ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবি ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড প্রক্রিয়া শুরু হত্যা চেষ্টা মামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রীর নাম কাটতে এসে গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাজেট বরাদ্দে জবি পূর্বের তুলনায় অগ্রাধিকার পাবে – ইউজিসি চেয়ারম্যান রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব করবে জাতিসংঘ জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্যক্রম সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  চায়ের দোকানের আঁড়ালে মদের ব্যবসা, গ্রেফতার ২ কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম

কলকাতায় ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবে ইলিশ উৎসব

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:২৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৩৫ Time View

বাংলাদেশের রুপালি ইলিশ নিয়ে বরাবরই মাতামাতি করতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের। ইলিশের রসনার স্বাদ থেকে আটকানো যায় না সাধারণ মানুষকে।

আর এই রুপালি ইলিশ নিয়ে বিগত বছরের মতো চলতি বছরেও শারদীয়া সূচনা লগ্নে উৎসবে মাতল কলকাতার সিআইটি রোডে অবস্থিত ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব।

বাংলাদেশের ইলিশ আর কলকাতার বিখ্যাত মিষ্টি রসগোল্লা নিয়ে উৎসবে মাতলেন ক্লাবের সদস্যরা। কলকাতার ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের প্রত্যেক সদস্যের হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের পদ্মার রুপালি ইলিশ এবং কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি রসগোল্লা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যদের মধ্যে মতবিনিময় ছাড়াও উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ। ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের মূল উদ্দেশ্য দুই বাংলার সম্পর্ক বজায় রাখা।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা যদি কলকাতায় কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েন তবে তাদের পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

ওই অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সদস্যদের ভার্চুয়ালি বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মহিব। তিনি বলেন, ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সঙ্গে দাঁড়াতে পেরে এবং আজীবন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত।

উন্নত থেকে উন্নততর বাংলাদেশ গড়তে আমরা আশা করব আপনারা সবাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবেন। আমি চাই ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব এই দুই বাংলার সেতু বন্ধনের মাধ্যমে পরস্পরের আদান-প্রদানে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাকে সরাতে পারবেনা বলেই বঙ্গবন্ধুর মতো রাতের অন্ধকারে তাকেও সরানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আগামি দিনেও ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের পাশে আনন্দের সঙ্গেই দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।

ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের কনভেনার ভাস্কর সরদার বলেন, ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের দুই দেশের সমন্বয়ে আমাদের এই কলকাতা প্রেসক্লাব তৈরি।

এখানে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যারা কলকাতার প্রতিনিধি তারা সবাই মিলে একটা ইলিশ উৎসবে মাতলো আর এই ইলিশ উৎসবকে আমরা নাম দিয়েছিলাম বাংলাদেশের ইলিশ ও পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টি। বাংলাদেশের ইলিশ মানেই রুপালি ইলিশ।

ভাস্কর সরদার বাংলাদেশের রুপালি ইলিশ উপহার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের পটুয়াখালীর ৪ আসনের সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।

এই ইলিশ উৎসব নিয়ে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ পুততুন্ডু বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছর এবং আগামী দিনেও আমরা ইলিশ উৎসব চালিয়ে যেতে চাই।

ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের যত সদস্য আছে তাদের সবার হাতে বাংলাদেশের এই উপহার তুলে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা দুই দেশের সঙ্গে সেতু বন্ধনের কাজ করি।

আমরা খুব আনন্দিত যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এই সেতুবন্ধন কারীদের ইলিশ উপহার পাঠিয়েছেন। ক্লাবের সব সদস্যকে বাংলাদেশের এই উপহার পৌঁছে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।

ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্য বিক্রম লাহা বলেনন, আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পেয়ে খুব খুশি। তাকে আমাদের তরফ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠান শেষে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে আগামী দিনের শুভকামনা জানান ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা।

Please Share This Post in Your Social Media

কলকাতায় ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবে ইলিশ উৎসব

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৬:২৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের রুপালি ইলিশ নিয়ে বরাবরই মাতামাতি করতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের। ইলিশের রসনার স্বাদ থেকে আটকানো যায় না সাধারণ মানুষকে।

আর এই রুপালি ইলিশ নিয়ে বিগত বছরের মতো চলতি বছরেও শারদীয়া সূচনা লগ্নে উৎসবে মাতল কলকাতার সিআইটি রোডে অবস্থিত ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব।

বাংলাদেশের ইলিশ আর কলকাতার বিখ্যাত মিষ্টি রসগোল্লা নিয়ে উৎসবে মাতলেন ক্লাবের সদস্যরা। কলকাতার ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের প্রত্যেক সদস্যের হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের পদ্মার রুপালি ইলিশ এবং কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি রসগোল্লা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যদের মধ্যে মতবিনিময় ছাড়াও উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ। ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের মূল উদ্দেশ্য দুই বাংলার সম্পর্ক বজায় রাখা।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা যদি কলকাতায় কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েন তবে তাদের পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

ওই অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সদস্যদের ভার্চুয়ালি বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মহিব। তিনি বলেন, ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সঙ্গে দাঁড়াতে পেরে এবং আজীবন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত।

উন্নত থেকে উন্নততর বাংলাদেশ গড়তে আমরা আশা করব আপনারা সবাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবেন। আমি চাই ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব এই দুই বাংলার সেতু বন্ধনের মাধ্যমে পরস্পরের আদান-প্রদানে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাকে সরাতে পারবেনা বলেই বঙ্গবন্ধুর মতো রাতের অন্ধকারে তাকেও সরানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আগামি দিনেও ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের পাশে আনন্দের সঙ্গেই দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।

ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের কনভেনার ভাস্কর সরদার বলেন, ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের দুই দেশের সমন্বয়ে আমাদের এই কলকাতা প্রেসক্লাব তৈরি।

এখানে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যারা কলকাতার প্রতিনিধি তারা সবাই মিলে একটা ইলিশ উৎসবে মাতলো আর এই ইলিশ উৎসবকে আমরা নাম দিয়েছিলাম বাংলাদেশের ইলিশ ও পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টি। বাংলাদেশের ইলিশ মানেই রুপালি ইলিশ।

ভাস্কর সরদার বাংলাদেশের রুপালি ইলিশ উপহার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের পটুয়াখালীর ৪ আসনের সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।

এই ইলিশ উৎসব নিয়ে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ পুততুন্ডু বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছর এবং আগামী দিনেও আমরা ইলিশ উৎসব চালিয়ে যেতে চাই।

ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের যত সদস্য আছে তাদের সবার হাতে বাংলাদেশের এই উপহার তুলে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা দুই দেশের সঙ্গে সেতু বন্ধনের কাজ করি।

আমরা খুব আনন্দিত যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এই সেতুবন্ধন কারীদের ইলিশ উপহার পাঠিয়েছেন। ক্লাবের সব সদস্যকে বাংলাদেশের এই উপহার পৌঁছে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।

ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্য বিক্রম লাহা বলেনন, আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পেয়ে খুব খুশি। তাকে আমাদের তরফ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠান শেষে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে আগামী দিনের শুভকামনা জানান ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা।