ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একাধিক নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্চিত, শিক্ষকের পদত্যাগ চান শিক্ষার্থীরা

মোঃ হাছান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:৩২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২৩ Time View

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক নারী শিক্ষার্থীকে নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।

লামিয়া নামের একজন শিক্ষার্থীকে ক্লাসে সবার সামনে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তার শিক্ষার্থীরা । তার বিরুদ্ধে আরও নানা হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগও করেছেন তারা।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় নানা অভিযোগ তুলে তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা। পরে প্রধান ফটকে আটকে আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ফটক খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। পরে উপাচার্যের সাথে বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।

এ বিষয়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন বলেন, “হাফিজ স্যার আমাদের দৈনন্দিন ড্রেস, চলাফেরা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করে ক্লাসে অপমান করতেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকিও দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই, তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।”

বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাফিজুর রহমানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি খুবই দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করবো। ”

Please Share This Post in Your Social Media

একাধিক নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্চিত, শিক্ষকের পদত্যাগ চান শিক্ষার্থীরা

মোঃ হাছান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
Update Time : ১২:৩২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক নারী শিক্ষার্থীকে নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।

লামিয়া নামের একজন শিক্ষার্থীকে ক্লাসে সবার সামনে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তার শিক্ষার্থীরা । তার বিরুদ্ধে আরও নানা হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগও করেছেন তারা।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় নানা অভিযোগ তুলে তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা। পরে প্রধান ফটকে আটকে আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ফটক খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। পরে উপাচার্যের সাথে বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।

এ বিষয়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন বলেন, “হাফিজ স্যার আমাদের দৈনন্দিন ড্রেস, চলাফেরা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করে ক্লাসে অপমান করতেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকিও দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই, তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।”

বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাফিজুর রহমানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি খুবই দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করবো। ”