ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বাজেট বরাদ্দে জবি পূর্বের তুলনায় অগ্রাধিকার পাবে – ইউজিসি চেয়ারম্যান রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব করবে জাতিসংঘ জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্যক্রম সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  চায়ের দোকানের আঁড়ালে মদের ব্যবসা, গ্রেফতার ২ কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার

কক্সবাজারের সেই আলোচিত শিশু অপহরণের মুল হোতা গ্রেপ্তার

ইকবাল হোসাইন (উখিয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০১:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৭৫ Time View

নেট দুনিয়া ভাইরাল সেই ছোট্ট শিশুটি কে মাটিতে পুঁতে রেখে পরিবারের কাছে ভিডিও পাটিয়ে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন নেওয়ার ঘঠনার আটক এক।

শিশুকে অপহরণ করে মাটিতে পুঁতে রেখে মুক্তিপণ চাওয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ঘটনার প্রধান অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ওই ব্যক্তির নাম নুর ইসলাম (২১)। তিনি কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকের বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তিনি জানান, শিশুকে মাটিতে পুঁতে রেখে মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনায় নুর ইসলাম সরাসরি জড়িত। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।

তিনি জানান, ঘটনার পর পুলিশ অপহরণকারীকে আটক করার জন্য নানামুখী তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে সোমবার বিকেলে ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যা ছিলো:

শিশুটির চোখেমুখে ভয়। গলা পর্যন্ত মাটিতে ডুবে আছে। চাপা দেওয়া হয়েছে শরীরের ওই অংশ। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা ভাষায় শিশুটি তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলছিল, ‘আব্বা তরাতরি চেষ্টা গর। মরে গাতত গলায় পিল্লে। টিয়া দে। (বাবা দ্রুত চেষ্টা কর, আমাকে গর্তে পুঁতে ফেলেছে, টাকা দাও)।

এমন একটি ভিডিও গত বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর পরপরই ভিডিওটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শিশুটিকে উদ্ধারের আকুতি জানানোর পাশাপাশি এমন বর্বরতায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সত্যতা যাচাইয়ে নামে এ প্রতিবেদক। ১৫ সেকেন্ডের এই ভিডিও ১০ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার অজ্ঞাত স্থানে ধারণ করা। ভিডিওর শিশুটির নাম মোহাম্মদ আরাকান (৬)। সে থাইংখালী-১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের সি ১৫ ব্লকের বাসিন্দা আবদুর রহমান ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে।

৮ জানুয়ারি আরাকান ক্যাম্পের খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর ১০ জানুয়ারি তার মা–বাবা এই ভিডিও বার্তা পান।নিখোঁজ আরাকানের সন্ধানে এর আগেই তার মা–বাবা থানায় জিডি করেছিলেন। ভিডিও বার্তা পাওয়ার পর তাঁরা নিশ্চিত হন, তাঁদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।

অপহরণকারীরা আরাকানের মুক্তির বিনিময়ে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের কথা অনুযায়ী দেখিয়ে দেওয়া স্থানে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসেন আরাকানের স্বজনেরা। এতেও আরাকানকে না ছাড়ায় ধারদেনা করে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন তাঁরা। ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুতুপালং এলাকার এমএসএফ হল্যান্ড হাসপাতালের সামনে শিশুটিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

কক্সবাজারের সেই আলোচিত শিশু অপহরণের মুল হোতা গ্রেপ্তার

ইকবাল হোসাইন (উখিয়া) প্রতিনিধি
Update Time : ০১:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

নেট দুনিয়া ভাইরাল সেই ছোট্ট শিশুটি কে মাটিতে পুঁতে রেখে পরিবারের কাছে ভিডিও পাটিয়ে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন নেওয়ার ঘঠনার আটক এক।

শিশুকে অপহরণ করে মাটিতে পুঁতে রেখে মুক্তিপণ চাওয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ঘটনার প্রধান অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ওই ব্যক্তির নাম নুর ইসলাম (২১)। তিনি কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকের বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তিনি জানান, শিশুকে মাটিতে পুঁতে রেখে মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনায় নুর ইসলাম সরাসরি জড়িত। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।

তিনি জানান, ঘটনার পর পুলিশ অপহরণকারীকে আটক করার জন্য নানামুখী তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে সোমবার বিকেলে ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যা ছিলো:

শিশুটির চোখেমুখে ভয়। গলা পর্যন্ত মাটিতে ডুবে আছে। চাপা দেওয়া হয়েছে শরীরের ওই অংশ। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা ভাষায় শিশুটি তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলছিল, ‘আব্বা তরাতরি চেষ্টা গর। মরে গাতত গলায় পিল্লে। টিয়া দে। (বাবা দ্রুত চেষ্টা কর, আমাকে গর্তে পুঁতে ফেলেছে, টাকা দাও)।

এমন একটি ভিডিও গত বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর পরপরই ভিডিওটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শিশুটিকে উদ্ধারের আকুতি জানানোর পাশাপাশি এমন বর্বরতায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সত্যতা যাচাইয়ে নামে এ প্রতিবেদক। ১৫ সেকেন্ডের এই ভিডিও ১০ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার অজ্ঞাত স্থানে ধারণ করা। ভিডিওর শিশুটির নাম মোহাম্মদ আরাকান (৬)। সে থাইংখালী-১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের সি ১৫ ব্লকের বাসিন্দা আবদুর রহমান ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে।

৮ জানুয়ারি আরাকান ক্যাম্পের খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর ১০ জানুয়ারি তার মা–বাবা এই ভিডিও বার্তা পান।নিখোঁজ আরাকানের সন্ধানে এর আগেই তার মা–বাবা থানায় জিডি করেছিলেন। ভিডিও বার্তা পাওয়ার পর তাঁরা নিশ্চিত হন, তাঁদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।

অপহরণকারীরা আরাকানের মুক্তির বিনিময়ে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের কথা অনুযায়ী দেখিয়ে দেওয়া স্থানে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসেন আরাকানের স্বজনেরা। এতেও আরাকানকে না ছাড়ায় ধারদেনা করে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন তাঁরা। ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুতুপালং এলাকার এমএসএফ হল্যান্ড হাসপাতালের সামনে শিশুটিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।