ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবি আবদুল হাই মাশরেকীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী কাল

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৪ Time View

আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দে-রে তুই আল্লাহ… মাঝি বাইয়া যাও রে… আমার কাঙ্খের কলসি… প্রাণ সখিরে বাবলা বনের ধারে ধারে… আমার বাড়ি যাইও বন্ধু…অসংখ্য কবিতাও গানের স্রষ্টা আবদুল হাই মাশরেকীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বুধবার। ১৯৮৮ সালের এই দিনে তিনি মারা যান।

আবদুল হাই মাশরেকী ১৯০৯ সালের ১ এপ্রিল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের কাঁকনহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই গান ও কবিতা রচনা করতেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে তিনি প্রথম হত্যা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতাকে প্রতিবাদের হাতিয়ারে পরিণত করেছেন।

এই উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। কবির নিজ জন্মভূমিতে ঈশ্বরগঞ্জ
উপজেলায় আবদুল হাই মাশরেকী পরিষদ ও পাঞ্জেরি সাংস্কৃতিক সংসদ এর যৌথ উদ্যোগে দুপুর ১২টায় এক স্মরণসভা, সমাধি জিয়ারত, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিন সাত্তার।

আগামী শনিবার ৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ঢাকায় জনপ্রশাসন পত্রিকা কার্যালয়ে কবি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী ও আবৃত্তিকার শংকর সাওজাল।

উল্লেখ্য, লোককবি আবদুল হাই মাশরেকীর ‘আল্লাহ্ মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই আল্লাহ…’ অমর গান আজও বাংলার মানুষের কাছে জনপ্রিয়। তাঁর গ্রন্থগুলোর মধ্যে আধুনিক কাব্য ‘কিছু রেখে যেতে চাই’, ‘হে আমার দেশ’, ‘দেশ দেশ নন্দিতা,’ ‘মাঠের কবিতা মাঠের গান’, ‘কাল নিরবধি’; গীতিনাট্য ও কাব্য ‘ভাটিয়ালী’; পুঁথি কাব্য ‘হযরত আবু বকর (রা.),’ খণ্ড কাব্য ‘অভিশপ্তের বাণী’, পালাগান ‘রাখালবন্ধু’, ‘জরিনা সুন্দরী’, পল্লিগীতিকা ‘ডাল ধরিয়া নুয়াইয়া কন্যা’, জারি ‘দুখু মিয়ার জারি,’ ছোটদের কাব্য ‘হুতুম ভুতুম রাত্রি’, গল্প ‘কুলসুম’, ‘বাউল মনের নকশা’, ‘মানুষ ও লাশ’, ‘নদী ভাঙে’; নাট ‘সাঁকো’, ‘নতুন গাঁয়ের কাহিনী’; অনুবাদ ‘আকাশ কেন নীল’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

কবি আবদুল হাই মাশরেকীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী কাল

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০৩:০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দে-রে তুই আল্লাহ… মাঝি বাইয়া যাও রে… আমার কাঙ্খের কলসি… প্রাণ সখিরে বাবলা বনের ধারে ধারে… আমার বাড়ি যাইও বন্ধু…অসংখ্য কবিতাও গানের স্রষ্টা আবদুল হাই মাশরেকীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বুধবার। ১৯৮৮ সালের এই দিনে তিনি মারা যান।

আবদুল হাই মাশরেকী ১৯০৯ সালের ১ এপ্রিল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের কাঁকনহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই গান ও কবিতা রচনা করতেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে তিনি প্রথম হত্যা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতাকে প্রতিবাদের হাতিয়ারে পরিণত করেছেন।

এই উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। কবির নিজ জন্মভূমিতে ঈশ্বরগঞ্জ
উপজেলায় আবদুল হাই মাশরেকী পরিষদ ও পাঞ্জেরি সাংস্কৃতিক সংসদ এর যৌথ উদ্যোগে দুপুর ১২টায় এক স্মরণসভা, সমাধি জিয়ারত, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিন সাত্তার।

আগামী শনিবার ৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ঢাকায় জনপ্রশাসন পত্রিকা কার্যালয়ে কবি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী ও আবৃত্তিকার শংকর সাওজাল।

উল্লেখ্য, লোককবি আবদুল হাই মাশরেকীর ‘আল্লাহ্ মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই আল্লাহ…’ অমর গান আজও বাংলার মানুষের কাছে জনপ্রিয়। তাঁর গ্রন্থগুলোর মধ্যে আধুনিক কাব্য ‘কিছু রেখে যেতে চাই’, ‘হে আমার দেশ’, ‘দেশ দেশ নন্দিতা,’ ‘মাঠের কবিতা মাঠের গান’, ‘কাল নিরবধি’; গীতিনাট্য ও কাব্য ‘ভাটিয়ালী’; পুঁথি কাব্য ‘হযরত আবু বকর (রা.),’ খণ্ড কাব্য ‘অভিশপ্তের বাণী’, পালাগান ‘রাখালবন্ধু’, ‘জরিনা সুন্দরী’, পল্লিগীতিকা ‘ডাল ধরিয়া নুয়াইয়া কন্যা’, জারি ‘দুখু মিয়ার জারি,’ ছোটদের কাব্য ‘হুতুম ভুতুম রাত্রি’, গল্প ‘কুলসুম’, ‘বাউল মনের নকশা’, ‘মানুষ ও লাশ’, ‘নদী ভাঙে’; নাট ‘সাঁকো’, ‘নতুন গাঁয়ের কাহিনী’; অনুবাদ ‘আকাশ কেন নীল’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

নওরোজ/এসএইচ