ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ভুয়া সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রেম: অতপর সেনাবাহিনীর হাতে আটক ট্রেনের ভাড়া ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছে জামায়াত ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আইন আসছে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য ভেঙে ফেলব : নাহিদ ইসলাম এনসিপির সমাবেশে হামলা: আ.লীগের দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা করলেন লরেন ড্রেয়ার জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা ভারতে আশ্রিত আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সুযোগ হারানো যাবে না : প্রধান বিচারপতি

ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:২২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৫১ Time View

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের বাড়িটির দ্বিতল ভবন ভাঙা শুরু হয়।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজার থেকে মিছিল বের করেন ছাত্রজনতা। মিছিলটি বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড হয়ে কাদেরের বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার দোতালা ভবন হাতুড়ি, শাবল দিয়ে ভাঙা হয়। পরে তার ছোট ভাই শাহাদাত মির্জার ভবনও ভাঙচুর করা হয়। এর আগে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ওই বাড়ির পাঁচটি বসতঘর ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ বিক্ষুদ্ধ জনতাকে বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে যেতে দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা এমরান হোসেন জানান, ৫ আগস্টের পর কিছু দিন কাদের মির্জা ভবনটি পুনরায় সংস্কার করেন। দ্বিতীয় দফায় কাদেরের বাড়িতে এ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। তবে হামলা ভাঙচুরের সময় তাদের পরিবারের কেউ ছিলনা। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর কাদেরের পরিবারের সদস্য আত্মগোপনে রয়েছে।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা কোম্পানীগঞ্জের অসংখ্য মানুষ ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই আব্দুল কাদের মির্জার ও তার বাহিনীর লোকদের দ্বারা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব কারণে তাদের প্রতি যে ক্ষোভ জমেছিল, আজকের হামলা ভাঙচুর ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই হামলা ভাঙচুরে সর্বস্তরের ছাত্র জনতা অংশগ্রহণ করেছে।’ তিনি বলেন ভবিষ্যতেও যদি কোন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে ফ্যাসিস্টের আচারণ করেন, তাদের পরিণতিও একই রকম হবে।

যোগাযোগ করা কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিমের মুঠোফোন সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:২২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের বাড়িটির দ্বিতল ভবন ভাঙা শুরু হয়।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজার থেকে মিছিল বের করেন ছাত্রজনতা। মিছিলটি বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড হয়ে কাদেরের বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার দোতালা ভবন হাতুড়ি, শাবল দিয়ে ভাঙা হয়। পরে তার ছোট ভাই শাহাদাত মির্জার ভবনও ভাঙচুর করা হয়। এর আগে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ওই বাড়ির পাঁচটি বসতঘর ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ বিক্ষুদ্ধ জনতাকে বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে যেতে দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা এমরান হোসেন জানান, ৫ আগস্টের পর কিছু দিন কাদের মির্জা ভবনটি পুনরায় সংস্কার করেন। দ্বিতীয় দফায় কাদেরের বাড়িতে এ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। তবে হামলা ভাঙচুরের সময় তাদের পরিবারের কেউ ছিলনা। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর কাদেরের পরিবারের সদস্য আত্মগোপনে রয়েছে।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা কোম্পানীগঞ্জের অসংখ্য মানুষ ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই আব্দুল কাদের মির্জার ও তার বাহিনীর লোকদের দ্বারা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব কারণে তাদের প্রতি যে ক্ষোভ জমেছিল, আজকের হামলা ভাঙচুর ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই হামলা ভাঙচুরে সর্বস্তরের ছাত্র জনতা অংশগ্রহণ করেছে।’ তিনি বলেন ভবিষ্যতেও যদি কোন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে ফ্যাসিস্টের আচারণ করেন, তাদের পরিণতিও একই রকম হবে।

যোগাযোগ করা কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিমের মুঠোফোন সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।