫% সংযুক্ত হয়। মেয়াদ ১৪/০৯/২৪ ইং হইতে ৩০/০৬/২৫ ইং। ৯ মাস ১৫ দিনের জন্য এত উচ্চমূল্যে ডাক হওয়ায় ইজারাদারেরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এত উচ্চমূল্যে আগামীতে ইজারা ডাক দেয়া হলে  ইজারাদারেরা ঘাটের ইজারা নাও নিতে পারে। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাতে পারে।

সারজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাদবর বাজার ঘাট ও মুসলিমবাগ ঘাট হতে যাত্রী পাড়াপাড়ের জন্য কোন প্রকার টোল প্রদান করা হয় না। এমন কি এই দুইটি ঘাটে কোন টোলঘরও স্থাপন করা হয়নি।

খোলামোড়া ও ঝাউচর ঘাটে টোলঘর বানিয়ে নৌযাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত টোল আদায় করা হলেও মাদবর বাজার ঘাট ও মুসলীমবাগ ঘাটে সেই ধরনের টোল আদায়ের কোন কার্যক্রম চোখে পরে নি।

এই বিষয়ে মাদবর বাজার ঘাটের ইজারাদার় হাসলাই বিল্ডার্সের মালিক জানান, নৌযাত্রীদের কাছ থেকে এক টাকাও টোল আদায় করেন না। শুধুমাত্র ঘাটে চলাচলকারী ট্রলার এবং নৌকা হতে সরকার নির্ধারিত ফি গ্রহন করা হয়।

ইজারাদার আরও জানান, আমি বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। টোলঘর স্থাপন করে সরকারের নির্ধারিত হারে টোল আদায় করতে না পারায় লাভ তো দূরে থাক মূল টাকা উঠানোই এখন দূঃসাধ্য ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে।

মাদবর বাজার ঘাটের সাবেক ইজারাদার ইমতিয়াজ আলমের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর তিনি কিছু দিন এই ঘাটের ইজারাদার ছিলেন কিন্তু ইজারা কালীন সময় সে আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগস্ত হন যে কারনে বর্তমানে সে এই ঘাটের ইজারার টেন্ডার নিতে কোন আগ্রহ নেই। কারন হিসেবে তিনি জানান, সাধারন মানুষ মনে করে দেশ এখন স্বাধীন তাই তারা ঘাটে কোন টোল দিতে চান না।

সরকার নির্ধারিত টোল আদায়কে যাত্রীগন চাঁদাবাজী মনে করেন। প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে ঝগড়া-ঝাটি, কথা কাটাকাটি এমন কি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়।

এছাড়াও ফেইসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন আজেবাজে কথা লিখে মানহানিকর পোস্ট করে বিদ্বায় ভবিষ্যতেও টেন্ডার কার্যক্রমে অংশগ্রহন করবেন না বলে তিনি জানান।

আমার উপর নানা মহলের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। মহল বিশেষ আমার উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে। নৌযাত্রীরা নিজেদের স্বাধীন মনে করে টোল দিচ্ছে না।

বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করছি।

খবর নিয়ে আরও জানা যায়, বিগত আওয়ামীলীগের ১৬ বছরের আমলে আওয়ামীলীগের দুইটি গ্রুপের বিরোধের কারনে প্রতিযোগীতা করে ঘাটের ইজারা মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করা হয় যার ফলে বিগত স্বৈরাচারি আমলে ট্রলার, নৌকা এবং যাত্রীদের কাছ থেকে জোড় পূবর্ক অতিরিক্ত টোল আদায় করে বিগত আমলে ইজারার টাকা বন্দোবস্ত করা হতো কিন্তু বর্তমানে সেই সুযোগ নেই বিধায় সাধারন যাত্রীরা সরকার নির্ধারিত টোল দিতেও রাজী নয়।