ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নোয়াখালীতে বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অপর পক্ষের বাধা, সংঘর্ষে আহত ৫ তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বাসদের স্মারকলিপি পেশ কুবি ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময় বৃদ্ধি বাসা থেকে প্রবেশপত্র আনতে ও পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে পৌঁছে দি‌য়ে সহায়তা ক‌র‌লেন মান‌বিক পুলিশ ফেসবুকে ইসরাইলী পণ্য বিক্রির গুজব, নিরাপত্তাহীনতায় মালিক-কর্মচারীরা টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকতসহ ছয় সহযোগী গ্রেফতার জবিতে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি, মার্কিন ও সৌদি দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান অতিরিক্ত শুল্কে মার্কিন নাগরিকদের ক্ষতি বেশি রংপুরে বিএনপিকর্মী নিহত, সাবেক এমপিসহ ৮ নেতার নামে মামলা গাজায় সাংবাদিকসহ গণহত্যা বন্ধের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ

এসআই পরিচয়ে প্রতারণা ও ধর্ষণ, ধর্ষণকারী গ্রেফতার

যশোর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • / ১৩০ Time View

তমা সরকার (ছদ্ম নাম) (২৭), থানা : অভয়নগর, জেলা : যশোর, তিনি কৃষি ডিপ্লোমা পাশ করার পর কোন চাকরি না পাওয়ায় অনলাইনে কাজ করেন এবং সেখান থেকে তিনি অর্থ উপার্জন করেন। বাদীর সাথে আসামী সুমন বসু(৩৬), পিতা : সঞ্জীব বসু, সাং : ছোট মানিকহার, থানা ও জেলা : গোপালগঞ্জ এর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়।

আসামী নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই বলে পরিচয় দেয়। পরিচয়ের পর হতে আসামির সাথে বাদীর মোবাইলে কথা হতো। কথা বলার একপর্যায়ে বাদীর সাথে আসামির সখ্যতা ও দুজনের মধ্যে ভালবাসা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আসামির সাথে বাদীর প্রেমের সম্পর্কের কারণে আসামি মাঝে মধ্যে বাদীর পিতার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো এবং বাদীকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখাতো। আসামি বাদীকে বিভিন্ন সময় যশোরের বিভিন্ন হোটেলে ও নড়াইল জেলার অরুনিমা রিসোর্টে রুম ভাড়া নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তারপর হতে আসামির সাথে বাদীর নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। আসামি বিভিন্ন সময় তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাদীর নিকট হতে বিকাশ ও নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে ধার হিসাবে ১৪,৮৯,৮৮০/- গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আসামির আচরণে সন্দেহ হলে বাদী আসামির গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সে বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান আছে। তখন বাদী তার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে সে ফেরত দিতে অস্বীকার করে এবং বাদীকে বিয়ে করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়।

আসামি বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ এবং তার নিকট হতে ১৪,৮৯,৮৮০/- টাকা ধার হিসেবে নিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করত: আত্মসাৎ করার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিবিআই পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে। বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি পিবিআই, যশোরের সাধারণ ডায়েরী নং-২০৮, তারিখ : ২৫/০৬/২০২৪ খ্রিঃ হিসেবে নথিভুক্ত করত: পুলিশ সুপার, পিবিআই, যশোর মহোদয়, এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান পিবিআই, যশোর জেলাকে ছায়া তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান কর্তৃক অনুসন্ধানকালে জানা যায়, আসামী সুমন বসু(৩৬) সে নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মেয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে তলে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে নেয়। পূর্বেও সে একাধীক মেয়ের সাথে প্রতারণা করে। সে বাদীর সহিত একইভাবে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ১৪,৮৯,৮৮০/- টাকা গ্রহণ করে। সে একজন বড় মাপের প্রতারক বলে জানা যায়।

উক্ত বিষয়ে অনুসন্ধানকালে আসামী সুমন বসু ঘটনার সহিত জড়িত মর্মে সত্যতা পাওয়া গেলে পিবিআই প্রধান জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্ত¡বধান ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্ত্বে এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান, এসআই(নিঃ) স্নেহাশিস দাশ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ যশোর জেলার আভিযানিক দল কর্তৃক গত ০২/০৭/২০২৪ খ্রিঃ সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন মানিকহার গ্রাম হতে আসামিকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বাদী আসামীর বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভয়নগর থানার মামলা নং-০১, তারিখঃ ০২/০৭/২০২৪ খ্রিঃ, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং-২০০৩) এর ৯(১) তৎসহ ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়।

উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) মো: হাবিবুর রহমানএর উপর অর্পণ করা হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে অদ্য ০৩/০৭/২০২৪ খ্রিঃ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমালী আদালত, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এসআই পরিচয়ে প্রতারণা ও ধর্ষণ, ধর্ষণকারী গ্রেফতার

যশোর প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

তমা সরকার (ছদ্ম নাম) (২৭), থানা : অভয়নগর, জেলা : যশোর, তিনি কৃষি ডিপ্লোমা পাশ করার পর কোন চাকরি না পাওয়ায় অনলাইনে কাজ করেন এবং সেখান থেকে তিনি অর্থ উপার্জন করেন। বাদীর সাথে আসামী সুমন বসু(৩৬), পিতা : সঞ্জীব বসু, সাং : ছোট মানিকহার, থানা ও জেলা : গোপালগঞ্জ এর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়।

আসামী নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই বলে পরিচয় দেয়। পরিচয়ের পর হতে আসামির সাথে বাদীর মোবাইলে কথা হতো। কথা বলার একপর্যায়ে বাদীর সাথে আসামির সখ্যতা ও দুজনের মধ্যে ভালবাসা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আসামির সাথে বাদীর প্রেমের সম্পর্কের কারণে আসামি মাঝে মধ্যে বাদীর পিতার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো এবং বাদীকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখাতো। আসামি বাদীকে বিভিন্ন সময় যশোরের বিভিন্ন হোটেলে ও নড়াইল জেলার অরুনিমা রিসোর্টে রুম ভাড়া নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তারপর হতে আসামির সাথে বাদীর নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। আসামি বিভিন্ন সময় তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাদীর নিকট হতে বিকাশ ও নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে ধার হিসাবে ১৪,৮৯,৮৮০/- গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আসামির আচরণে সন্দেহ হলে বাদী আসামির গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সে বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান আছে। তখন বাদী তার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে সে ফেরত দিতে অস্বীকার করে এবং বাদীকে বিয়ে করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়।

আসামি বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ এবং তার নিকট হতে ১৪,৮৯,৮৮০/- টাকা ধার হিসেবে নিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করত: আত্মসাৎ করার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিবিআই পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে। বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি পিবিআই, যশোরের সাধারণ ডায়েরী নং-২০৮, তারিখ : ২৫/০৬/২০২৪ খ্রিঃ হিসেবে নথিভুক্ত করত: পুলিশ সুপার, পিবিআই, যশোর মহোদয়, এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান পিবিআই, যশোর জেলাকে ছায়া তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান কর্তৃক অনুসন্ধানকালে জানা যায়, আসামী সুমন বসু(৩৬) সে নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মেয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে তলে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে নেয়। পূর্বেও সে একাধীক মেয়ের সাথে প্রতারণা করে। সে বাদীর সহিত একইভাবে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ১৪,৮৯,৮৮০/- টাকা গ্রহণ করে। সে একজন বড় মাপের প্রতারক বলে জানা যায়।

উক্ত বিষয়ে অনুসন্ধানকালে আসামী সুমন বসু ঘটনার সহিত জড়িত মর্মে সত্যতা পাওয়া গেলে পিবিআই প্রধান জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্ত¡বধান ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্ত্বে এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান, এসআই(নিঃ) স্নেহাশিস দাশ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ যশোর জেলার আভিযানিক দল কর্তৃক গত ০২/০৭/২০২৪ খ্রিঃ সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন মানিকহার গ্রাম হতে আসামিকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বাদী আসামীর বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভয়নগর থানার মামলা নং-০১, তারিখঃ ০২/০৭/২০২৪ খ্রিঃ, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং-২০০৩) এর ৯(১) তৎসহ ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়।

উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) মো: হাবিবুর রহমানএর উপর অর্পণ করা হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) মো: হাবিবুর রহমান ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে অদ্য ০৩/০৭/২০২৪ খ্রিঃ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমালী আদালত, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়।